১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:২১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার॥
আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতা রাখার জন্য বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের একটি অংশ কাজ করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তেল-গ্যাস, দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের ওপর হামলায় নাগরিক সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদ সাংস্কৃতিক দল।
আমির খসরু বলেন, আজকের সব কিছু উপেক্ষা করে একটি দখলদার সরকার বসে রয়েছে। বাংলাদেশের আইন প্রয়োগ হচ্ছে তাদেরকে রাখার জন্য। তাদেরকে রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোমরে রশি বাধা হয়েছে। তাদেরকে রাখার জন্য বিরোধীদলের ১৭ নেতাকে খুন করা হয়েছে। তাদেরকে রাখার জন্য ৩৭ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। যারা ভিন্নমতের তারা আজ রাষ্ট্রীয় শত্রু হিসেবে পরিণত হয়েছে।
নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে রাষ্ট্রপতি হয়েছে তা নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে, প্রশ্ন উঠেছে, এটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে লেখালেখি হচ্ছে। বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও পেশাজীবীরা রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন, এগুলো নিয়ে আমি কোনো কথা বলবো না। কারণ এ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় বসেছে। দেশ দখল করে বসে আছে। দখলদাররা কাউকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, কাউকে মন্ত্রী বানিয়েছেন, কাউকে এমপি বানিয়েছেন। এদের আইনের তো কোনো বালাই নেই। এখানে আইনের কোনো প্রশ্ন আসে না। যারা এদেরকে বানাচ্ছে তারাই তো দখলদার অবৈধ। সরকার অবৈধ, যে নির্বাচন কমিশনারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছে তারাও অবৈধ। পুরো বিষয়টা হচ্ছে যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ। সুতরাং কাকে রাষ্ট্রপতি বানাল, কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাল, কাকে মন্ত্রী বানাল, কাকে এমপি বানাল এটা নিয়ে মাথাব্যথার কারণ নেই। এটা নিয়ে আলোচনা করার কোনো দরকার নেই।
Leave a Reply