৯ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ১৩ লাখ টাকা পুরস্কার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অদ্ভুত এক ইন্টার্নশিপ। ঘুমানোর জন্য প্রতি রাতে ৯ ঘণ্টা করে ৬০ দিনের ইন্টার্নশিপ। এতে প্রথম হয়ে জিতেছেন ‘স্লিপ চ্যাম্পিয়ন এর খ্যাতাব। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে শহরের পূজা মাধব ওয়াভাল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রতিবছর অভিনব এই ইন্টার্নশিপের আয়োজন করা হয় বেঙ্গালুরুতে। মূল উদ্দেশ্য, ঘুমের ঘাটতি এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। প্রতিযোগীদের ঘুমের গুণমাণ পরীক্ষা করার জন্য দেয়া হয় স্লিপ ট্র্যাকার যন্ত্র এবং ওয়েকফিট ম্যাট্রেস।

এই বছর ওই ইন্টার্নশিপের চতুর্থ বছর। প্রতিযোগিতায় ১৫ জনের মধ্যে ৯১.৩৬ স্কোর করে প্রথম হয়েছেন পূজা। বাকি ১৪ জনের প্রত্যেকেই অংশগ্রহণের জন্য পেয়েছেন ১ রুপি করে।

স্লিপ ইন্টার্নশিপ কী?
স্লিপ ইন্টার্নশিপ এক ধরনের গবেষণামূলক প্রতিযোগিতা। নির্বাচিত ১৫ জন প্রতিযোগীকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে দুই মাস প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। সময় মেনে শুধু ঘুমই নয়, ঘুমের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য অংশগ্রহণকারীদের নানা রকম ইন্টারঅ্যাক্টিভ কাজের মধ্যেও রাখা হয়। যেমন শিক্ষামূলক কর্মশালা, চোখ বাঁধা অবস্থায় বিছানা তৈরি করা, লুকোনো জায়গা থেকে অ্যালার্ম ক্লক খুঁজে বার করা ইত্যাদি।

যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন
আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ২২ বছর বা তার বেশি। একজন ব্যক্তি কেবল একবারই আবেদন করতে পারবেন এই ইন্টার্নশিপের জন্য। অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। কঠোরভাবে প্রয়োগের সময়সীমা হিসেবে বলা হয়েছে দেরিতে আবেদন জমা করলে তা বাতিল হয়ে যাবে। আগের সিজনগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা আর সুযোগ পাবেন না। প্রতিযোগিতার সব আপডেট জানানো হয় এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপে এবং ইমেলে।

নাগরিক সেবাদানে হয়রানি দূর করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, নাগরিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনগণ যেন কোন প্রকার দীর্ঘসূত্রিতা কিংবা হয়রানির শিকার না হয়।

তিনি আরও বলেন, মানুষকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়ে নাগরিকদের সেবা প্রদান করতে হবে।

রবিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিদর্শন শেষে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নগরবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখছে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এই স্বপ্নকে সত্যি করে সুন্দর নগর উপহার দিতে এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করতে হবে।

নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেয়া প্রকল্পের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইন্টিগ্রেটেড হয়ে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় অবৈধ দখলকৃত খাল-নদী এবং ফুটপাত পুনরুদ্ধার করতে হবে। নগরবাসীর জন্য খেলার মাঠ ও পার্ক সংস্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বপ্নের নগরী বিনির্মাণ করতে হবে।

ডেঙ্গু ও মশক সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘ হওয়ায় ডেঙ্গুর উপদ্রব এখনো দেখা যাচ্ছে। মশক দমন এবং নিধনের জন্য বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এ সমস্যা লাঘব হবে।

জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সরকারি চাঁদা বৃদ্ধি করা হয়নি। এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিচতলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এর ফটো গ্যালারীর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

মতবিনিময় সভার শুরুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের (রুটিন দায়িত্ব)ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম।এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  এছাড়াও সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম