1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসনের কান্ড: জাল দরখাস্তের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:০১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
গুলফাম বকাউলের গনজোয়ারের নেপথ্যের রহস্য ! গুলশানে স্পা অন্তরালে অপরাধ জগতের ডন বাহার ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য নারী দিয়ে ফাঁদ তীব্র গরমের অতিষ্ঠ জনজীবনে একটি প্রশান্তিময় ও দৃষ্টি নন্দিত উদ্যোগ বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের উপর  কাউন্সিলর রাসনা বেগমের মামলা:  মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু– মিছিল, উত্তেজনা তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড়ের উৎস কোথায় ? গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক বাণিজ্য জগতে বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ পেলেন হোটেল রয়্যাল প্যালেসের কর্তা আশরাফুল সেখ বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন
বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসনের কান্ড: জাল দরখাস্তের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন!

বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসনের কান্ড: জাল দরখাস্তের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন!

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিউটিএ) প্রশাসনে এসব হচ্ছে কি? এ প্রশ্ন আজ দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। রাষ্ট্রিয় কোষাগার থেকে মোটা অংকের বেতন ভাতা দিয়ে যে সব কর্মকর্তাদের ভোগ বিলাসী জীবন যাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তারা কি দায়িত্ব পালন করছেন? তাদের কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা নেবার কি কেউ নেই? বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানই বা করেন কি? এই প্রশ্নটির উদ্ভব হয়েছে একজন কর্মচারির বিরুদ্ধে গঠিত ৩ সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে কেন্দ্র করে। দরখাস্তকারীর পরিচয় নিশ্চিত না করেই একটি সরকারী তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকারী অর্থ ও শ্রমের অপচয় করার কি কোন অর্থ হয়? হতে পারে না। সরকারী চাকুরী শৃংক্ষলা বিধিমালায় এমন কোন নিয়মও নেই। তাহলে বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসন কিভাবে সেই কাজটি করলেন? নাকি একজন নিরীহ কর্মচারিকে চাকুরীচ্যুত করতে কর্মকর্তাদেরই একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র? আলোচ্য ঘটনাটি তেমন বলেই মনে হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, বিআইডব্লিউটিএর প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগ থেকে গত ০৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখে ১৮.১১.০০০০.০০৮.৯৯.০০৪.২১.২০৩ নং স্মারকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের বিষয়বস্তু হলো: সংস্থার সাময়িক বরখাস্তে থাকা রেকর্ড কীপার সঞ্জীব কুমার দাস, শীপ পার্সোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট,চরমুগুরিয়া,বিআইডব্লিউটিএ মাদারীপুর এ ঠিকমত অফিসে উপস্থিত থাকেন কিনা এবং তিনি ব্ল্যকমেইল, চাঁদাবাজী. তদবীর বাণিজ্য,প্রতারণা ইত্যাদি অপরাধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন কি না? এ ছাড়া তিনি ঢাকায় থেকে অন্য লোকের মাধ্যমে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা নেন কিনা? এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন সংস্থার চেয়ারম্যানের দপ্তরে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযোগকারী বা দরখাস্তকারী হিসাবে জনৈক মো: আবুল হোসেন মোরাইল নং ০১৭১২-১২ ৪৫ ৯০ উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আনলে এ বিষয়ে সর্ব প্রথম অভিযোগটি কে করেছেন তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দরখাস্তে থাকা অভিযোগের মোবাইল নম্বরে এ প্রতিবেদক কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন তার নাম মরফত আলী ,তিনি আনসার বাহিনীর একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি সাভারে ডিউটিরত আছেন। তিনি আরো বলেন,বিআইডব্লিউটিএর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারির বিরুদ্ধে তিনি সরকারের কোন দপ্তরে কোন প্রকার লিখিত অভিযোগ জমা দেন নি। তার অডিও রেকর্ডটি আমাদের সংগ্রহে রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো: অভিযোগকাররী দরখাস্তে মোবাইল নম্বর উল্লেখ থাকার পরও তার পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে এবং দরখাস্তের কোন প্রকার ভিত্তি আছে কি না সেটা যাচাই না করে কিভাবে একজন কর্মচারির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কাছে ফাইল উপস্থাপন,নোট প্রদান ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো? তাহলে কি এভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন বিআইডব্লিউটিএর প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তারা? এই জাল দরখাস্তের ওপর ভিত্তি করে যে কর্মচারির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে তাদের বিচার করবে কে?
ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে এ ঘটনার নেপথ্যে কর্মবর্তাদের গভীর এক ষড়যন্ত্র রয়েছে। যে কর্মচারীর বিরুদ্ধে জাল দরখাস্তের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তিনি একজন সাধারণ কর্মচারী নন। তিনি বিআইডব্লিউটিএ সিবিএ রেজি: নং ১৪৪০ এর নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে সব সময়ই তিনি সোচ্চার ছিলেন। আর সে কারণেই তার বিরুদ্ধে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত,ঢাকা থেকে মাদারীপুরে বদলী,মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ তার চাকুরী খেয়ে ফেলার জন্য জাল অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এসব ষড়যন্ত্রে নেপথ্যে আছেন বিআইডব্লিটিএর কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে মাদারীপুর থেকে সঞ্জীব কুমার দাস বলেন, ‘বিআইডব্লিটিএ সিবিএর তিনি একজন নির্বাচিত নেতা। আমি বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতাদের আক্রোশের শিকার হয়েছি। তারা নানা মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করিয়ে আমার চাকুরী খেয়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আপনারা তদন্ত করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। একই সাথে মাননীয় চেয়ারম্যান স্যারের কাছে আমার আকুল আবেদন,তিনি যেন এই ঘটনার সঠিক বিচার করেন। আমি যে তার সুবিচার পাই’।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিআইডব্লিউটিএর প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসেভ করেন নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »