১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:০১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
অনলাইন ডেস্কঃ
গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি, মিলিটারির পকেট থেকে যাদের জন্ম, তারা না-কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে।
যে সংবিধান বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানের ওপরও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপি প্রথমে লেবাস পরে ক্ষমতায় আসে। আবার সেই লেবাস খুলে দল গঠন করে রাজনীতি করা। আজ সেই ক্ষমতা দখলকারী তারা আবার নাকি গণতন্ত্র চাই। যাদের জন্মই হয়েছে মিলিটারি ডিক্টেটরের উর্দি থেকে। তাদের কাছে প্রশ্ন করা উচিত, তোদের জন্মটা কোথায়। তারা নাকি আবার গণতন্ত্র দেবে। ’
তিনি বলেন, আমাদের অগণিত মানুষের প্রতি তারা অত্যাচার করেছে। আমরা তো তাদের মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছি। তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঠে নামতে দেয়নি। এখন তারা দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের ওপর নাকি অত্যাচার করা হয়। ওরা আমাদের সাথে যা করেছে, তার যদি এক ভাগও আমরা করি তাহলে ওদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এর কোনো প্রতিশোধ নেয়নি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষকে কী দিয়েছে? দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি। নিজেরা নিয়েছেন। কী পরিমাণ নিয়েছে সেটা তো আগেই বলেছি। আর বলতে চাই না। এ দেশের মানুষের সেটা জানা উচিত। তারা কীভাবে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের রাষ্ট্র দিয়েছেন, জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের শোষিত, বঞ্চিত মানুষদের জন্য, যে তাদের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন। গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের যুদ্ধটা ছিল একটি জনযুদ্ধ। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এ দেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এ দেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।
Leave a Reply