অসুস্থতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার: 

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে পারছেন না। এমন প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধা দলের ২১ ডিসেম্বরের ওই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

 বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর সমাবেশে অংশ নেওয়া বাতিল করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।

ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের মাধ্যমে দীর্ঘ সাত বছর পর খালেদা জিয়ার মুক্ত পরিবেশে জনসমক্ষে বা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসার কথা ছিল। এখন তাঁর অসুস্থতার কারণে সেই সমাবেশ স্থগিত করা হলো।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, তাঁদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার পর তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করবেন। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের মাধ্যমেই খালেদা জিয়া জনসমক্ষে বা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসবেন।

সবা:স:জু- ৪২৮/২৪

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এবি পার্টির বৈঠক বিকেলে

স্টাফ রিপোর্টার:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বিকালে এবি পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ২৮টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম