এবার দাবি আদায়ে রাস্তায় নামলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে ভাষানটেক থানার আওতাধীন ১৫০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং ঢাকার বিজয় সরণিস্থ কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ৬ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেছে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির এর পরিবার। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর ফ্রিডম ফাইটার্স ফ্যামিলি” শীর্ষক আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এসময় তারা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেন। সমাবেশে এসময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, নৈতিক সমাজের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আমসা আমীন, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার ফুয়াদ, এনডিএম এর সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম মিলন, মানবাধিকার সংগঠনের নেতা আলহাজ ড. শরিফ শাকী, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, দেশ প্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, ভাষানটেক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য জাহানারা বেগম প্রমুখ।
৬ দফা কর্মসূচীগুলো হলো- ১। ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের বাঁধাসমূহ দূর করা এবং কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা। ২। ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক নর্থ-সাউথ প্রপার্টির চুক্তি বাতিল আদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করা। ৩। ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রের দায়ে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা । ৪। ভূমি মন্ত্রণালয় ও নর্থ-সাউথ প্রপার্টির মধ্যে যাবতীয় বিরোধ সালিশি বোর্ডের মাধ্যমে সমাধান করা। ৫। ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প সংক্রান্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের বন্ধ হওয়া তদন্ত কার্যক্রম পুনরায় চালু করা। সেইসঙ্গে মেয়র আতিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জাতির সামনে তুলে ধরা। এবং ৬। শহীদ পরিবার হিসেবে আলহাজ্ব আব্দুর রহিম সাহেবের পরিবারবর্গের জানমাল ও সম্পদের সুরক্ষা প্রদান করা।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক বলেন, ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং কলমিলতা বাজার নিয়ে যে অনিয়ম চলছে তা এই স্বাধীন দেশে কাম্য নয়। জেলা প্রশাসক বারবার সমাধানের আহ্বান জানালেও সিটি কর্পোরেশন সমাধান করছে না, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি সিটি কর্পোরেশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো অতি দ্রুত বিষয় দুটির সমাধান করুন। তানাহলে একদিন এর জন্য আপনাদের জবাদিহিতা করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য নুরতাজ আরা ঐশী বলেন, ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প একটি পাইলট পরীক্ষামূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পে সরকারের একটি টাকাও বিনিয়োগ করা হয়নি। পুরো প্রকল্পটি আমার বাবা তার নিজের সম্পদ বিক্রি করে গড়ে তুলেছেন। নর্থ-সাউথ প্রপার্টি একটি বিনিয়োগ ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এটি একটি পিপিপি অর্থাৎ সরকারি বেসরকারি অংশীদার প্রজেক্ট। সরকারের সাথে ২০০৩ সালে করা চুক্তি বাতিলের কোনো শর্ত নেই। সরকার চাইলেও কোন শর্ত কিংবা চুক্তি বাতিল করতে পারবে না। ২০১০ সালে প্রকল্প থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী কায়দায় এক কাপড়ে নর্থ-সাউথ প্রপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা আমার বাবার পরিবার এবং তার কর্মচারীদেরকে প্রকল্প থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়া হয়। অতঃপর আমার বাবা তথা নর্থ সাউথ প্রপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের রেখে যাওয়া বিশাল মালামাল ও অর্থ-সম্পদ আজও লুটপাট করে যাচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প বিরোধী একটি চক্র। নর্থ-সাউথ প্রপার্টির চেয়ারম্যান তথা আমাদের পরিবারকে ২০১০ সালে দেশ ছাড়া করা হয়। এমনকি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আমার বাবা আব্দুর রহিম দেশে আসলে, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে র‌্যাব দিয়ে গুম করা হয়। পাশাাপাশি ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের পাবলিক রিলেশন অফিসার ইসমাইল হোসেন বাতেনকে ২০১৭ সালে গুম করা হয়। এরপর থেকে এখনো তাকে আর ফিরে পাওয়া যায়নি। তার পরিবার ইসমাইল হোসেন বাতেনকে ফিরে পেতে এখনো পথপানে চেয়ে থাকে। এই গুমের পিছনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল ফারুক ও প্রকল্প বিরোধী একটি চক্র জড়িত। এই গুমের পিছনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল ফারুক ও প্রকল্প বিরোধী একটি চক্র জড়িত।
নুরতাজ আরা ঐশি বলেন, ঢাকার বিজয় সরণিস্থ কলমিলতা বাজারটির প্রকৃত মালিক আমার বাবা। আজ অবধি ডিএনসিসি ও তার পূর্বসূরিগণ পরস্পর পরস্পরের যোগসাজশে আইনের অপপ্রয়োগ করে জবরদখল করে রেখেছে। যদিও হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট আমাদেরকে দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। এক পর্যায়ে তৎকালীন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক কোর্টের আদেশ মেনে উক্ত সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ডিসি ঢাকাকে লিখিত প্রস্তাব পাঠান। হঠাৎ, মেয়র আনিস পরলোকগমন করেন। এই সুযোগকে ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম দুর্নীতির মানসিকতায় ডিসি ঢাকাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের চাহিদাপত্র না দিয়ে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করছেন। এদিকে, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম গত ২৩ অক্টোবর পুনরায় কমলিলতা মার্কেটের ভূমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে ডিএনসিসি বরাবর একটি তাগিদ পত্র প্রদান করেছেন। এর আগেও এমন তাগিদপত্র দেয়া হয়েছে। এরপরও ডিএনসিসি কোনো সমাধান করছে না।
আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আজকের এই সমাবেশের মাধ্যমে জানাতে চাই, আপনি দয়াকরে এই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দুইটি বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সমাধানের জন্য নির্দেশ দিবেন বলে আমরা আশা ব্যক্ত করছি।

বিএনপি ২৫ সালেই ভোটে অনড়

স্টাফ রিপোর্টার: 

নেতারা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় কাটবে না, সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে।

আগামী বছর, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিএনপির পাশাপাশি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরও একই চাওয়া। ‘২০২৫ সালের শেষের দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়’, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানালেও দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে এ ঘোষণায় তা কাটবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

আগামী বছর, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিএনপির পাশাপাশি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরও একই চাওয়া। ‘২০২৫ সালের শেষের দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়’, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানালেও দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে এ ঘোষণায় তা কাটবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

বিএনপির দায়িত্বশীলরা বলছেন, উপদেষ্টার বক্তব্যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তাঁরা। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে নির্বাচনমুখী করতে না পারলে দেশবিরোধী নানা ধরনের অপপ্রচার-ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। পতিত সরকার দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাবে। বিএনপি মনে করে, আগামী বছরের প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে পরবর্তী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

সর্বোচ্চ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হলে তাতে আপত্তি থাকবে না। তবে নির্বাচন ২০২৬ সালে গেলে সেটি হবে দীর্ঘ সময়। এর মধ্য দিয়ে সময় ক্ষেপণ হবে, যেটি কাম্য নয়।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অভিমত, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বিএনপি তাদের ৩১ দফায়ও সংস্কারের কথা বলেছে। তাই নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। এর অংশ হিসেবে দ্রুত রোডম্যাপ দিলে দেশ পুরোপুরি নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে যাবে। এতে বিদ্যমান অস্থিরতাও কেটে যাবে। তা ছাড়া ১৫-১৬ বছর ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত জনগণও এখন ভোট দিতে উন্মুখ।আর সব সংস্কার শেষে নির্বাচন করতে গেলে সেটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। নির্বাচিত সরকার এসে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেবে। এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণার পর বিএনপি সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। তিনি বলেন, নির্বাচন করতে এত সময় লাগার কথা নয়। সরকার আন্তরিক হলে আরও দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ দ্রুত নির্বাচন প্রত্যাশা করে। অংশীজনেরাও দ্রুত নির্বাচন চায়। জবাবদিহিমূলক সরকার না থাকলে অংশীজনেরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি ধারণা দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি ধারণা নয়, নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। তিনি বলেন, সংস্কার যুগ যুগ ধরে চলবে, এটা নতুন কিছু নয়। সময়ের বিবর্তনে, সময়ের চাহিদায় সংস্কার প্রয়োজন হয়। আমরা আশা করছি, এ সরকার দ্রুততম সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফেরত দেবে, এটাই কাম্য।

 

বিএনপির একসময়ের রাজপথের মিত্র জামায়াতে ইসলামী বলছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটা ধারণা দিলেও সংস্কারের বিষয়ে কিছুই বলেননি। জামায়াত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চায়। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে ন্যায়বিচার কায়েম হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করবে। এসব নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বিগত সরকারের প্রতিটি সেক্টরের অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও রোডম্যাপ প্রশ্নে এখন সরকারপ্রধানের সঙ্গে সংলাপ আশা করছে। তারা বলছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে রোডম্যাপ তৈরি করা হলে সব সন্দেহ-সংশয় দূর হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে এখন যে ইঙ্গিত পাওয়া গেল, সেটা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়ক হবে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার এবং নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে এটি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেড় থেকে দুই বছরের মাথায় সংস্কার শেষ করে একটি নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা আশা করেছিলাম। তার পরও যেটা বলেছেন, আমরা মনে করি, তিনি সামনে আরও সুন্দরভাবে, আরও নির্দিষ্টভাবে একটি পরিকল্পনা আমাদের সামনে তুলে ধরবেন। আমরা চাই এ সরকার সফল হোক। বিএনপির মিত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা দিতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ দেখতে চাই না। মানুষ ১৭ বছরে ভোট দিতে পারেনি। বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলাসহ নানা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সম্ভাবনার কথায় দেশবাসী আস্থা রাখতে পারছে না। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। দেশে এখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার দরকার। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। বিএনপির আরেক মিত্র ১২-দলীয় জোটের নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চার মাস পার হওয়ার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্য এলো। কিন্তু তাতে সংস্কারের সময় বা নির্বাচনের তারিখ বলা হয়নি। এ জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা প্রয়োজন। তাঁরাসহ অনেক দল ২০২৫ সালে জুনের মধ্যে নির্বাচন চায়। তাঁরা মনে করেন, সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার।

সবা:স:জু- ৪২৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন