বিআরটিএ সহকারী পরিচালক আজিজ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

বিআরটিএ সহকারী পরিচালক আজিজ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার॥

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার জন্য একটি রুম ও অফিস বরাদ্ধ রাখা রয়েছে। এই রুমটি দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জন্য বরাদ্ধ ছিল, সেই সময় থেকে আওয়ামী সিন্ডিকেটের নেতারা রুমটি ব্যবহার করতেন। সাম্প্রতিক সময়েও অফিস রুমটিতে শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছে বিআরটিএর আউটসোর্সিং এ কাজ করা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় উপদেষ্টার অফিস রুমটি ব্যক্তিগত কাজে পূর্বের ন্যায় ব্যবহার করছেন ওবায়দুল কাদেরর তিনজন বিশ্বস্ত সহচর। তারা হলেন, তানভীর হোসাইন, শাহিন হোসাইন ও মো. সোহেল। এদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা দিচ্ছে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নবাব ফাহমে আজিজ খান।

৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে ১৬ বছর ধরে বিআরটিএতে রামরাজত্ব কায়েম করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গা ঢাকা দেওয়া শুরু করেছিল। তবে এই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালের মাধ্যমে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আওয়ামী পন্থীদের ভগবান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। গৌতম চন্দ্র পালকে বর্তমান সরকার ওএসডি করলে নতুন দায়িত্বে আসেন বিপ্লবী সরকারের এই চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন। তবে ৫ আগষ্টের পরে বিআরটিএর সেবা প্রশ্নবিদ্ধ করতে গণহারে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির কাজ শুরু করেন নবাব ফাহমে আজিজের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এছাড়াও সাম্প্রতিক সুপারিশ প্রাপ্ত ৩১ জন মোটরযান পরিদর্শকের নিয়োগে নবাবের নবাবীয়ানাও নিশ্চিত করেছেন দপ্তরটির একাধিক ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা জানান বিআরটিএর মোটা অংকের ঘুষের টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে সংস্থাটিতে কর্মরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের মোটরযান পরিদর্শক পদে সুপারিশপত্রে নাম উঠিয়ে নিজেকে ভগবানের চেয়ার বসিয়ে নেন নবাব ফাহমে আজিজ খান।

মোটরযান পরিদর্শক নিয়োগ ২০২৩ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারী ০৫ নং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক (১০ম গ্রেড) নিয়োগের মৌখিক পরিক্ষার বোর্ড মেম্বার ছিলেন তৎসময়ের বিআরটিএর পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলাম। জনশ্রুতি আছে, ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ট সহচর হওয়ায় নবাব ফাহমে আজিজের প্রদান করা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগের মৌখিক পরিক্ষার ফলাফল দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ফলে অনেকের কপাল খুলে যায়।

বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ৪৫ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ রানা প্রায় লক্ষাধিক টাকা বেতনে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন (এপিএসসিএল) এর উপ সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে কর্মরত আছেন। সাম্প্রতিক সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) পদোন্নতি প্রাপ্তির কথা রয়েছে। বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক পদে অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুষ গ্রহনের সুযোগ থাকায় ১৬ হাজার টাকা বেসিক বেতনের চাকরিতে যোগদান করতে মরিয়া হয়েছেন তিনি। হয়েছেন সুপারিশ প্রাপ্ত (রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-০০০১৯০)। তার ঘনিষ্ট বন্ধু মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ ২০২১ সালে মোটরযান পরিদর্শক পদে বিআরটিএতে যোগদান করে বর্তমানে কক্সবাজার সার্কেলে কর্মরত রয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন (এপিএসসিএল) এর উপ সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে কর্মরত আছেন মোটরযান পরিদর্শক পদে সুপারিশ প্রাপ্ত রাসন চাকমা (রেজিষ্ট্রেশন নম্বর- ০০০৭২০) । তবে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (৯ম গ্রেড) শিমুল অধিকারী রেজিষ্ট্রেশন নং-৬০০০৪২। সিনিয়র পদে চাকরি থাকার পরেও ১০ গ্রেডের মোটরযান পরিদর্শক হতে চান তিনি।

তবে এই নিয়োগে হাল ছাড়তে নারাজ বিআরটিএর পরিবার সিন্ডিকেট। সংস্থাটির সদর কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গাফফারের খালাতো ভাই বিআরটিএর মেহেরপুর সার্কেলে কর্মরত মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট জিয়াউর রহমান (পরিচিতি নম্বর-২০১৭৩২০১৩৫)। যার বিরুদ্ধে বছর দুয়েক আগে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে স্থানীয় গ্যারেজে তৈরি করা মোটরযানের অবৈধ রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তৎকালিন চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সময়ে বিভাগীয় মামলা ও শাস্তি প্রদান করেন। এমন দুর্নীতিবাজরাও এবারের মোটরযান পরিদর্শক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে।

ঢাকা মেট্রো ৩ সার্কেলে কর্মরত মোটরযান পরিদর্শক রাশেদ মিলনের ছোটভাই সংস্থাটির দিনাজপুর সার্কেলে কর্মরত মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট খুলুদ হাসান ( রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-৭০০০৪১), বগুড়া সার্কেলে কর্মরত অফিস সহকারী নজরুল ইসলামের ছেলে হাসিব ইসলাম হিমেল ( রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-০০০০৯৭) সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলে কর্মরত মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মো. মহিউদ্দিন ( রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-০০০২৩৯) ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারী প্রকাশিত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ১৮.১২.২০২৪ তারিখের ৮০.০০.০০০০.৩০১ (গোপনীয়).১১.২৬৭২.২০২৪-৬৪ সংখ্যক স্বারকমূলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট “জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/পাওয়ার)” পদে ১০ম গ্রেড এ সুপারিশকৃত হয়ে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট এ পদায়ন হয় তবে সেখানে ঘুষ বাণিজ্যের কোন সুযোগ না থাকায় সেখানে যোগদান করেননি তিনি।

এছাড়াও উক্ত মোটরযান পরিদর্শক পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়া জনৈক মোহাম্মদ হালিমের পুত্র জিহছান (রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-০০১০৪১) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ার সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মোটরযান পরিদর্শক পদে নিয়োগের আবেদন করেছিলেন। এই বিষয়ে ১০ মার্চ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন ক্যাডার) বরাবরে জাল জালিয়াতির বিষয়ে আবেদন করেন সুপারিশ পত্র থেকে বাদ পড়া আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, হামিদ আকন্দ রবিন, শেফায়েত উল্লাহ, রুহুল আমিনসহ অনেকে। এই ঘটনা তদন্তপূর্বক সত্যতা পাওয়ায় আজ ১৭ মার্চ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের নম্বর- ৮০.০০.০০০০.৩০১ (গোপনীয়) ১১.২৬৫০, ২০২৪-৪৮ সংখ্যক স্বারকে মো. জিহছান (রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-০০১০৪১) বাতিল করে পিএসসি। এইসব নিয়োগের সাথে নবাব ফাহমে আজিজ ও আওয়ামী সিন্ডিকেটের একটি যোগসাজশ রয়েছে বলে সুত্রে প্রকাশ।

মোটরযান পরিদর্শক পদে নিয়োগে আবেদন করা বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই নিয়োগের বিষয় গুলো নবাব ফাহমে আজিজ খান নিয়ন্ত্রণ করতেন। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই নিয়োগ কার্যক্রম হয়েছে। ফলে এই নিয়োগে অনেক মেধাবীরা বাদ পড়েছেন। বিআরটিএর দীর্ঘ দিনের পরিবার তন্ত্র বাস্তবায়নে এবারও জয়জয়কার।

বিআরটিএর সূত্র বলছে, সংস্থাটি গঠনের পর থেকে সাবেক পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আশরাফুজ্জামান, সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এনায়েত হোসেন মন্টু, আব্দুল জলিল ও মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল বারীগংদের পরিবারতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে বিআরটিএতে নিয়োগ কার্যক্রম হতো। ২৪ শের আন্দোলনের পরেও বিআরটিএর পরিবার তন্ত্র বহাল রয়েছে। কোন ধরণের সংস্কার না করে আওয়ামীলীগ সরকারের সেই নিয়োগ বাস্তবায়িত হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

উপদেষ্টার অফিস রুমে শুয়ে বসে
সময় কাটানো ব্যক্তিরা কি করেন : সাম্প্রতিক সময়ে বিআরটিএর বেশ কয়েকটি বদলিতে অনিয়ম হওয়ার বিষয়টি সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মুখে মুখে। এই সকল ব্যক্তিরা শুধু নয় নবাব ফাহমে আজিজ খান সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিআরটিএর বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা। মো. সোহেল বিভিন্ন সার্কেল অফিস থেকে নবাব এর নামে মাসিক মাসোয়ারা আদায় করেন। এছাড়াও বদলি বাণিজ্যের টাকা গ্রহণ ও বিতরণের জন্য মো. সোহেল ও শাহিন হোসেনকে ব্যবহার করতেন তিনি। ৫ আগষ্টের পরেও বিআরটিএর নোয়াখালী সিন্ডিকেটের আওয়ামী পন্থিদের পছন্দের সার্কেলে বদলি করার জন্য বিভিন্ন স্থানে মিটিং ও দেন দরবার চালাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স জালিয়াতি :

৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে বিআরটিএর বেশ কয়েকটি সার্কেল অফিস থেকে। বিআরটিএর কাছে তথ্য থাকলেও কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি সংস্থাটি। ৫ লক্ষের অধিক গ্রাহককে সরকার যেখানে স্মাট কার্ড প্রিন্ট দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে নবাব ফাহমে আজিজ খানের নের্তৃত্বে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট হয়ে চলে গেছে একটি সিন্ডিকেটের হাতে। সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর বিশ্বস্ত সহচর মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের নেতা জাহিদুল রেজা ও নবাব ফাহমে আজিজের নের্তৃত্বে চলেছে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির হিড়িক।

ফাহমে আজিজ সিন্ডিকেটের করা বান্দরবান সার্কেলের জাল লাইসেন্স :

রেফারেন্স নং- BANP23046, BAMP1305478, BAMP1298995, BAMP1304972, BANP1300253, BANP1309028, BANP1311906, BANP1321619, BANP1321316, BANP1321419, BANP1306761, BANP1309609, BANP1307331, BANP1322856, BANP1315791, BANP1319879, BANP1316281, BANP1311026, BANP1307231, BNB2308NP112, BNB2308NP120, BNB2308NP106, BNB2308NP115, BNB2308NP104, BNB2308NP108, BNB2308NP105, BNB2308NP111, BNB2308NP110, BNB2308NP127, BNB2308NP125, BNB2308NP107, BNB2407NP118 নং লাইসেন্স গুলো জাল জালিয়াতির মাধ্যমে করেছেন বলে জানা যায়।

 

বরিশাল অফিসের জাল লাইসেন্স :

রেফারেন্স নম্বর- BSNP51009/21 PARVES MIAH, BSNP67003/21 MASUM MIA, BSNP50933/21 Tamimul Ihsan, BSNP68030/21 MD ZAKIR HOSSEN, BSNP51300/21 ANWAR HUSSAIN, BSNP68301/21 MUKTADIR AHMED, BSNP52007/21 MD MAMUN AHMED, BSNP53601/21 MD FOYSAL MAHMUD, BSNP69040/21 MAHBUB ALAM, BSNP53010/21 AHMED HOSSAIN, BSNP52159/21 OMAR BHUIYAN, BSNP50026/21 SYED ZAKARIA AHMED, BSNP50698/21 SHIFUR RAHMAN SHIPO, BSNP5960/21 MOHAMMED HABIBUR RAHMAN, BSTP31879/21 Shakibul Azam, BSNP51909/21 Muhibur Rahman, BSNP49608/21 MD RASHED, BSNP50481/21 FAYSAL AHMAD, BSP39016/21 Khaled Khan, BSTP36017/21 Shah Jamal Hussain, BSTP36003/21 Shahid Hasan, BSNP59061/21 HARIS ALI MD, BSNP50260/21 MD MIJANUR RAHMAN, BSNP50093/21 MD MASUD RANA
অভিযোগের বিষয়ে নবাব ফাহমে আজিজ খানের সাথে কথা হলে তিনি উল্লেখিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে রেখার দেহ ব্যবসা ও নারী পাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ির মিরাজিবাগ এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রেখা খাতুন( ৪৫) নামে এক নারী প্রকাশ্য দেহব্যবসা, নারী পাচার এবং মাদককের ব্যবসার চলমান রেখেছেন। সরে জমিনে রেখা খাতুনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেখা খাতুনের মাদক দেহ ব্যবসা সহ নারী পাচারে প্রতিনিয়তো যাত্রাবাড়ি সহ আশে পাশের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

তার এই অবৈধ ব্যবসায়ের কারনে ছিন্তাই রাহাজানি সহ কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেখা খাতুনের ক্ষমতার দাপটে যাত্রাবাড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নিই বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় রেখা খাতুন কয়েকজন ক্ষমতাধর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ সহ স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সেল্টারে মরন নেশা ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, আফিন সহ সকল প্রকার মাদকের ব্যবসা, নিজ বাড়িতে মেয়ে রেকে দেহ ব্যবসা ও বিদেশে নারী পাচার দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রাবাড়ি এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান রেখা খাতুনের এই অবৈধ কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, রেখা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে যুবসমাজকে হেরোইন ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। এছাড়া বিদেশে নারী পাচার নিজ বাড়িতে মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রকার গুরুতর অপরাধের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে ।

রেখা খাতুন যাত্রাবাড়ি এলাকাতে এতোটাই বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে তার ক্ষমতার দাপটে দিন দিন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

যাত্রাবারি এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “এখানে প্রতিদিন অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। আমরা আতঙ্কে আছি এবং দ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা চাই।”

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী আব্দুল রাজ্জাক রাজ বলেন, বর্তমান সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হলে রেখা খাতুনের মতো দেহ ব্যবসায়ি, মাদক ব্যবসায়ি সহ নারী পাচার চক্তের সদস্যদের যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হয়,তা হলে বর্তমান যুব সমাজ দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে পরবে, তাই এই সমস্থ মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী, নারী পাচার কারির বিরুদ্ধে প্রশাসন যুবসমাজকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মনে করেন।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, “বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা