জামালপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

জামালপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

জামালপুর সংবাদদাতা:

জামালপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের অনন্তবাড়ি এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে অংশ নেন নারী পুরুষসহ এলাকার শতাধিক মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন হোসেন, সবুজ মিয়া ও লাভনি বেগম। তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড ব্যবহার করে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে নদীর পাড় ভেঙে বসতবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে জামালপুর ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক।

স্থানীয়রা আরও জানান, ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেডের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধসহ সকল বয়সী মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দ্রুত এসব অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড অপসারণ না করলে তাদেরকে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

২০ বছর ধরে অকেজো বুড়িচংয়ের সেতু’

স্টাফ রিপোর্টার॥

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল গ্রামে ঘুঙ্গুর নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু প্রায় দুই দশক ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পড়ে আছে। ২০০৫ সালে তৎকালীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন প্রভাব খাটিয়ে তার বাড়ির পাশেই সেতুটি নির্মাণ করেন। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করেনি।

ফলে সরকারি প্রকল্পের বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও গ্রামীণ মানুষের কোনো উপকারে আসেনি সেতুটি। বরং সেতুটি এখন এলাকার মানুষের জন্য ভোগান্তি ও ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা থেকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচুতে নির্মিত সেতুটির এক পাশে সিঁড়ি থাকলেও অন্য প্রান্তে ওঠানামার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সেতুটি ব্যবহার করতে হলে স্থানীয়দের বস্তা বা অন্যান্য অস্থায়ী উপায় অবলম্বন করতে হয়। এজন্য স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ‘অদ্ভুত সেতু’।

সেতুটি নির্মাণের সময় বলা হয়েছিল, এটি স্থানীয়দের নদী পারাপারে বড় সহায়ক হবে। কিন্তু ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি অকেজোই রয়ে গেছে। অকার্যকর এ সেতু নিয়ে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।স্থানীয় কৃষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই সেতু হলে বাজারে যাতায়াত সহজ হবে। ফসল মাঠ থেকে সরাসরি গাড়িতে তোলা যাবে; কিন্তু ২০ বছরেও কোনো গাড়ি চলল না। আমাদের কষ্ট যেমন ছিল, তেমনি রয়ে গেছে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘এলাকায় শাকসবজি ও ফসল বাজারে নিতে অনেকটা ঘুরে যেতে হয়। এতে করে অনেক ঝামেলা হয়। সেতুটা যদি সংস্কার করে দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরি করা যায়, তাহলে পুরো গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো সমীক্ষা বা সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যার ফলে ২০ বছরেও এটির কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। বরং বর্তমানে এটি এখন অপচয় হওয়া সরকারি অর্থের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনো যদি দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যায়, তাহলে সেতুটি শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের জন্য বড় সুফল বয়ে আনতে পারে। এলাকাবাসীর দাবি, সরকারের উচিত দ্রুত সেতুটি সংস্কার ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।

বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহমেদ অক্ষর জানান, সেতুটি নির্মাণের সময় স্থানীয়রা সংযোগ সড়কের জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জায়গা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে স্থানীয়রা যদি জায়গা দেন, তাহলে নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে সেতুটি চালু করা সম্ভব। এতে এলাকাবাসীর উপকার হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম