1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
নুরুলের মিথ্যা মামলায় চরম বিপাকে মাসুম - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:১৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
গুলশানে স্পা অন্তরালে অপরাধ জগতের ডন বাহার ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য নারী দিয়ে ফাঁদ তীব্র গরমের অতিষ্ঠ জনজীবনে একটি প্রশান্তিময় ও দৃষ্টি নন্দিত উদ্যোগ বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের উপর  কাউন্সিলর রাসনা বেগমের মামলা:  মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু– মিছিল, উত্তেজনা তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড়ের উৎস কোথায় ? গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক বাণিজ্য জগতে বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ পেলেন হোটেল রয়্যাল প্যালেসের কর্তা আশরাফুল সেখ বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি
নুরুলের মিথ্যা মামলায় চরম বিপাকে মাসুম

নুরুলের মিথ্যা মামলায় চরম বিপাকে মাসুম

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর গুলশান থানাধীন মামলাবাজ মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের মামলার কারণে বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী মাসুম মল্লিক । এক মিথ্যা মামলা আর হয়রানিমূলক অভিযোগে বিভিন্নভাবে আর্থিক ক্ষতি ও সামাজিক সম্মানহানির কারণে ভুক্তভোগী পরিবারটি অতিষ্ঠ। মাসুম মল্লিকের ব্যবসার দিকে কুনজর পড়েছে নুরুল ইসলামের তাই আর্থিক লেনদেন করে পাওনা টাকার সিংহভাগ পেয়েও অস্বীকার করে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিপাকে ফেলে মাসুম মল্লিককে। নুরুল ইসলামের মিথ্যা মামলায় জেল হাজত থেকে বের হয়ে বিগো মুখো মহানগর হাকিম এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মাসুম মল্লিক। মামলা সূত্রে জানা যায়, এম আর গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এর একক মালিকানায় দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন মাসুম মল্লিক। তিনি তার উৎপাদিত পণ্যে বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে সরবরাহ করেন অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিকের প্রতিষ্ঠানের এ টু জেড কম্পানির একজন কর্মচারী সেই সুবাদে তাদের পরিচয় হয়। পরে এই পরিচয় সূত্র ধরেই নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিককে তার কোম্পানির অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় যে,নুরুল ইসলামের পরিধি বিস্তার করার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা সহ যাবতীয় কামনা করেন। মাসুম মল্লিক সরল বিশ্বাসে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের ফাঁদে পা দিয়ে বিপাকে পড়েন, পরে মাসুম মল্লিক অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের সঙ্গে এক হাজার টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিগত ০১/১১/২০১৭ ইং একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করেন। ব্যবসায়িক ডীড অনুযায়ী নুরুল ইসলাম কোম্পানিকে বিভিন্ন সময় ও তারিখ কে সর্বমোট ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং সুকৌশলে মাসুম মল্লিকের থেকে গ্রান্ডার চেক হিসেবে তিনটি চেক গ্রহণ করেন।
কিন্তু ১০/০২/২০১৮ ইং মাসুম মল্লিকের ব্যবসায় সফলতায় এবং কোম্পানির অতি দ্রুত বিস্তার লাভ ঘটলে নুরুল ইসলাম প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে।
নুরুল ইসলাম মাসুম মল্লিক কে বলেন, কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে তার নামে কোম্পানির নামকরণ করতে হবে আর যদি সেটা করা না হয় তাহলে তিনি আর অংশীদার থাকবেন না। কিন্তু ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিক অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুমের সাথে সকল ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেন এবং তার মূলধন ফেরত চান। এতে মাসুম মল্লিক ব্র্যাক ব্যাংক অনলাইনে গেলো ২৭/০৫/২০১৮ ইং পর্যন্ত সর্বমোট বারো লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পরে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিক কে কোন পূর্ব না দিয়েই হিসাবনিকাশ নোটিশ সম্পন্ন করার পূর্বেই ১২ লক্ষ টাকা নেওয়ার পরেও অসৎ উদ্দেশ্যে মাসুম মল্লিকের স্বাক্ষরিত ৩টি চেকের দুইটি চেক থেকে ৮ লক্ষ করে মোট ১৬ লক্ষ টাকা লিখে ব্র্যাক ব্যাংকের জমা দিয়ে চেক ডিজঅনার লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। পরে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিককে ফাঁসাতে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ফাঁদে ফেলেন।

জানা যায়, নুরুল ইসলামের অজ্ঞাত ভুতের দাপটে সর্বস্বান্ত হয়ে ভুক্তভোগী চকবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ১৬/২ জয়নাব রোড নিচতলায় এটি প্লাস্টিক কারখানায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মল্লিকের ছেলে মাসুম মল্লিক। এই ব্যবসার সিংহভাগই কৌশলে হাতিয়ে নেন নুরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিক বলেন, আমি বৰ্তমান ঠিকানা চকবাজার মডেল থানাধীন ১/২ অয়নাগ মোড নীচতলায় একটি প্লাষ্টিক কারখানা গেলো ০১/০৩/১৮ হতে ০১/০৬/২০২০ পর্যন্ত চুক্তিপত্র করে ভাড়া নেই। প্লাষ্টিক কারখানায় মোটামুটি ভালই ব্যবসা করে আসছি। ব্যবসার নিয়মানুযায়ী ওই এলাকায় প্লাষ্টিক দানার দোকান হতে বাকীতে দানা নেই এবং মালামাল তৈরী করে বিভিন্ন গার্মেন্ট কোম্পানীতে সামলাই দিতাম । গার্মেন্ট কোম্পানী টাকা দিলে সে সব টাকা বাকীকৃত দানার দোকান মালিককে দেই । তাতে আমার দানার দোকান মালিকের নিকট ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা বকেয়া থাকে । বকেয়া টাকার শিংহভাগ পরিশোধ করলেও এমন অবস্থায় নুরুল ইসলামের সংঘবদ্ধ একটি চক্র আমাকে নানান ফন্দিফিকিরে সর্বস্বান্ত করেছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আমার ব্যবসায়ী ক্ষতি সাধনসহ নুরুল ইসলামের চক্রটির মধ্যে মোঃ সোহাগ (৪০), পিতা বাধা, সাং জয়নাগ রোড, ২। মোঃ আপেল (৩০), পিতা অজ্ঞাত, সাং জানলাম রোড, ৩। মোঃ আমিন (৩০), পিতা অজ্ঞাত, সাং খাজে দেওয়ান ১ম লেন, ৪। মোঃ আরাফাত (২৮), পিতা রাত, বাং খালে দেওয়ান ১ম লেন, ৫। হাসান (৪৫), পিতা অজ্ঞাত, সাং জয়নাগ রোড, ৬। মোঃ মুন্না (৩৫), পিতা অজ্ঞাত, সাং জয়নাগ রোড, ৭। মোঃ আমিনুল (৫০), পিতা অজ্ঞাত, সাং উর্দু রোড, অরটি প্লাষ্টিক, ৮। মোঃ ফাদের (৪০), ৯। মোঃ কালুরা হয়রানি করে আসছে তাই নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশের দারস্থ হোন মাসুম মল্লিক ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, নুরুল ইসলামের ভূতের আছরে মাসুম মল্লিকের জীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একজন বলেন, এই নুরুল ইসলাম আমাকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মাসুম মল্লিকের কারখানাটি নিজের কজ্বায় নিতেই তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে নুরুল ইসলাম।

এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিজেও কয়েকটি ব্যাপারে গিয়ে দেখেছি নুরুল ইসলামের অভিযোগগুলো মিথ্যা। তাছাড়া উভয়পক্ষের সকল বিষয় যাচাই করে দেখেছি। নুরুল ইসলামের অভিযোগও সত্য নয়।এ বিষয়ে মন্তব্যজানার জন্য নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার কল দেযা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »