1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
মালা শাড়ির মায়ায় - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৭:০০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

মালা শাড়ির মায়ায়

মালা শাড়ির মায়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
‘নববধূকে মধুর স্বপ্নে রাঙিয়ে তোলে’—এই ট্যাগলাইনে মালা শাড়ি প্রসিদ্ধ ছিল দেশজুড়ে। সীমিত আয়ের পরিবারে একসময় এ শাড়ি ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান কল্পনা করা যেত না। ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে জিঙ্গেলের শেষে একটা কণ্ঠস্বর, ‘শতরূপে তুমি অপরূপা নারী, মালা শাড়ি’। অর্থাৎ, মালা শাড়ির এত বৈচিত্র্য যে এর প্রতিটিতেই নারীর একেকটি রূপ দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। তাতেই সে অপরূপ।

বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা যায়, নানা রং এবং প্রিন্টের মালা শাড়ি পরে একই নারী বিচিত্র রূপে উদ্ভাসিত। কনের সাজে যেমন, তেমনি আটপৌরে ঘরোয়া পরিবেশে কিংবা গ্রামবাংলার নিসর্গে বাঙালি নারীর সৌন্দর্যে জড়িয়ে আছে এই শাড়ি।

এ তো গেল পর্দায় দেখা ছবির বর্ণনা। বাস্তবেও তাই। নইলে বাংলাদেশের নারীরা এই ব্র্যান্ডের শাড়ি এত পছন্দ করবেনই-বা কেন? এ প্রশ্নের জবাবে স্মৃতিতে ধরা দেয় ‘মালা শাড়ি না দিলে বিয়া করুম না’—আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় এ সংলাপ। বোঝা যায়, এ শাড়ি বাঙালি নারীর কাঙ্ক্ষিত পরিধেয় শুধু নয়, চলতি ধারাও বটে। বিয়ে নামের সামাজিক আনুষ্ঠানিকতায়ও যা এড়ানো যায় না। এ কথা বলা যায়, বাংলাদেশে নারীদের কাছে মালা শাড়ি প্রথম সুপরিচিত ব্র্যান্ড। ১৯৬৮ সালে আনোয়ার হোসেনের প্রতিষ্ঠিত আনোয়ার সিল্ক মিলস থেকেই এটি বাজারে আসে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এ শাড়ি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে বলা হতো, ‘বিয়ে মানেই মালা শাড়ি’। নারীদের কাছে এটি যখন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, বাজারে তখন অবাঙালিদের তৈরি শাড়ির রমরমা। ফলে বলা যায়, মালা শাড়ির উত্থান বৈপ্লবিক। এটি পরবর্তীকালে শাড়ির বাজারকে প্রভাবিত করেছে। শাড়ি উৎপাদনে উৎসাহ জুগিয়েছে বাঙালি উদ্যোক্তাদের।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!