গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে ইজারার নামে চলছে চাঁদাবাজি

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৫৭ নং ওয়ার্ডে টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন বাজার হিসাবে সুপরিচিত টঙ্গী বাজার। এই বাজারটি প্রতিবছর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। ইজারাদার সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো ইজারার নামে চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ দেখার কেউ নেই? সপ্তাহের প্রতি শনিবার রাত ৯টা থেকে রবিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্য এনে এখানে পাইকারী ক্রয় বিক্রয় করে। সিটি কর্পোরেশনের ইজারার একটি আইন থাকলেও ইজারাদাররা সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের ইচ্ছামতো ইজারার নামে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইজারাদার প্রতিটি দোকান থেকে ইজারার নাম করে ৬ শত টাকা আদায় করছে। দোকানদারদের দেওয়া হচ্ছে না কোন রশিদ। এছাড়াও আলাদা করে প্রতিটি দোকাদান থেকে আদায় করা হচ্ছে বিট ভাড়া বাবদ ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়াও আরে দেখা যায়,ঝাড়ুদার ও নাইট গার্ডের নামে আদায় করা হচ্ছে আরো প্রায় ১/২ শত টাকা, সব মিলিয়ে প্রতিটি দোকানদা থেকে ১৫ শত টাকা হইতে ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক দোকানদার গণ জানান, আমার প্রতি শনিবার রাতে কাপড় বিক্রয় করতে আসি এই টঙ্গী বাজারে,আমরা সিটি কর্পোরেশন এর রাস্তার উপর ২/৩ হাত জায়গার উপর দোকান বসিয়ে কাপড় বিক্রয় করি কিন্তু বর্তমান ইজারাদার তার ইচ্ছে মতো ইজারার টাকা আদায় করে।দেখা যায় সব সাপ্তাহে ক্রয়-বিক্রয় সম্মান হয় না এমন হয় একদম বিক্রি হয় না, তখন যদি আমরা টাকা দিতে একটু দেরি করি তাহলে আমাদের উপর চলে নির্যাতন। আমরা ভয়ে বাড়ী থেকে আনা টাকা থেকে তারা যা চায় তাই দিয়ে দেই। বর্তমানে আমরা একটি দোকানের ইজারার ৬ শত টাকা সহ মোট ১৫ শত টাকা হইতে ২ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান মৃধার সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, টঙ্গী বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে, সিটি কর্পোরেশনের যে সকল বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা সিটি কর্পোরেশনের সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা আদায় করবে। সরকারি নিয়মের বাহিরে যদি কেউ অতিরিক্ত খাজানা আদায় করে,যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সেই ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ( চলবে)

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

৩৬,শতকোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার পথে

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ
উইকেয়ার প্রকল্পে আত্মীয়করণে শতাধিক নিয়োগ

সুমনা আক্তার:
এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এবং একজন ইউ টিউবার। ধনাঢ্য,পিডি এবং ঘুষ দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত ও তার নির্মিত বিভিন্ন কনটেন্টে অন্যদের ঘুষ গ্রহণে উৎসাহিত করার ঘটনা প্রমান ও পাওয়া গেছে।
এলজিইডি সূত্র জানায় মমিন মুজিবুল হক পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উইকেয়ার নামের একটি প্রকল্পের পিডি। ইতিপূর্বে তিনি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প ও ভোলা জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করা ও পরবর্তীতে সরকারি চাকরির পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন।মহা ধুরন্ধর ও আকন্ঠ নিমজ্জিত দুর্নীতিবাজ এই প্রকৌশলী চাকুরী জীবনের শুরুতেই ব্যাপকভাবে ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সবখানে সে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে পালনের থেকেও ঘুষ গ্রহনের দিকে নজর দিতেন।সেই সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ধানমন্ডির মতো অভিজাত এলাকায় পাঁচটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
সূত্র জানায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পিডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যে স্মৃতি স্তম্ভ গুলো নির্মাণ করে ছিলেন তার আশি ভাগ টাকা তিনি মেরে দিয়েছেন। জানা যায় তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়ে বলে দিতেন তাদের টাকা দিয়ে ‌স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করতে পরবর্তিতে ভূয়া টেন্ডার দেখিয়ে সমুদয় টাকা পিডি টুটুল সমাজি হজম করে দিতেন। পরবর্তিতে ভোলা জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি’র দায়িত্ব গ্রহনের পর তার অনিয়ম দুর্নীতি আরো বেড়ে যায়। সূত্র জানায় পাঁচ পার্সেন্ট ঘুষ নিয়ে রাস্তা ও ব্রীজের অনুমোদন দিতেন আবার ফান্ড আসলে ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়ে দিতেন ঠিকাদার থেকে টু পার্সেন্ট টাকা আদায় করতে এবং তার কাছ থেকে কড়ায়গণ্ডায় ঘুষের টাকা আদায় করতেন। বর্তমানে সমাজি উইকেয়ার নামে একটি প্রকল্পের পিডি।এই প্রকল্পের জনবল নিয়োগ ও কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগে মোটা অংকের ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। উইকেয়ার প্রকল্পটি ২০২১ সালে শুরু হয়ে ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু এখন পযন্ত ৩০% কাজ শেষ হয়েছে, প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই ২২ জেলার প্রকল্পের প্রা ৮৬ জন সুপারভাইজারদেরকে সরিয়ে দিয়েছেন,এখন প্রকল্পটি ভেস্তে যাওয়ার পথে।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নগ্নভাবে রাজনীতি করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সমাজি নগ্নভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন এবং বলতেন অবসরে গেলেই পাবনার নিজ এলাকা থেকে এমপি নির্বাচন করবেন বলে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করছেন।
সূত্র জানায় পাঁচ আগষ্ট আ’ লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকদিন গাঢাকা দেন টুটুল সমাজি। এখন অফিসে আসলেও খুব কম সময় অফিসে থাকেন। জানা যায় বিগত ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের সময় টুটুল সমাজি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ভয়ে ছিলেন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় কেনা ধানমন্ডির পাঁচটি ফ্ল্যাটর খবর অঢেল সম্পদের মালিক তা‌ যদি সেনাবাহিনী জানতে পারে তাহলে নির্ঘাত তাকে গ্রেফতার করবে। এই ভয়ে তিনি আত্মগোপনে থেকে তার বন্ধুদের বলতেন আমার সবগুলো ফ্ল্যাট সেনাবাহিনী নিয়ে নেক তবু যেন তাকে গ্রেফতার না করে।
সূত্র আরো জানায় সেখ মহসিন যখন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী তখন দুই হাজার ২০০ জনবল নিয়োগ দেয়। জিওবির এই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়। ধুরন্ধর সমাজি প্রায় ৫০ জন লোক নিয়োগের চুক্তি করে সেখ মহসিনের সাথে।ওই নিয়োগে মাথাপিছু দশ লাখ টাকা হারে ঘুষ নেন,আর অর্ধেক টাকা সমাজি নেয় বাকি অর্ধেক টাকা সেখ মহসিনকে দেয়া হয়। এবিষয়ে মন্তব্য জানতে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের