তারাকান্দায় কাকনী ইউনিয়নে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আজ সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, রাজধানীর পল্লবীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিক্ষোভ মিছিলটি ময়মনসিংহ টু শেরপুর মহাসড়ক কিছু অংশ প্রদক্ষিণ করে কাকনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একে.এম এনায়েত উল্লাহ কালাম ও একমাত্র যুগ্ম আহবায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার।

তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: হেকমত বিডিআরের সভাপতিত্বে ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সহসাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সঞ্চালনা আরো বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুল ইসলাম খান শহিদ, আব্দুস সালাম তালুকদার, ছিদ্দিকুর রহমান, আমিনুল হক, মাসুদ রানা খান, বিএনপির নেতা শাজেদুল করিম খোকন, তারাকান্দা উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আসাদুল হক মন্ডল, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এএইচ এম জুয়েল, সাবেক মেম্বার বাবুল মন্ডল প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, ইয়াসিন আলী, রাকিব তালুকদার, ডাঃ আজিজুল, সাবেক সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ছায়াদুল ইসলাম মন্ডল, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম, ছাত্রদলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন রকি, কাকনী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বকুল মন্ডল, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ এমদাদুল হকসহ যুবদল, ছাত্রদল অঙ্গসঙ্গগঠন নেতৃবৃন্দ।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার॥
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রেক্ষাপট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আর সেই বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

ঢাকার গুলশান-২ এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসায় এ বৈঠক হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। আগামী নির্বাচনকে কিভাবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেশের মানুষের মতো সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা দেখছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বিশেষ করে আগামী নির্বাচন নিয়ে ভীতির সঞ্চার কাজ করছে।’

‘স্বাভাবিকভাবে এসব বিষয়গুলো তাদের দৃষ্টিতে রয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আজকে আলাপচারিতা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এই প্রেক্ষাপট থাকার কারণেই আলোচনা হয়েছে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে; তাহলে বাংলাদেশে যে সংকটের দিকে যাবে এই শঙ্কা দেশ এবং দেশের বাইরেও কাজ করছে। কিভাবে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করা যায় সেটাই সকলের উদ্দেশ্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের যে চিন্তা, যে নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন, যার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ হবে এবং নির্বাচিত সরকার হবে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’

‘খোলাখুলিভাবে এটা বলেছি যে, অবশ্যই এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। বিশ্বের যারা বাংলাদেশ দেশকে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে, পর্যবেক্ষণ করে সকলের কাছে এটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে’—যোগ করেন আমীর খসরু।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অধীনে দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি তাদের সরকার তাদের সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। এ বিষয়টি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে। এর কারণগুলো সকলেরই জানা, এসব আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ইইউ কূটনীতিকেরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও নেতৃত্ব দেন ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম