খাগড়াছড়ি গণপূর্তের প্রকৌশলী দুর্নীতির শীর্ষে– জিম্মি ঠিকাদাররা!

রায়হান হোসাইন,  চট্টগ্রামঃ-

খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ঘীরে দূর্নীতি বিস্তার লাভ করেছে। তার বিরুদ্ধে টেন্ডার কারচুপি, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া, দরদাতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেওয়া, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবেচিত দরদাতাদের কাজ নিজের পছন্দের মানুষদের দিয়ে করানোসহ নিজেই ঠিকাদার হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
ঠিকাদারদের অর্থ আত্মসাতসহ টেন্ডার নয় ছয় করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও তৈয়বীয়া ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান বলেও জানা যায়। যা তার বড় ভাইয়ের নামে নামমাত্র।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাতর হোসেন নাকি অনেক প্রভাবশালী। ঘুষ ছাড়া সই করেন না কোন দাপ্তরিক কাজে। ইতিমধ্যে এই সরকারী কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নিজের জেলা ফেনীতে তার নামে বেনামে জমিসহ কয়েকটি প্লটও রয়েছে এ ছাড়াও চট্টগ্রামের কর্ণেলহাটে ৫ তলা বিল্ডিং এর কাজ চলমান রয়েছে। বেশ কয়েকটি দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগপত্র সরকারি বেশ কয়েকটি দপ্তরে জমা দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। গত ০৫/০২/২০২২ইং তারিখে একটি অভিযোগপত্রে উল্ল্যেখ আছে, তিনি খাগড়াছড়ি গণপূর্ত উপ-বিভাগের তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন ঠিকাদারকে টেন্ডার পাওয়ার পরে উক্ত কাজ নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করার জন্য দরপত্র গ্রহীতাকে মোটা অংকের ঘুষের প্রলোভন দেখায় ও নানা ছলছাতুরী করে পরে এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে তিনি প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের মাধ্যমে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকেন। এখানে আরো উল্লেখ আছে, তিনি ৯৫% ঠিকাদারকে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী মহল দ্বারা হুমকি ধমকি দিয়ে হয়রানি করেন।

এন সি এন্টারপ্রাইজের মালিক নোমান চৌধুরী বলেন, তিনি কাজ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে কোন কাজ দেননি। টাকা কিংবা কাজ চাইলে তিনি আমাকে প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসন দিয়ে হুমকি দেন।
তার এহেন কর্মকান্ডে ঠিকাদারদের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে ফলে সরকারি পরিকল্পনা ও নির্দেশনা থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অবহেলিত এ পার্বত্য জেলাটি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গণপূর্ত বিভাগের খাগড়াছড়িস্থ উপ সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসবকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, কাজ করতে গেলে কিছু ভুল-ত্রুটি বা অনিয়ম হওয়া স্বাভাবিক। তবে সেটা এত ব্যাপক নয়। তবে সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ীই কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

অপমান সইতে না পেরে বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

। বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে নাছরিন আক্তার রুপা(১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। (৫ অক্টোবর ২০২২) বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাছরিন আক্তার রুপা শংকুচাইল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহত নাছরিন আক্তার রুপা’র বাবা আব্দুল মালেক জানান,পিতৃসম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাই সৈয়দ আলীর দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল।তাদের এ বিরোধের জেরে সমাধানের লক্ষ্যে গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অপমানমূলক কথাবার্তা তুলে চাচা সৈয়দ আলী। গত বুধবার সকালে রুপার বাবা আব্দুল মালেক তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে স্ত্রী,ছেলে-মেয়ের সাথে সৈয়দ আলীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে চাচা সৈয়দ আলীসহ স্ত্রী, মেয়ে রুপাকে বেশ্যা বলে গালি দেয় এবং অপমানমূলক কথাবার্তা বলে। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে ওই দিন বিকেল ৩টার সময় পরিবারের অজান্তে আব্দুল মালেকের পূর্ব ভিটার ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে তীরের সাথে সাদা উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা-ভাই ও স্থানীয়রা দরজা ভেঙে রুপাকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমানের নির্দেশনায় এসআই আব্দুল জব্বার কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রুপার চাচা ও তার পরিবারকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানান। বাড়িতে এসে মেয়ে লাশ দেখে বাবা আব্দুল মালেক অসুস্থ হয়ে বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় সরেজমিনে গিয়ে সৈয়দ আলীর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মাস্টার ও গ্রামের জলিল সর্দার দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকা -র প্রতিনিধিকে জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান কলেজ ছাত্রী নাছরিন আক্তার রুপার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,থানাতে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে আত্মহত্যা কি কারণে করেছে তা সঠিক কারণ জানা যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম