
নিজস্ব প্রতিবেদক :
তেজগাঁও রেজিস্ট্রারী কমপ্লেক্সে গুলশান সাব-রেজিস্ট্রারী অফিসে চলছে ভুয়া ও জাল দলিলের ছড়াছড়ি। জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে এক শ্রেনীার দলিল লেখক ও নব্য সাব- রেজিস্ট্রার যৌথভাবে এ অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছে। এখানে সকল অনিয়মই এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। এ গুরুতর অপরাধের সহায়তা করছে উক্ত অফিসের নামেমাত্র নকল নবীশ কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও ঘৃনীত নারী দালাল মো: গিয়াস উদ্দিন। সাব রেজিস্ট্রার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নকল নবীশ গিয়াস উদ্দিন এর যৌথ কর্মকান্ডে গুলশান সাব- রেজিস্ট্রার অফিস এখন দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে।
আবু হানিফ নামে তেজগাঁও রেজিস্ট্রারী কমপ্লেক্স অফিস সংশ্লিষ্ট জনৈক ব্যাক্তি মো: গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিহীত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং জননিরাপত্তা ও আইজিআর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১২ মে ২০২৫ তারিখে দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গুলশান সাব- রেজিস্ট্রারী অফিসে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক ভূয়া, জাল এবং জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদন হচ্ছে। বর্তমান সাব- রেজিস্ট্রার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এ নিয়ম বহির্ভূত কাজে সহায়তা করছে চক্র নেতা মো: গিয়াস উদ্দিন। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে গিয়াস উদ্দিন ঐ অফিসের নামে মাত্র নকল নবীশ। একজন নকল নবীশ হয়েও অফিসে বসার জন্য তার নেই কোনো নির্দিষ্ট চেয়ার টেবিল। তাহলে সে কেমন নকল নবীশ? সে বেলা ২ টার পরে অফিসে আসে তার নিজস্ব ব্যাবস্থানায় সংগৃহীত দলিল গুলো সম্পাদন করতে। অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ সমাধা করে সাব রেজিস্ট্রার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় সে।
০৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সে কথিত বিএনপি নেতায় পরিণত হয়। দরখাস্ত সূত্রে আরো জানা যায় গিয়াস উদ্দিন মগবাজার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন সেভেন স্টার গ্রুপ এর সক্রিয় সদস্য। রেজিস্ট্রারী কমপ্লেক্সে এর রেকর্ড রুমে দু দুবার দূধর্ষ চুরির মূল পরিকল্পনাকারী এই গিয়াস উদ্দিন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। অফিস পাড়ায় তাকে সবাই চেনে একজন ব্যাবসায়ী হিসাবে। তেজগাঁও কলোনি বাজারে তার একটি দোকান রয়েছে। আর এ দোকানের অন্তরালে চলে তার জমজমাট মাদক ব্যবসা। সন্ধার পর তার দোকান হয়ে ওঠে মাদকের পাইকারী বাজার। এ দোকান থেকেই প্রতিদিন মহাখালী আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল, হাতির ঝিল, তেজকুনিপাড়া, বেগুনবাড়ি সহ অত্র এলাকা জুড়ে গাঁজা, মদ, ইয়াবা, হিরোইন সরবরাহ করা হয়।
উক্ত নকল নবীশ গিয়াস উদ্দিন আবাসিক হোটেলে যৌন কর্মী সরবরাহকারী দালাল হিসাবেও পরিচিত। হোটেল থেকে খদ্দের ও যৌন কর্মী সহ সে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলেও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে কাজ করার সুবাদে তার সাথে সমাজ বিরোধীদের রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহসও পাচ্ছে না কেউ।