আসিফ নজরুলের বাসভবনে ড্রোন, পাঠানো হলো ফরেনসিক ল্যাবে

স্টাফ রিপোর্টার:

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সরকারি বাসভবনে একটি ‘ড্রোন’ পাওয়া গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম ড্রোনটি উদ্ধার করে তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে।

গত শনিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে আইন উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের মূল ভবনের পশ্চিম দিকে ১৫০ গজ সামনে বাগানে আম গাছের কাছে ঘাসের ওপর ড্রোনটি পড়ে থাকতে পাওয়া যায়।

জানা গেছে, মালী সালমা হক বাগান ঝাড়ু দেওয়ার সময় ড্রোনটি দেখতে পান। তিনি সেটি আইন উপদেষ্টার পার্সোনাল অফিসার দেলোয়ার হোসেনের কাছে বুঝিয়ে দেন। সংবাদ পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিজিটাল ফরেনসিক টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, সিটিটিসি, ডিএমপির একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

সূত্র আরও জানায়, ড্রোনটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এতে লেখা ‘মেইড ইন চায়না’। এর টেকঅফ ওজন ২৪৯ গ্রাম। ড্রোনটিতে ফুটেজ সংগ্রহ করার মতো কোনো মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়নি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ড্রোনের ব্যাটারি খোলা ছিল। এদিকে, বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় একটি ক্যামেরাতে ড্রোনটি আগের দিন শুক্রবার বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটের সময় অবতরণ করতে দেখা যায়। অন্যান্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ড্রোনটি পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমানে ড্রোনটি সিটিটিসি’র সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ফরেনসিক টিম ল্যাবে রয়েছে।

কোথা থেকে কীভাবে এই ড্রোনটি এলো এবং কারা পাঠিয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার পর আইন উপদেষ্টার বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী ড্রোন উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটি (ড্রোন) এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’

শাহজালালে বিমান ওঠা-নামায় বিঘ্ন, ৬ ফ্লাইট গেল সিলেট-কলকাতা

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আকাশে পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ঝাপসা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি বেশ কিছু ফ্লাইট।

কুয়াশার কারণে রানওয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না, যার ফলে অবতরণ করতে পারেনি ছয়টি ফ্লাইট। এর মধ্যে তিনটি ফ্লাইট ঢাকার আকাশ থেকে ফিরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করে, এবং বাকি তিনটি ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্যরাতে কুয়েত সিটি থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজের দুইটি ফ্লাইট এবং ওমানের মাস্কাট থেকে আসা সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতায় ফিরে যায়। পরবর্তীতে সকাল ৯টার পর এসব ফ্লাইট ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকে রাত আড়াইটা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।

এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৬টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। তাদের মধ্যে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই, মাস্কাট, রোম, জেদ্দা ফ্লাইট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাই, গাল্ফ এয়ারের বাহরাইন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, দোহা, শারজাহ, জেদ্দা, সিঙ্গাপুর, ড্রুক এয়ারের পারো থেকে আসাসহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইমলাম বলেন, ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করে কলকাতা পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে তিনটিকে। তবে, সকাল ১০ টার পর থেকে ফ্লাইট চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে একসঙ্গে অনেক ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের অপেক্ষায় থাকায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে কিছুটা ট্রাফিকের সৃষ্টি হয়েছে।

জানুয়ারির শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা ও শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে কুয়াশা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম