বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র!

বুড়িচং প্রতিনিধি:

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিতর্কিত ও রেজিষ্ট্রেশনহীন স্বঘোষিত প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিক ব্যতিত অন্য কোন সাংবাদিক থাকতে পারবে না বলে নতুন ঘোষণা দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার। ২৮মার্চ (বৃহস্পতিবার) উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণের সামনেই কঠোর আচরণে এমন ঘোষণার পর মনোক্ষুণ্ণ হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকগণ বেরিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন বক্তব্য ও আচরণে জেলা ও উপজেলার রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাধারণত বিভিন্ন বাহিনী ও দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিকগণ, ইমাম, পুরোহিত, সাংবাদিকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতিতে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সমস্যা ও সমাধানের চেষ্টাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। এ সভার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সকলের সম্মুখে উঠে আসে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি, উন্নতি এ বিষয়ে পরিকল্পনাসহ সার্বিক বিষয় জানতে পারেন সাংবাদিকগণ। গণমাধ্যম কর্মীরা সভায় আলোচিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে গঠনমূলক তথ্য উপাথ্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়াও এধরনের সভায় সাংবাদিকগণ জনসাধারণের নানা ভোগান্তি সহ বিভিন্ন স্থানীয় নানা সমস্যার বিষয় তুলে ধরে তা সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আনারও চেষ্টা করেন। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের চোখ বলে বিবেচনা করা হয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে। অথচ এধরণের সভা থেকে পছন্দের এক (অপ্রকাশিত আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার) সাংবাদিককে রেখে পেশাদার সাংবাদিক সুনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের সভাকক্ষ থেকে বের করে দেয়া নিয়ে সাংবাদিক সহ সচেতন নাগরিক মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা।
ঘটনার সময় উপজেলা প্রাঙ্গনে উপস্থিত দৈনিক ভোরের কলাম ও এক্সপ্রেস নিউজ প্রতিনিধি, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহফুজ বাবু বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা গোপন কোন বৈঠক নয়। সম্মেলন কক্ষ থেকে এভাবে সাংবাদিকদের বের করে দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় সেখানে বুড়িচং উপজেলায় কেন এমন বৈষম্য হবে? কোনো এমন নিষেধাজ্ঞা তার কারন অবশ্যই জানা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের অনেকেরই প্রশ্ন, যেখানে পূর্বের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণপত্র পাঠাতেন স্থানীয় সমস্যাগুলো উপস্থাপন করার জন্য সেখানে একই উপজেলায় কেন হঠাৎ এমন নিষেধাজ্ঞা!! আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিক মহলের ধরনা সাধারণ অন্যদের থেকে বেশীই, তাহলে তাদের উপস্থিতি কেন বিব্রত করবে কাউকে বা কেন বিব্রত বোধ করবে উপজেলা প্রশাসন?

কুমিল্লা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি হুমায়ুন কবির রনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকগণ যদি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে প্রশাসন কে সহযোগিতা করতে পারে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় তাদের উপস্থিততে কারো সমস্যা বা নিষেধাজ্ঞা থাকবে কেন! এমন আচরণ বা ঘোষণা গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর সভাপতি
আহম্মেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিকদের সাথে এমন বৈষম্যমুলক আচরণ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের কাছে কখনোই কাম্য নয়। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো সহ এ ঘোষনার বিষয়ে সঠিক ব্যখ্যা প্রত্যাশা করে।

এবিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াত হাফিজ বলেন, এমনটাতো আগে কখনো শুনিনি। এমন ঘোষণা বলা বক্তব্য কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকরা থাকবে না কেন? বিশেষ একজন বা পছন্দের কাউকে রেখে অন্যদের বের করে দেয়া ঠিক হয়নি। বৈষম্যমুলক আচরনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আইনগত ভাবে হলেও তো, সরকারি রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত বৈধ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বা সিনিয়র সাংবাদিক সদস্যদের কেউ থাকার কথা। যাকে রাখা হয়েছে তিনি কে, কোন পত্রিকায় কাজ করেন, তিনি স্থানীয় প্রেসক্লাবের কেউ কিনা সেটাও দেখা প্রয়োজন।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র (বুড়িচং উপজেলা শাখা) সভাপতি ও দৈনিক কুমিল্লার কাগজের বুড়িচং প্রতিনিধি সৌরভ মাহমুদ হারুন প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটি পেশাগত সাংবাদিকদের জন্য অপমানের এবং এতে করে সকল সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমরা সাংবাদিক মহল এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মুঃ মুশফিকুর রহমান বলেন,. বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানিনা। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়ার কথা নয়। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে জানাবো।

খালেদা জিয়ার ভাতিজা আসিফের ফেইসবুকে পোষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন মজুমদারকে হত্যা করতে হামলা করেছিল স্টার লাইনের আলাউদ্দিন-জাফর। সহায়তায় ছিলেন দলের একাধিক নেতৃবৃন্দও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাবা (জাহিদ মজুমদার) উপর পরিকল্পিতভাবে হামলাকারীদের নিয়ে পোস্ট করেন খালেদা জিয়ার ভাতিজা জাহির হোসাইন মজুমদার আসিফ।

তাঁর লিখা ফেইসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

আমার বাবার নামঃ জাহিদ হোসেন মজুমদার।
ফেনী জেলার সর্বচ্চো করদাতা- ২০০৮।
আমার দাদা- মরহুম জামশেদ হোসেন মজুমদার।
এই খুনী #স্টারলাইন আলাউদ্দিন ও তার ভাই জাফর আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় #ফেনী ওয়াপদা মাঠে। তাকে সহযোগীতা করে তৎকালীন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ফেনীর বিএনপির মহিলা এমপি-সহ এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, এক পৌর মেয়র, এক আদম দালালসহ ফেনীর মাফিয়া সিন্ডিকেট ও ফেনী শহরের একটি বিশেষ পাড়ার সর্বদলীয় মাফিয়া সিন্ডিকেট। ওরা এখনও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলায় দলের বড়বড় পদবীতে বসে আছে একমাত্র এই স্টারলাইন গ্রুপের কালো টাকার দাপটে। সেদিন রাতে ফেনী-১ এর তৎকালীন এমপি সাঈদ চাচা বাড়িতে ফিরলে আমার বাবাকে কাঁদতে দেখে রেগে যান এবং এই ঘটনার পেছনের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো পরবর্তীতে জানা যায় যে, ১/১১ দালাল জেনারেল মাসুদের শালী মিসেস নাসরিনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় তৎকালীন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ফেনীর বিএনপির মহিলা এমপি-সহ এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, এক পৌর মেয়র, এক আদম দালালসহ ফেনীর মাফিয়া সিন্ডিকেট আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্য ঐ হামলা করে। তারপর সাঈদ চাচা হতবম্ভ হয়ে যান এবং চাচা মারা যাবার আগে আমাকে বলেছিলেন যে, তোমাদের জন্য কিছু করতে পারিনি। ক্ষমা করে দিও।
সাঈদ চাচা মারা যাবার পর আমার বাবার নামে অসংখ্য মামলা দেয় ঐ সিন্ডিকেট, ১৮ বছর আমরা এলাকায় যেতে পারিনা। বর্তমানে ঐ সিন্ডিকেট ফেনীর বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করতে ব্যস্ত রয়েছে।
বেগম জিয়ার চাচাতো ভাই ও বিএনপি কর্মী হওয়াই কি আমাদের অপরাধ? আমরা তো কোন সুবিধাই নেইনি বেগম জিয়ার নাম ব্যবহার করে তাহলে কেন? ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা হওয়া ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় তারা আমার বাবাকে হত্যা করতে চেয়ছিল। স্টারলাইন সিএনজি স্টেশনটির স্হান আমার বাবা বরাদ্দ নিয়েছিলো, কিন্তু ঐ মাফিয়া সিন্ডিকেট সেটি দখল করে বারিধারাকে দিয়ে চাপ দিয়ে। আরও অনেক ইতিহাস আছে এই মাফিয়াদের অপকর্মের। ফেনীবাসী সবই
জানে। সুস্হ তদন্তে সবই বের হবে। ফেনী জেলায় হাজার কোটি টাকার জমি দখলে এরা কত মানুষ খুন করেছে তার কোন হিসাব নেই। আমরা এর বিচার চাই। মাফিয়া মুক্ত ফেনী চাই।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। তারেক রহমান জিন্দাবাদ ॥

সম্পাদনায় : রিয়াদ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়