নবীনগরের গর্ব একজন মতিন ভূইয়ার মানবিকতার গল্প

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়,নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

প্রচারের আড়ালে থাকা এমন মানবতার ফেরিওয়ালা ক’জন আছে?ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গরিব অসহায় মানুষের আস্থা বিশ্বাসের নাম মতিন ভূঁইয়া সিপিএ। যিনি প্রতিনিয়ত নবীনগরের অতিদরিদ্র মানুষের কল্যানে নিবেদিত ভাবে প্রায় দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরই এই মানুষটি পুরো উপজেলার জুড়ে অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজানের সময় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।

এ ছাড়াও নিজ জন্মভূমি নবীনগরে মানুষের জন্য একের পর এক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মতিন ভুঁইয়া সিপিএ। বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা দেওয়া,গরিব অসহায় মানুষের বিশুদ্ধ পানির সেবা নিশ্চিত করতে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেয়া, দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে তাদেরকে গবাদিপশু দেয়া,দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে নিজের প্রয়াত বাবার নামে আব্দুল হাই ভূঁইয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।

ইতোমধ্যে তিনি পুরো উপজেলা জুড়ে হাজার হাজার গরু উপহার দিয়ে এলাকার বহু মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছেন।হাজার হাজার পরিবারের মাঝে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,নিজের প্রয়াত বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শতশত যুবককে কর্মমুখী করে তুলছেন।

তবে প্রতি বছর রমজান উপলক্ষ্যে ব্যাপক পরিমাণে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।গত করোনাকালিন সময়ে দুই দফায় প্রায় দশ হাজার মানুষের মাঝে প্রায় ২০০ শত মেট্রিকটন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে গেছেন। এইবার তিনি প্রতিটি পরিবারের নিকট ২৫ কেজি চাল,৪কেজি ডাল ও ৪টি করে সাবান বিতরণ ও ২কেজি সয়াবিন তেল বিতরণ করেন।
২১শে মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল হাই ভুইয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ভাবে এসব খাদ্য সামগ্রী উপজেলার রছুল্লাবাদ ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের কয়েকশ পরিবারের মধ্যে বিতরণের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। এ বছর পুরো উপজেলায় ৭৫ মেট্রিকটন চাল,১৫ মেট্রিকটন মশুর ডাল,১৫ হাজার পিস কাপড় কাচার ও সুগন্ধি সাবান এবং ৬ মেট্রিকটন সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে।

বছরের পর বছর ধরে সুদূর আমেরিকায় বসবাস করার কারণে মতিন ভুইয়ার এ সকল নান্দনিক মহৎ কাজটি নিরলসভাবে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন তাহার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরিশ্রমী মাঝিকাড়া ইসলামী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ।
বরাবরের মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি স্বশরীরে হাজির হয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার সময় তিনি জানান একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ মানুষের মধ্যে যে সমস্ত গুণাবলী থাকা দরকার মতিন ভুইয়া ভাইয়ের মধ্যে তা রয়েছে। তিনি নবীনগর পুরো উপজেলার সামাজিক অবক্ষয় দূর করে সত্যিকারে একটি সমৃদ্ধ নবীনগর গঠনের লক্ষ্যে কোন রকম রাজনৈতিক আকাংখা ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত দেড় যুগ ধরে সেটি করা হচ্ছে,ভবিষ্যতেও হবে ইনশাআল্লাহ।

সবাই এই মানবতার সেবকের জন্য দোয়া করবেন, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যেন ভালো থাকে।

গোয়াইনঘাটের হাদারপার সিমান্তে বেপরোয়া চোরাচালান, ও লাইনম্যান (আখলাকুল আম্বিয়া)সিন্ডিকেট চক্ররের!

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপার ও বিছনাকান্দি সিমান্ত এলাকায় অপ্রতিরুধ্য চোরাচালান ব্যবসা,বেপরোয়া লাইনম্যান (আখলাকুল আম্বিয়া) সিন্ডিকেট চক্ররের!

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য। সেই রাজ্যের নিয়ন্ত্রক এখন স্থানীয় থানা পুলিশের বিট কর্মকর্তা এসআই কামাল, ও সহকারী বিট কর্মকর্তা এএসআই তানভীর, সহযোগিতায় স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক লেবাসধারী খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক (আখলাকুল আম্বিয়া) ব্যাক্তিবর্গ ও লাইনম্যানরা।

স্থানীয় সুত্র জানাযায়, গোয়াইনঘাট থানার ওসি, সার্কেল এসপি, বিট অফিসার ও দমদমিয়া বিজিবির ক্যাম্প কামান্ডারসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে মরিয়া হয়ে উঠেছে হাদারপার,বিছনাকান্দি সীমান্তের বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে, থানা পুলিশের নিয়োগকৃত লাইনম্যানরা প্রতি রাতে থানা পুলিশের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে চোরাচালান বানিজ্য । সুত্র জানায়,

রাজস্ব বোর্ডের ট্যাক্স ফাকি দিয়ে উপজেলার ১ নং রুস্তম পুর ইউপি ও ১৩ নং বিছনাকান্দী ইউপির / সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করতেছে, ওই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতেছে, শতকোটি টাকার, গরু,মহিষ, চিনি,অস্ত্র , কিট, কসমেটিক ,শীতের পোশাক, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন, মোটরসাইকেল ইত্যাদি মালামাল । এসব চোরাচালান সম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন থানা পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত চাঁদাবাজরা। মাফিয়া গ্যাং চক্রের সদস্যরা হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ নং রুস্তমপুর ইউপি/চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন, জালাল মেম্বার,আখলাকুল আম্বিয়া, সিন্ডিকেট চক্ররের সদস্যরা। ভারতীয় গরু প্রতি ২০০০ টাকা নেন, চিনির বস্তা প্রতি ৩শ টাকা, কিট প্রতি ১০০০ টাকা কসমেটিক এর কাটুন থেকে ৫০০ কাটা চাঁদা আদায় করছেন এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। লাইনম্যান আখলাকুল আম্বিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন
স্থানীয় সংবাদকর্মী ও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ কেরছেন খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক আখলাকুল আম্বিয়া,
সিলেট সহ বিভিন্ন সংবাদকর্মী কে ম্যানেজ করেছেন। কয়েক জন সাংবাদিক এর বিকাশ নাম্বারে ২০০০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
আখলাকুল আম্বিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু, স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন এখানে লোকানুর কিছু না যারা যোগাযোগ করেছে সবাইকে দিয়ে, আমাদের একটু সুযোগ দিন আপনাদের কে দেখবো , ভাই আজকে আমাদের বাজার পরে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন আখলাকুল আম্বিয়া।

এবিষয়ে জানতে এসআই কামাল এর ব্যবহার কৃত মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার পোস্টিং হয়েগেছে আমি এসবের কিছুই আমার জানা নেই বলে ফোন রেখে দেন।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল এর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি নিশ্চিত না করে আমি কিছু বলতে পারবনা কারণ আমি এসবের টাকা জানিনা এলাকায় বিট অফিসার ও সহকারী বিট অফিসাররা আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন বলে ফোন রেখে দেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান