৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:৫৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোঃরাজু আহম্মেদ – সুইটি খানম ঃ
গত ১৪/০৬/২০২২ ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ৩:০০ ঘটিকার সময় যাত্রাবাড়ী থানার পাশে কাচামালের আড়ত থেকে লিটন নামে এক ব্যাক্তিকে ধরে আল্লাহর দান মৎস ভান্ডারের অফিস রুমে আটকে রেখে ১ রাত ২ দিন ধরে মাথায় হেলমেট পরিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন ও ২০,০০০ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এছাড়াও সাথে থাকা নগদ ২ হাজার টাকা ও দামী স্যামসাম মোবাইল ছিনিয়ে নেয় । এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফরহাদ মাদক ব্যাবসায়ীকে ধরিয়ে দিতে বললে এবং আমি তাতে না স্বীকার গেলে নিরযাতনের পরিমান বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে নিজের জীবন বাচানোর তাগিদে আমি মাদক ব্যাবসায়ী ফরহাদকে ধরিয়ে দি। পরবর্তীতে ফরহাদকেও ঐ একই ভাবে জিম্মি করে নির্যাতন করে ফরহাদও তার জীবন বাচানোর তাগিদে কাচপুর থেকে একটি মাদকের কাজ তুলে দেওয়ার কথা বলে ও ১৬/০৬/২০২২ ইং মিন্টু নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে ৫০ গ্রাম গাঞ্জা সহ ধয়ে দেয় । কিন্তু এই মিন্টুকে তারা ধরার পর ৫০,০০০ ( পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়ে দফারফা করে মিন্টুকে ছেড়ে দেয়।
উক্ত গংযের সদস্য যথাক্রমে, ১/ মোঃ রাসেল @সোর্স কাইল্লা রাসেল (৩৫), পিতা:- মোঃ হারুন, ২/ সোর্স রাব্বি (২৫) পিতা:-মোঃ হারুন ৩/ সোর্স নাসির (৩০), পিতা- অজ্ঞাত, ৪/ সোর্স মিঠু @ গাল কাটা মিঠু (২৫), পিতা- অজ্ঞাত, ৫/ সোর্স আমির (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, ৬/ সোর্স হাবিব (২৮), পিতা-অজ্ঞাত, ৭/ সোর্স জাহাঙ্গীর (২৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- ডেমরা চৌরাস্তা, থানা- ডেমরা ৮/ সোর্স সুমন @ ল্যাংরা সুমন (৩৫), পিতা- অজ্ঞাত, ৯/ সোর্স রিপন @ গুজা রিপন (৩৫), পিতা- অজ্ঞাত সর্ব সাং- যাত্রাবাড়ী, থানা- যাত্রাবাড়ী।
মৎস আড়তের পর এইবার একজনকে লিডার করে উক্ত গং এর নতুন শাখা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা , ১ । ওয়াজিদ ডিলার ( কাচামালের আড়ত শাখার লিডার ), মাতা- শেফালী, ২। নিলয়, ৩। শুক্কুর , ৪। অভিনাশ, ৫। সুমি ( পাইটু সুমি ) । উক্ত গং দারা কাচামালের আড়তে মাদকের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে ডেংগু রতন গং । ওয়াজেদের দাপটে আড়তের কোনায় কোনায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে গং এর অন্য সদস্যরা। প্রশাসনের চোখের সামনে থেকে চলছে মাদকের রমরমা ব্যাবসা। প্রশাসনের নজরদারী আনার আগেই দারোগারা পরিচয় দেন এরা আমার সোর্স, যে কোনো সময় মাদক পাওয়া যেতেই পারে।
এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনা অনুসন্ধান করে দেখেন উক্ত সকল ঘটনার ও গং এর গডফাদার সোর্স রতন ওরফে ডেংগু রতন ও উক্ত গং সোর্সের আরালে মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত । উক্ত গং যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সোর্সের কাজ করেন বিধায় এই ডেংগু বাহীনির সকল অপকর্মের কথা গোপন রাখতে বাধ্য হোন এলাকাবাসী কারন মুখ খুললেই মামলা ও গুমের ভয়। এদের সকল অপকর্মের টর্চার সেল বানান আল্লাহর দান মৎস ভান্ডারের দ্বিতীয় তলায় । জানা যায় যাত্রাবাড়ী থানা এরিয়ার মধ্যকার শতাধিক ব্যাবসায়ী নিয়ন্ত্রন করেন সোর্স রতন ওরফে ডেংগু রতন ।
বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর যাত্রাবাড়ী থানার কিছু পুলিশ অফিসার উক্ত আল্লাহর দান মৎস ভান্ডারের দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষে উক্ত সোর্স রতন ওরফে ডেংগু রতন ও সম্পূর্ণ গং এর সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করতে । আরো জানা যায় উক্ত অফিস কক্ষে গভীর রাতে বসে মাদক সেবনের আসর ও সাপ্তাহিক/মাসিক চাঁদার টাকা তোলা ও নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি ও বণ্টনের কাজ।
বার বার সংবাদ প্রকাশের পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেংগু রতন গং এর বিরুদ্ধে নেই কোনো অভিযান। কারন সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসন তাদেরকে নিজেদের সোর্স বলে দাবী করেন, যাত্রাবাড়ী থানার এক এস আই বলেন , এরা আমার সোর্স যেকোনো সময় যাবেন 8-১০ পিস ইয়াবা এমনিতেই পাবেন ।
এখন প্রশ্ন সোর্স হলেই কেনো তাদের কাছে মাদক থাকতে হবে? এবং এই মাদক দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি, জিম্মি করে অর্থ আদায়ের দায়ভার নেবে কে? উক্ত নতুন গংদের সাপ্তাহিক ১০.০০০ ( দশ হাজার ) টাকা সন্মানী দিয়ে হয় ডেংগু রতনকে। এছাড়াও যাত্রাবাড়ী এর শতাধিক মাদক ব্যাবসায়ী সাপ্তাহিক/মাসিক বিভিন্ন পরিমান অর্থে সন্মানী ভাতা দিয়ে থাকেন ডেংগু রতনকে। উক্ত সন্মানী না দিলেই তাদেরকে আমন্ত্রন জানানো হয় আল্লাহর দান মৎস ভান্ডারের ২য় তলায় অফিস রুমে ।
উক্ত গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও যাত্রাবাড়ীর সাধারন জনগন। উক্ত গং এর লিডার সোর্স রতন ওরফে ডেংগু রতন ও আল্লাহর দান মৎস ভান্ডারের মালিক কে আটক করে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করলে অত্র এলাকায় অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড কমে আসবে এবং যুব সমাজ মাদকের কবলে পরার থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল ।
Leave a Reply