মানসিক চাপ কমায় যে ৪ খাবার

স্টাফ রিপোর্টার:

আমাদের প্রতিদিনের জীবনে নানা কারণেই সৃষ্টি হয় মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের। প্রথমদিকে গুরুত্ব না দিলেও ধীরে ধীরে তা রূপ নিতে থাকে বড় আকারে। তাই স্ট্রেসকে অবহেলা করা যাবে না। বরং শুরু থেকেই জানতে হবে এটি প্রতিরোধ করার উপায়। কারণ স্ট্রেস থাকলে তখন শরীরও বিরূপ আচরণ করতে শুরু করে। তাই খেয়াল রাখতে হবে জীবনযাপনের সব খুঁটিনাটি বিষয়ে। বিশেষ করে খাবারে আনতে হবে পরিবর্তন। কিছু খাবার স্ট্রেসকে দূরে রাখতে কাজ করবে। সেগুলো কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

হলুদ

হলুদের গুণাবলীর কোনো পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে কারকিউমিন রয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী যৌগ যার অ্যাডাপটোজেনিক প্রভাবও রয়েছে। জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল সাইকোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিন উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার লক্ষণ হ্রাস করার গুণমান রাখে। প্রতিদিনের খাবারে হলুদ কীভাবে ব্যবহার করবেন? আপনার দৈনন্দিন খাবারে যোগ করুন। ডাল, তরকারি, সবজি, খিচুড়ি এবং আরও অনেক রান্নায় হলুদ ব্যবহার করা যায়। হলুদ দুধ তৈরি করুন এবং আপনার শোবার সময়ের রুটিনে এটি যোগ করুন।

আমলকি

ভিটামিন সি-এর অন্যতম শক্তিশালী উৎস আমলকি বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, প্রদাহ কমায় এবং অ্যাড্রিনাল স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে, যা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে। প্রতিদিনের খাবারে আমলকি কীভাবে ব্যবহার করবেন? আমলকি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া শুকিয়ে নিয়েও খেতে পারেন। আমলকি দিয়ে চাটনি এবং মোরব্বা তৈরি করে খেতে পারেন।

তুলসি

জার্নাল অফ আয়ুর্বেদ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তুলসি পাতা চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার সমস্যঅ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তুলসি কীভাবে ব্যবহার করবেন? আপনার প্রতিদিনের চায়ে যোগ করুন। ডিটক্স পানীয়ের জন্য আদা এবং মধু দিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা দিয়েও পানীয় তৈরি করতে পারেন।

অশ্বগন্ধা

এটি কর্টিসলের মাত্রা কমাতে এবং আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অশ্বগন্ধা ঘুমের মান উন্নত করতেও সাহায্য করে, যা আপনাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্ত বোধ করায়। প্রতিদিনের খাবারে অশ্বগন্ধা কীভাবে ব্যবহার করবেন? রাতের ভালো ঘুমের জন্য এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি অশ্বগন্ধা গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া এটি আপনার স্মুদির গ্লাসে বা এক কাপ মসলা চায়েও যোগ করতে পারেন।

চিন্তামুক্ত থাকার জাপানি ৫ কৌশল

স্টাফ রিপোর্টার:

দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ যেন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘুম ভাঙতেই একরাশ চিন্তা মাথায় চেপে বসে। সময় যত গড়াতে থাকে চিন্তা তত বাড়তেই থাকে। মানসিক চাপ যেন এখন রোজকার নিত্যসঙ্গী। চাকরি, পরিবার, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত নানা সম্পর্ক- দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই।

এসব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কারণে রাতে যেমন ঠিকমতো ঘুম হয় না। তেমনি সারাদিন অশান্তি কাজ করে মনে। স্বাভাবিকভাবেই তাই চিন্তামুক্ত থাকার উপায় খুঁজেন সবাই। মনকে চিন্তামুক্ত রাখতে কেউ পরামর্শ দেন মেডিটেশন করার, কেউবা বলে যোগাসন করতে। তবে জাপানিরা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে ৫টি কাজ করেন। এসব কৌশল মানলে মনের অস্থিরতা অনেকটাই বশে রাখা যায়। চলুন এসব কৌশল সম্পর্কে জেনে নিই-

দুশ্চিন্তা কাটাতে যেসব কাজ করেন জাপানিরা:
ইকিগাই:
ইকিগাই অর্থ জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করা। আপনি কোন কাজটি পছন্দ করেন, কোন খাবার খেতে ভালোবাসেন, কোন জায়গায় ঘুরতে ভালো লাগে এসব খুঁজে বের করুন। সম্ভব হলে সব ভালো লাগার জিনিসের তালিকা তৈরি করুন। চিন্তামুক্ত করতে সেসব কাজ করুন যা আপনি মন থেকে করতে ভালোবাসেন।

যে কাজটি করছেন তার উদ্দেশ্য কী, কোন লক্ষ্যে এগোচ্ছেন, সেটিও জানা জরুরি। এতে কাজটি নিয়ে যতই উদ্বেগ থাকুক না কেন, দুশ্চিন্তা কমই হবে।

শিনরিন-ইয়োকু:
জাপানিদের ভাষায় শিনরিন-ইয়োকু বলতে ‘ফরেস্ট বাদিং’ বোঝায়। তাদের মতে, মন খারাপ থাকলে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটানো ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি পাহাড় বা জঙ্গলে ঘুরতে যেতে পারেন। নয়তো গাছপালা রয়েছে এমন জায়গায় কিছুক্ষণ থাকুন বা হাঁটুন। তাহলেই কমে যাবে দুশ্চিন্তা।

কাইজেন:
অতীত নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট করেন না জাপানিরা। যা হয়ে গেছে তা নিয়ে না ভেবে বরং ছোট ছোট পদক্ষেপে সাফল্যের দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জাপানিদের এই কৌশল মেনে চলতে পারেন আপনিও।

লক্ষ্য স্থির রেখে রোজ একটু একটু করে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। জাপানিরা মনে করেন, দুশ্চিন্তা করা বা উদ্বেগে ভোগার চেয়ে সুন্দর আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবা এবং সেই পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে দুশ্চিন্তা থেকেও দূরে থাকা যায়।

ওয়াবি-সাবি:
এর অর্থ গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। নিজেকে যে সব কাজেই নিপুণ ও পারদর্শী দেখাতে হবে তা নয়। বরং নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করলেই সাফল্য মিলবে। অতীত নিয়ে না ভেবে বর্তমান সময়ে বাঁচাতেই বেশি গুরুত্ব দেন জাপানিরা। তাদের মতে, নিজেকে পারদর্শী দেখানোর চেষ্টাতেই মনের চাপ বাড়ে। তাই সে পথে পা না বাড়ানোই ভালো। সবাই সব কাজে দক্ষ হন না, তাই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করাই ভালো।

জানসিন:
মনঃসংযোগ বাড়ানোর জাপানি পদ্ধতি জানসিন। জাপানিদের মতে, দুশ্চিন্তা হলে মন বিভ্রান্ত হয়, একাগ্রতা কমে যায়। তাই কোনো কাজে মনোযোগ বাড়ালে মানসিক চাপও কমবে। জানসিন মনকে একাগ্র করার উপায়, এতে মনোযোগ ও ধৈর্য বাড়বে এবং মনের অস্থিরতাও কমবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের