কুয়েট শিক্ষার্থীরা ৫ মাস পর শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন

কুয়েট শিক্ষার্থীরা ৫ মাস পর শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন

ডেস্ক রিপোর্ট:

দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কুয়েটের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী। সোমবার দুপুরে উপাচার্য ড. মো. মাকসুদ হেলালী বলেন, সব পক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ক্লাস চলবে ইনশাআল্লাহ। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের হলসহ যার যার আবাসনে এসে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নিয়ে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে কুয়েট। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ, রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। একপর্যায়ে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন। একদিকে বন্ধ ক্যাম্পাস, অন্যদিকে অনশন। শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানে ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তবে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায় বিচারের পরাজয় হয়েছে বলে জানায় কুয়েট শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষকদের ওপর হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তির আওতায় আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম ও ১৮ মে থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করে আসছিলেন কুয়েটের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মুখে গত ২২ মে উপাচার্য পদত্যাগ করে চুয়েটে ফিরে যান।
পরে গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী কুয়েটের উপাচার্য নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাবির হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার॥

বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে পোস্টারিং করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা বিজয় একাত্তর হলের সামনে অবস্থান নেন। বুধবার রাতে বিজয় একাত্তর হল গেটে বিক্ষোভ করেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভে অনান্য হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। এ সময় তারা, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, একাত্তর হলে হবে না’, ‘টু জিরো টু ফোর, লেজুড়বৃত্তি নো মোর’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ,শেষ হয়নি যুদ্ধ’- প্রভৃতি স্লোগান দেন। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গত ১৭ জুলাই ছাত্রলীগকে হল থেকে বের করে দিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সেদিনই হলের প্রভোস্টের কাছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ফের আমাদের হলে রাজনীতি ঢোকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা মেনে নেবো না। আমরা আবার গণরুম, গেস্টরুম চাই না। কোনো ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের রাজনীতির দিকে ফিরে যেতে চাই না।

তারা বলেন, হলের বাইরে তথা ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি না সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট। কিন্তু হলে ছাত্ররাজনীতি থাকবে না সেই বিষয়ে হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এখন আমরা আবারো দেখছি, হলের গেটে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এমনভাবে লাগানো হয়েছে দেখে মনে হবে এটা কোনো পার্টি অফিস। নতুন কোনো একজন শিক্ষার্থী এসে বুঝতেই পারবে না এটা আবাসিক হল নাকি পার্টি অফিস। এগুলো হলে রাজনীতি পুনরায় প্রবেশের প্রাথমিক ধাপ বলে আমরা মনে করি।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সংঘটিত সৈনিক ও জনতার এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন জিয়াউর রহমান। দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি।

সবা:স:জু-৫১/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম