অবসরে পাঠানো ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানা গেছে।

 

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নাম-পরিচয় এড়িয়ে যায়। একইসঙ্গে তাদের অবসরে পাঠানোর সঠিক কারণ না জানালেও ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ২০ জনের মধ্যে একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তা। এরমধ্যে একমাত্র শিক্ষক হলেন ড. মো. নাসির উদ্দিন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।

 

এ ছাড়া কর্মকর্তারা হলেন পরিবহন দপ্তর (রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. সাজেদুল হক, আইনবিষয়ক দপ্তরের (চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের (খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক হোসনেয়ারা বেগম।

 

প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর দপ্তর (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) মো. আবু হানিফ, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের (খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) আব্দুল মালেক সরকার, জনসংযোগ দপ্তরের (বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. আতাউর রহমান।

 

কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন দপ্তরের (কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক এ এস এম রফিকুল আকবর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. হাছানুর রহমান, শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের (কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক এইচ এম তায়েহীদ জামাল, এস্টেট দপ্তরের (রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক হাসান আমীর আহমেদ।

 

অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা দপ্তরের (রেজিস্ট্রার দপ্তরে সংযুক্ত) মো. শফিক উল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক আ স ম আবদুল হক, বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন, গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মন্নুজান বেগম, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার ফাহিমা সুলতানা, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন, মেডিকেল সার্ভিসেস দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আবদুস ছাত্তার।

 

সবা:স:জু- ৪০৭/২৪

রাজধানীর বনানী-কাকলিতে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নেই অনুমোদন।

 রিসিপশনিস্ট, কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে ব্লাড কালেকশন।
 ডাক্তার ছাড়াই ল্যাপ টেস্টের রিপোর্ট প্রদান।
 বিট ইনচার্জ কে মাশোহারা দিয়ে নিরাপদ বাণিজ্য।
হাফসা আক্তারঃ
রাজধানীর মহাখালী, কাকলি, বনানী এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড জোন ও প্রি মেডিকেল সেন্টার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা। নিয়ম আছে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চালুর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়। এজন্য একগুচ্ছ নিয়ম-কানুন মেনে যোগ্য হতে হয় তাদের। স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য থাকতে হয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও যন্ত্রপাতি। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চালু করতে হয় ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র অত্যাবশ্যকীয়। প্রতি বছরই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এর নিবন্ধন নবায়ন করা বাধ্যতামূলক।

বনানী থানাধীন মহাখালী রেললাইন থেকে কাকলি ফুট ওভার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২৫-৩০টি ছোট বড় ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসবের অধিকাংশেরই নেই কোন সরকারি অনুমোদন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোন সার্টিফিকেট, পরিবেশ ছাড়পত্রের বালাই নেই। অনেকে আবার সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই শুরু করেছেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যেটা আইনত দণ্ডনীয়ও বটে। প্রশ্ন উঠেছে খোদ রাজধানীর প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে চলছে এইসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নেই রোগ নির্ণয়ের মানসম্মত যন্ত্রপাতি, অপারেশন থিয়েটার, পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষিত সেবিকা ও ল্যাব এটেনডেন্ট। নাক, কান, গলা ও সার্জনসহ বিভিন্ন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো থাকলেও নিয়মিত রোগী দেখতে বসেন না তারা। ধার করা খন্ডকালীন চিকিৎসক দিয়ে চলছে জটিল অস্ত্রপাচার সহ বিভিন্ন চিকিৎসা। জরাজীর্ণ ভবনে ছোট খুপরি ঘরের মতো কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। কোন কোন ভবনের নিচ তলায় ভাঙ্গারি ও পুরাতন কাগজ বেচাকেনার গুদাম। উপরে রয়েছে বিভিন্ন কলকারখানা ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা।

মহাখালী থেকে চেয়ারম্যান বাড়ি, কাকলি ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অনুমোদনহীন এইসব হাসপাতালে চিকিৎসার নামে ব্যবসা, প্রতারণা, রোগী ভোগান্তির অভিযোগ ঘটে হরহামেশাই। এইসব অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিম্বা ভ্রাম্যমান এইসব হাসপাতাল ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হলেও সাময়িক সময়ের জন্য হাসপাতাল ক্লিনিক বন্ধের নোটিশ পাঠানো মধ্যেই তাদের দায়িত্ব শেষ।

সরজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় কাকলি “নাজ মেডিকেল সেন্টার” সেখানে মালিক নিজেই ল্যাব এটেনডেন্ট, এক্সরে মেশিন অপারেটর ব্ল্যাড কালেকশন করেন। রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই দেয়া হচ্ছে প্রি-মেডিকেল সার্টিফিকেট। বিদেশে লোক পাঠানো বিভিন্ন ওভারসিজ এর দালাল সর্বোচ্চ কিছু ব্যক্তি নাম সর্বস্ব এইসব মেডিকেলে প্রি-মেডিকেল নামে অবৈধ বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন। ওভারসিসের দালালদের মাধ্যমে এইসব হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রি-মেডিকেল করার জন্য বিভিন্নভাবে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই দেওয়া হয় সার্টিফিকেট। মেডিকেল সার্টিফিকেটের উপর যে ডাক্তারের নাম উল্লেখ করে সীলমোহর দেওয়া হয়েছে, মূলত ওই নামে কোন ডাক্তারকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। নাজ মেডিকেল সেন্টারের মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদেরকে বসিয়ে রেখে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ডেকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। ব্যর্থ হয়ে তিনি তার পোষ্য বনানী থানার এসআই রুহুল আমিন কে ডেকে এনে আমাদেরকে হেনস্থার শেষ চেষ্টা চালান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশের নিবন্ধিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে ১১ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু সারাদেশে সঠিকভাবে অভিযান চালালে দেখা যাবে দেশে বৈধ-অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষের কাছাকাছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মোঃ শফিউর রহমান জানান, অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অভিযানে যেসব হাসপাতাল বা ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সেই সব প্রতিষ্ঠানে যদি লাইসেন্স পাওয়ার যে শর্ত রয়েছে তা পূরণ না করে, তাহলে অবশ্যই তা বন্ধ থাকবে। আর যেগুলোতে এখনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি, অতিসত্বর সেইসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম