বাউফলে অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু বণিককে উদ্ধার।

মুন্নি বেগম,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় বনিক ওরফে শিবু বনিককে (৭২) অপহরণের দুদিন পর উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার ( ৫ জানুয়ারি ) রাত ১২টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় একটি মসজিদের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করে বাউফল থানা পুলিশ।

শিবু বণিককে উদ্ধারের পরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্ট পট্টি এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘কানু প্রিয় ভান্ডারে’ দিনের হিসাব নিকাশ করছিলেন শিবু বণিক। এসময় তার দুই কর্মচারী শংকর এবং তাপসও তার সঙ্গে ছিলেন। রাত আনুমানিক সোয়া ১০ টার দিকে হঠাৎ ৭-৮ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত সেখানে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। এরপর ব্যবসায়ী শিবানন্দকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। ব্যবসায়ী শিবু বণিককে উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে এলাকাবাসী এবং ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রোববার শিবু বণিককে উদ্ধারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়।

 

সবা:স:জু- ৬৮০/২৫

দুর্নীতির অভিযোগে মহাপরিচালক বদলী: পিডির অব্যাহতির আবেদন: ফাওজিয়ার ফটোশপ টেম্পারিং: ডিপিডি ও এপিডিদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ: নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের লাইটহাউজ নির্মাণ প্রকল্পে হচ্ছে কী?

স্টাফ রিপোর্টারঃ

‘লাইটহাউজ প্রকল্প’ নামে পরিচিত নৌপরিবহন অধিদফতরের ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)’ প্রকল্পে হরচ্ছ কী? এই প্রকল্পে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে নৌ পরিবহন ডিজি কমডোর নিজামুল হককে মহাপরিচালকের পদ থেকে প্রত্যাহার করে নৌ বাহিনীতে ফেরত পাঠিয়েছে সরকার। তার স্থলে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নৌ বাহিনীতে কর্মরত কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমকে। রবিবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপকূল এলাকা থেকে গভীর সাগরের ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারির আওতায় আনার লক্ষ্যে সাতটি লাইটহাউজ ও সাতটি কোস্টাল রেডিও স্টেশন স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় একটি ১১ তলা ভবন নির্মাণও রয়েছে। প্রকল্পটির সর্বশেষ বর্ধিত ব্যয় ৭৭৯ কোটি টাকা।

সূত্রমতে, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের পর নৌ মন্ত্রণালয় কমডোর নিজামকে অধিদফতরের মহাপরিচালকের পদ থেকে প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে। এরপর তাকে প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী অন্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ডিপিডি, এপিডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনও সুপারিশ করা হয়নি। কারিগরি কমিটি গঠন করে এই কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকালে বিভিন্নজনের মৌখিক (অনানুষ্ঠানিক) জবানিতে ডিপিডি ও এপিডিদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কাজ না করে বিল পরিশোধের নামে প্রকল্পের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া কমডোর এ জেড এম জালালউদ্দিন নৌ অধিদফতরের ডিজি থাকাকালে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে আরও বিস্ময়কর তথ্য উঠে আসে। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের কোন কাজে কে কতো টাকা ঘুষ দিয়েছেন, তার বর্ণনা রয়েছে। ঘুষ বাবদ টাকা লেনদেনের এ ভয়ঙ্কর বক্তব্য ওই বৈঠকের কার্যবিবরণীতেও স্থান পেয়েছে। তবুও প্রকল্পের এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সহ-ঠিকাদার নিয়োগ, বেআইনিভাবে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ ও ভীতি প্রদর্শনসহ সাতটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিকের নেতৃত্বে ২৬ এপ্রিল পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সম্প্রতি নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আটটি সুপারিশসহ ৪২২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেছে। বহুল আলোচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন অধিদফতর। এটি বাস্তবায়নের সর্বশেষ বর্ধিত সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমান উপাখ্যান এ দিকে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সহকারী কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের বিল ভাউচার ও মূল্যবান ডকুমেন্ট ফটোশপ বা টেম্পারিং করে প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন সাইদ মোহাম্মদ দেলোয়ারকে ফাঁসিয়ে দিয়ে বিদায়ী মহাপরিচালক কমডোর নিজামুল হককে রক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাইই নয় এই প্রকল্পের ডিপিডি ক্যাপ্টেন আশরাফের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রায় এক বছর যাবত অবৈধ মেলা মেশা অভিযোগ করার অভিযোগ উঠেছে কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে। এর আগেও একজন মহাপরিচালকের সাথে তার কক্সবাজার কেলেংকারী ফাঁস হয়েছিলো পত্র পত্রিকায়।

প্রকল্পের যাবতীয় অনিয়ম -দুর্নীতির মূল হোতা ডিপিডি ক্যাপ্টেন আশরাফ ও সহকারী পরিচালক নাজমুল টিটু এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ঘুসের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়ে চট্রগ্রামে একজন ঠিকাদার আত্মহত্যা করে বলে সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া তারা কোন মিডিয়ার সাথে কথা বলতে পারবেন না।

(আগামী পর্বে বিস্তারিত প্রতিবেদন)

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম