তারিখ লোড হচ্ছে...

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন খারিজের দাবি

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন খারিজের দাবি

ডেস্ক রিপোর্টঃ সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

সোমবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে সংগঠনের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতিসংঘের এ পদক্ষেপ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এর অনুমোদন দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বকীয়তা ও ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার বিষয়। এ ধরনের তথাকথিত ‘মানবাধিকার কার্যালয়’ দেশের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে অযাচিত হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করবে।

তারা আরও বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর মুসলিম দেশগুলোর ওপর পশ্চিমা রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকারের নামে ইসলামী শরিয়াহ, পারিবারিক আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তেরই অংশ। বাংলাদেশে একটি স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন সেই চক্রান্তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার শামিল।

তারা বলেন, দেশের মানুষ বিগত একযুগ ধরে ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। গুম-খুন, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন এবং শাপলা চত্বরে সংঘটিত নির্মম গণহত্যার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘ ছিল নির্বিকার।

অথচ এখন, যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে, তখনই একটি তথাকথিত ‘মানবাধিকার অফিস’ খোলার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নতুন করে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে।

তপশিল ঘোষণা নিয়ে সুজনের ৪ প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা নিয়ে চারটি প্রশ্ন রেখেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার রাতে এক বার্তায় তিনি এসব প্রশ্ন তোলেন।

বদিউল আলম বলেন, ‘‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা নিয়ে আমার চারটি প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমত, অতীতের দুটি বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে সৃষ্ট বর্তমান সরকারের বৈধতার যে সংকট চলছে তা এই নির্বাচনের সম্পন্ন হলে দূরীভূত হবে কি না? দ্বিতীয়ত, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করা ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের’ সাংবিধানিক দায়িত্ব। আহুত নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে কি ‘আউয়াল কমিশনের’ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করা হবে? তৃতীয়ত, এই নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে কি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বাড়বে? চতুর্থত, এই নির্বাচনের পর বাংলাদেশে কি গণতন্ত্র শক্তিশালী ও কার্যকর হবে?

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম