1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. mursalin1982@gmail.com : Protiva Prokash : Protiva Prokash
  3. reporting.com.bd@gmail.com : news sb : news sb
  4. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  5. mahtabur0@gmail.com : Daily Sobuj Bangladsesh : Daily Sobuj Bangladsesh
  6. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
লৌহজংয়ে মেয়েকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ মা তানজিলার বিরুদ্ধে - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৬:২৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

লৌহজংয়ে মেয়েকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ মা তানজিলার বিরুদ্ধে

লৌহজংয়ে মেয়েকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ মা তানজিলার বিরুদ্ধে

বিপুল মাহমুদ,মুন্সীগন্জ থেকে।।

মুন্সীগন্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে এক মায়ের বিরুদ্ধে ভয়ানক ও নির্মম অভিযোগ উঠেছে।যা শুনলে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়।নিজের আপন মেয়েকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানো,নিজের মুঠোয় মেয়েকে রাখতে তাঁর সংসার ভেঙে দিতে মেয়ের স্বামীকে সূদুর গাজীপুরে ডেকে নিয়ে অমানবিক মারধর
করে তাঁর মোবাইল ফোন,নগদ সাতাশ হাজার টাকা ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ঢাকাগামী বাসে উঠিয়ে দেবার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষান্ত হননি তিনি।মেয়ে জামাইকে হত্যা করতে কালোজাদু করতে তান্ত্রিককে পঁচিশ হাজার টাকাও দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন সেই তান্ত্রিক স্বয়ং নিজে।আপন মায়ের এমন কাজে হতভম্ব স্থানীয় সাধারণ মানুষ।সবাই সেই মায়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত মায়ের নাম তানজিলা মনি (৪২)।মোঃ আবুল খায়ের ও মমতাজী বেগমের সাত সন্তানের বড় সন্তান তানজিলা।তিনটি বিয়ে হলেও সবই ডিভোর্স হবার পর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে তানজিলা প্রথমে ওমান ও গত
দুই বছর সৌদি আরব প্রবাসী।তাঁর প্রথম স্বামীর ঘরের
দুই মেয়ে।নিজের জীবন কাহিনী বর্ননা করা আটান্ন মিনিটের একটি অডিও রেকর্ডে হতভাগা ঐ মেয়ের বর্ননায় জানা যায়,ওমান থাকাকালীন তানজিলা বড় মেয়েকে স্মার্টফোন কিনতে টাকা পাঠায়।ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খুলতে বলে পরিচিত লোক দিয়ে।১৩ বছরের মেয়ে এসবের কিছুই বুঝতোনা।ওমান থেকে প্রায়ই তানজিলা ইমোর মাধ্যমে বিভিন্ন ছেলের সাথে পরিচয় ও কানেক্ট করে দেয়।বলে দেয় মেয়েকে এরা কল দিলে সুন্দর করে কথা বলবি।প্রতিদিন রাতভর একের পর এক প্রবাসী ছেলে মেয়েকে ভিডিও কল দিয়ে বাজে কথা বলতো,বাজে প্রস্তাব দিতো।বিরক্ত হয়ে মায়ের কাছে নালিশ করলে তানজিলা উল্টো ধমক দিয়ে বলতো,মোবাইলেইতো চাইছে।সরাসরি কিছু তো আর না।একসময় মেয়ে বুঝে যায়।পরে সেই ছেলেদের একজন ইতালি প্রবাসী আরিফ(২৬) ভিডিও কলে মেয়েকে বাজে কাজ করতে বললে সে সরাসরি না করে দিলে আরিফ তাঁকে জানায়,এটার জন্য সে ইতালি থেকে
তাঁর মাকে অনেক টাকা দিয়েছে।আরিফকে ব্লক করে দিলে পরদিন তানজিলা মেয়েকে ওমান থেকে অনেক বকাঝকা করে ব্লক খুলে দিতে বলে।মায়ের এসব কাজ
ভালো না লাগায় বড় মেয়ে একদিন বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যায়।পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে ঢাকার কালীগঞ্জে একটি মেসে থেকে স্থানীয় গার্মেন্টসে কাজ শুরু করে।
দুই মাস পরই তানজিলা দেশে ফিরে কালীগঞ্জ থেকে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে আসে রীতিমতো ফিল্মি ষ্টাইলে।
দুই মেয়েকে নিয়ে চলে আসে নারায়ণগঞ্জে।ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে।আবারও ইমো বানিজ্যে মেয়েকে জড়াতে চাইলে সে বলে গার্মেন্টসে চাকরি করে সব টাকা তোমাকে দিব।আমার এসব ভাল্লাগেনা মা।
ফতুল্লার বিসিকে সারাদিন ধরে কাজ করে বাসায় এসে
রাতে তানজিলা মেয়েকে বাধ্য করতো কারোনা কারো সাথে ইমো নোংরামি করতে।বেতনের টাকায় ভাড়াই হয়না,এসব না করলে তাঁরা খাবে কি?বড় মেয়ে হয়ে মা বোনের কষ্ট না বুঝলে চলে?এসব বলে মেয়েকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে তানজিলা।একসময় ফ্ল্যাটে
বিশেষ করে শুক্রবারে বিশেষ কেউ আসতে শুরু করে।
দোকান থেকে সওদা কেনার কথা বলে ছোট মেয়েকে নিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে যেতো তানজিলা।তারপর যা হবার তাই হতো।১৬ বছর বয়সেই
মেয়েকে দিয়ে মোটা অংকের টাকা কামানো তানজিলা বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়।ওদিকে মেয়েটি মুক্তি খুঁজতো।এসময় চল্লিশোর্ধ তিন সন্তানের জনক এক ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে।যা পরে বিয়েতে গড়ায়।তানজিলা বিয়েতে রাজি ছিলোনা।কিন্তু মেয়ে তাঁকে বোঝায়,ঐ লোক তোমার সংসার ভাসায়ে দিব।তুমি টেনশন না করে রাজি হও।বিয়ের তিনদিন পর তানজিলা মেয়ে জামাইয়ের কাছে টাকা দাবী করে।জামাই কিছুদিন সময় চায়।আসলে মেয়ে মুক্তির লোভে নিজের স্বামীকে বড় হিসেবে জাহির করেছিলো।মেয়েকে তানজিলা অনেক চাপ দেয় তালাক
নিতে।সেটি না করায় তানজিলা দুই মাসের বাসা ভাড়া বকেয়া রেখে সৌদি আরবে চলে যায়।সৌদি থেকেও সে
আগের সিষ্টেমে মেয়েকে ইমোতে এ্যাকটিভ হতে বলে।
মেয়েকে তানজিলা হুমকি দেয়,যদি ঐ ব্যাডারে না ছাড়স তাইলে তরে আমি ত্যাজ্য করমু।মায়ের মন রাখতে প্রায়ই স্বামীর ঘর ছেড়ে দুয়েক দিন কান্দিপাড়া নানীর কাছে থেকে মায়ের কথা মতো বিভিন্ন জায়গায়
সার্ভিস দিয়ে বিবেকের তাড়নায় আবার স্বামীর কাছে এসে মিথ্যা বাহানা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিতো।বিয়ের একবছর দশ মাসে নয়বার মা তানজিলার নির্দেশে সে ঘর ছেড়েছে।তাঁর স্বামী সম্মানিত ব্যক্তি হওয়ায় প্রতিবার
তাঁকে ঘরে তুলে নিয়ে বুঝিয়েছেন।সর্বশেষ গত মাসের আট তারিখ তানজিলা দেশে ফিরে আসে।নয় তারিখ মায়ের সাথে দেখা করতে কান্দিপাড়া যায় মেয়েটি।কথা
ছিলো পৌঁছেই কল দিয়ে জানাবে।কিন্তু পাঁচদিনেও কল
আসেনা।বহু চেষ্টার পরে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন স্বামী।স্ত্রী কেঁদে স্বামীকে বলে,মা আমাকে আর তোমার কাছে যেতে দিবেনা।তুমি আমাকে ভুলে যাও।
মা চাকরি করতে নয়তো তাঁর পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে করতে বলে।আমি চাকরি করবো বলেছি।স্বামী বহু চেষ্টা করে শ্বাশুড়ির সাথে কথা বলতে।বিভিন্ন নম্বরে কল দিয়ে কথা বলার আগেই লেখার অযোগ্য ভাষায় বকা দিয়ে ব্লক করে দেয়।২১ দিন পর স্ত্রী ঘন্টা খানেকের জন্য স্বামীর বাসা নারায়ণগঞ্জে এসে জানায়,এখন থেকে সে ঢাকায় থাকবে।মা চলে গেলে আবার সে ফিরে আসবে।রোজই মোবাইলে তাঁদের কথা হতো।গত ৮ই নভেম্বর হুট করেই সারাদিন ধরে স্ত্রীর মোবাইল বন্ধ পায়
স্বামী।রাত নয়টায় কল দিয়ে ঐ মেয়ে স্বামীকে বলে সে গাজীপুরে যাচ্ছে। দুয়েক দিন পর ফিরবে।মায়ের কথায়
সে যাচ্ছে।স্বামী এতে তীব্র আপত্তি জানালে দুজনের মধ্যে মোবাইলে ঝগড়া হয়।পরে রাত সাড়ে এগারোটায় স্বামীকে কল দিয়ে স্ত্রী সরি বলে।বলে আমি অনেক মানসিক কষ্টে আছি।তোমাকে সব বলতে চাই।কিন্তু তা সরাসরি বলবো।কাল গাজীপুর আসো তুমি।স্বামী নিজের অসুস্থতার কথা বললে স্ত্রী বলে,এটাই তোমার ভালোবাসার আসল রুপ বলে ফোন বন্ধ করে দেয়।
এদিকে স্বামীর আগে থেকেই শিডিউল ছিলো ১০ তারিখ সাতাশ হাজার টাকা নিয়ে দৈনিক ঢাকার টাইম পত্রিকার সম্পাদক নাঈম হাসানের অফিসে যাবার।
ফোন করে শিডিউল একদিন এগিয়ে তথা পরদিন ফিক্সড করে স্বামী।সকাল ৫টায় গাজীপুরের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তিনি।টঙ্গী পার হয়ে স্ত্রীকে কল দেন
স্বামী।জানান তিনি আসছেন।মাষ্টার বাড়ী নামতে বলা হয় স্বামীকে।সকাল সাড়ে আটটায় মাস্টার বাড়ী নামেন তিনি।মোবাইলে তাঁকে বলছিলো সামনে,তারপর ডানে এভাবে একটি মেহগনি বাগানে।দাঁড়িয়ে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।হুট করেই চারজন লোক এসে স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।একসময় টাকা,মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে একটা সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বলে,জীবনে আর বউয়ের নাম নিবিনা।এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবিনা। এতে তোর আর তিন সন্তানের মঙ্গল হবে।একটি অটোরিকশায় তাঁকে তুলে দিয়ে ভাড়া বাবদ দুইশো টাকা
ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।মেইন রোডে এসে অনেক খুঁজে নাঈম হাসানের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে কল দিয়ে
সবকিছু বলেন।আর কোন স্টেপ না নিয়ে তাঁর সাথে দ্রুত দেখা করতে অনুরোধ করেন।নাঈম হাসানের সহযোগিতায় রাত দশটায় নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসেন তিনি।এই প্রতিবেদককে নাঈম হাসান বলেন,বিষয়টিতে
ওনার স্ত্রী জড়িয়ে পড়ায় উনি চাননি এটা জানাজানি হোক।তাই কিছু করা হয়নি।উনি কেবল সিমটি ফেরত চেয়ে গত তিনদনে আড়াই শত এসএমএস করে অনুনয়
করেও সিমটি ফেরত পাননি।এই প্রতিবেদক লৌহজংয়ে
কান্দিপাড়া ও আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলে জেনেছেন,তানজিলা সীলমোহর প্রাপ্ত বাজে নারী।মেয়ে আর কতো ভালো হবে।সজিব আহমেদ (৩২)জানান এই কান্দিপাড়ার কলংক ঐ পরিবারটি।নারী-পুরুষ সবাই তানজিলার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »