২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:৩৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন। বনজমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরো টলারেন্স থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ। চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দিলেও সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা তাদের আইন প্রয়োগে রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইড়,বলদীঘাট,শিমলাপাড়া বিটে বনের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন,মাওনা ইউনিয়ন,রাজাবাড়ি প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে বনের সংরক্ষিত গেজেট ভুক্ত প্রায় হাজার বিঘা জমি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালাল তদবির কারকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বনের জমি দিনে রাতে বন কর্মকর্তাদের মেনেজ করে দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে ওই অসাধু মহলটি।
এদিকে কেউ কেউ আবার শুধু দখলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, জমি দখল করে নিজের কব্জায় রেখে পজিশন বিক্রির হিড়িক পড়েছে এই ইউনিয়ন গুলোতে। এর ফলে কেউ আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলা গাছ। আবার অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বনাঞ্চল।
সরজমিনে দেখা যায় শ্রীপুর উপজেলা রেঞ্জ এর আওতাধীন কাওরাইদ বিটের বিধায় আবদার এলাকায় বনবিভাগের জায়গায় নতুন একটি গবাদিপশু পালন করার বিশাল খামার নির্মাণের কাজ চলছে,বন বিভাগের কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে আশার পরও কাজ চলমান পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আতাউর রহমান আতা গংরা এই গবাদিপশুর খামারের নির্মাণ কাজ করছেন। তারা বলেন আমরা আমাদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছি,আমাদের সকল জমির কাগজপত্র ঠিক আছে, তবে আমাদের কিছু জায়গায় গেজেট থাকায় বনবিভাগের লোকজন এসেছিলো,তারা কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেছে।
স্থানীয় বিধায় আবদার গ্রামের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান এখানে ২৬০৯ দাগে বনের গেজেট রয়েছে, যার জন্য কিছু দিন ধরে বলদীঘাট বিট সহ শ্রীপুর রেঞ্জ এর লোকজন এখানে এসেছে, শুনছি তারা বাঁধা দিয়ে গেছে কিন্তু এখান থেকে তারা চলে যাওয়ার পরপরই আবারও কাজ চলমান হয়ে পরে।
এ বিষয়ে কাওরাইদ বিটের অফিসার বনি শাহাদাত হোসেন বলেন ২৬০৯ দাগে আমাদের বনের গেজেট রয়েছে, আমরা কয়েকবার তাদের কাজে বাঁধা দিয়ে আসছি,তারপরও যদি কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর রেঞ্জ এর কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানকে মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
Leave a Reply