ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর

ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর

ডেস্ক রিপোর্ট:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণা করেন ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামীকাল বুধবার। ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ৮ আগস্ট। এরপর ১১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বিতরণ করা শুরু হবে ১২ আগস্ট। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বেলা ৩টা। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে ২০ আগস্ট। এরপর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ আগস্ট দুপুর ১২টায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ আগস্ট দুপুর ১২টা। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট বিকেল ৪টায়।

এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। নির্বাচনের ফলাফলও ৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। ২৮ বছর পর ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার:

বাড়ি ভাড়া নিয়ে পাঠদান পরিচালনা করা ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাময়িক অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নিজস্ব জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) এই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গত ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন–২০১০–এর ৭(২) ও ১১(২) ধারার বিধানমতে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি বিধায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০–এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০–এর ১২(১) ধারায় বলা আছে, ‘কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে বা ক্ষেত্রমতে নবায়নকৃত সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হলে অথবা সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য ধারা ৯–এর কোনো শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে, সাময়িক অনুমতিপত্র বা ক্ষেত্রমতে নবায়নকৃত সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা–সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, ওই ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি ও মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস।

এ ছাড়া সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চট্টগ্রামের চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিও এ তালিকায় রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সাময়িক অনুমতি নিয়ে চলছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে প্রতিষ্ঠার সাত বছর পার হয়ে যাওয়ায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ। সাময়িক মেয়াদ শেষ হলেও নিজস্ব জমিতে স্থাপিত ক্যাম্পাসে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানান্তরিত না হওয়ায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী পূর্ণ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের শর্ত পূরণ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউজিসিকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ আছে, তাদের কিছুটা সময় দেওয়া হবে। আর যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্যোগই নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা