বামুন্দি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘূষ ও দূর্নীতির অভিযোগ

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
সম্প্রতি গাংনী উপজেলার ০৪ নং বামুন্দি ইউনিয়ন পরিষদে বাদিয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম রিন্টু তার ওয়ারিশ সনদ নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ যায়। যেখানে কর্তব্যরত ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম এর কাছে যায়। পরিষদের চেয়ারে বসে মো: মনিরুল ইসলাম ওয়ারিশ পত্র বাবদ নগদ ৫০০/- ঘুষ চায়। তাতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বাধ্যতামূলক সচিবকে ৫০০ টাকা প্রদান করে। ঘুষের বিনিময়ে তাকে বামুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াইদুর রহমান কমলের স্বাক্ষর ছাড়া একটি ওয়ারিশ সনদ প্রদান করে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি মনিরুল ইসলামের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। ঘটনাটি শুনে চেয়ারম্যান আফসোস করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষর করেন দেন এবং বলেন,অচিরেই বামুন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশ সনদ পত্র, জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও বিরোধ নিস্পত্তিসহ অন্যান্য উৎকোচ নেওয়া বন্ধ করা হবে।
উক্ত ঘটনার পেক্ষিতে ভুক্তভোগী জানান,বামুন্দি ইউনিয়নের নাগরিক অধিকার ক্ষর্ব করে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল বামুন্দি ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে ঘূষ ও দূর্নীতির অভিযোগ।

গত ২০ জুন ২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১ টার সময় গাংনী উপজেলার ০৪ নং বামুন্দি ইউনিয়ন পরিষদে বাদিয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম রিন্টু তার ওয়ারিশ সনদ নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ যায়। যেখানে কর্তব্যরত ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম এর কাছে যায়। পরিষদের চেয়ারে বসে মো: মনিরুল ইসলাম ওয়ারিশ পত্র বাবদ নগদ ৫০০/- ঘুষ চায়। তাতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বাধ্যতামূলক সচিবকে ৫০০ টাকা প্রদান করে। ঘুষের বিনিময়ে তাকে বামুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াইদুর রহমান কমলের স্বাক্ষর ছাড়া একটি ওয়ারিশ সনদ প্রদান করে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি মনিরুল ইসলামের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। ঘটনাটি শুনে চেয়ারম্যান আফসোস করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষর করেন দেন এবং বলেন,অচিরেই বামুন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশ সনদ পত্র, জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও বিরোধ নিস্পত্তিসহ অন্যান্য উৎকোচ নেওয়া বন্ধ করা হবে।
উক্ত ঘটনার পেক্ষিতে ভুক্তভোগী জানান,বামুন্দি ইউনিয়নের নাগরিক অধিকার ক্ষর্ব করে ইউপিপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম ঘুষের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আইনানুগ ব্যবস্থা জন্য অনুরোধ করেছেন। ঘুষের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আইনানুগ ব্যবস্থা জন্য অনুরোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

অর্থনীতিবিদ আনিসুর রহমান আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার:

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আনিসুর রহমান মারা গেছেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

অধ্যাপক আনিসুর রহমানের ছাত্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম এম আকাশ জানান, অধ্যাপক আনিসুর রহমান বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন।

এম এম আকাশ বলেন, অসুস্থ অবস্থায় অধ্যাপক আনিসুর রহমানকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

অধ্যাপক আনিসুর রহমানের জন্ম ১৯৩৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা ঘোষণাপত্র তৈরিতে সহায়তা করেন অধ্যাপক আনিসুর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠকও ছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনে অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন আনিসুর রহমান।

তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই পথে যা পেয়েছিতে লেখা হয়েছে, ১৯৭৭ সালে আনিসুর রহমান জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার আমন্ত্রণে ওই সংস্থায় যোগ দেন। সেখানে তিনি গ্রামীণ উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণের ওপর একটি বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেই কর্মসূচি তিনি পরিচালনা করেন।

১৯৯১ সালে অধ্যাপক আনিসুর রহমান দেশে ফিরে আসেন। অংশীদারি গবেষণা এবং আত্মনির্ভর অংশীদারি উন্নয়নের দর্শন ও পদ্ধতিগত প্রশ্নে তাঁর অবদান বিশ্বস্বীকৃত এবং বিভিন্ন দেশে এই কাজে তাঁর চিন্তা ও রচনাবলি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সমাজ ও উন্নয়ন–দর্শন ছাড়া অধ্যাপক রহমান রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং গবেষক হিসেবে সুবিদিত।

এম এম আকাশ তাঁর শিক্ষকের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘অধ্যাপক আনিসুর রহমানকে আমরা শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম। প্রথম দিনের ক্লাসে তিনি আমাদের বলেছিলেন, তোমাদের কোনো টেক্সট বই নেই। তোমরা মাইক্রো ইকোনমিকস শিখবে কৃষকদের কাছ থেকে।’

এম এম আকাশ বলেন, অধ্যাপক আনিসুর রহমানের আত্মীয়স্বজন ঢাকায় এ মুহূর্তে নেই। এ জন্য তাঁর মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।

অধ্যাপক আনিসুর রহমানের অন্য বইগুলোর মধ্যে আছে উন্নয়ন জিজ্ঞাসা, যে আগুন জ্বলেছিল: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ, মাই স্টোরি অব ১৯৭১, অপহৃত বাংলাদেশ ইত্যাদি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান