মধ্যরাতে বয়সভেদে শীতবস্ত্র বিতরণ করল দূর্বার তারুণ্য

স্টাফ রিপোর্টারঃ

“কেবল কম্বল নয়, বয়স ভেদে শীতবস্ত্র করবো দান, বেঁচে থাকুক সব প্রাণ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য তারুণ্য ‘শীতের আমেজ’ নামক শীতবস্ত্র বিতরণ প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছে।

আজ মধ্য রাত (৮ জানুয়ারি) রবিবার নগরীর জামালখানস্থ প্রেস ক্লাব এর সামনে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দূর্বার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু। এসময় আশেপাশের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করে বিভিন্ন বয়স ও পেশার শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই প্রজেক্ট এর বিশেষত্ব হল- বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তাদের সাইজ অনুযায়ী শীতের পোশাক দেয়া হয়। যা গায়ে জড়িয়ে তারা নিজেদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালাতে পারবে।

এ সম্পর্কে দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, আমাদের যুবলীগের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মাইনুল হাসান নিখিল ভাইয়ের নির্দেশনায় অনুযায়ী আমরা সবসময়ই মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছি। আমরা চাই তরুণরা সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। দূর্বার তারুণ্য বরাবরের মতো এবারও ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করায় তাদের স্বাগত জানাতেই আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি। সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের উচিৎ এই তীব্র শীতে মানুষের পাশে থাকা। আমাদের এই উদ্যোগ কেবল একটি পথ দেখিয়ে দেয়া মাত্র। পুরো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যখন এগিয়ে আসবে, তখনই আমাদের এই উদ্যোগ সফল হবে।

প্রজেক্ট নিয়ে দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমরা সবাই মোটামুটি শীতে কম্বল দিয়ে থাকি। তারা অবশ্য ই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বিকাল থেকে ঠান্ডা হাওয়া ইদানীংকালে বইতে শুরু করেছে। খেটে খাওয়া মানুষদের এখন শীত নিবারন করা প্রয়োজন, তার সাথে সেই শীতবস্ত্র দিয়ে তারা যেন নিজেদের কাজকর্ম চালাতে পারে সে বিষয়ও নিশ্চিত করা দরকার। আমরা এই প্রজেক্টটি শীত যতদিন আছে, ততদিনই চলমান রাখব। কম্বল থেকে শুরু করে শীতের যত পোশাক আছে, সবই এই প্রজেক্ট দিয়ে আমরা ঐ রাস্তার মানুষগুলোর জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে যাবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হুদা,জিহাদুল ইসলাম, মারুফ উল ইসলাম, বিভূ দেবনাথ, মোঃ আরাফাত, রবিউল ইসলাম, এইচ এম মোবারক, মোঃ আলাউদ্দিন কামরুল ইসলাম, মোঃ শোয়েব, রিয়াদ, মুশফিকুর রহমান অপুসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দরা।

সস্তার যেসব খাবারে ভালো থাকে কিডনি

স্টাফ রিপোর্টার:

কিডনি হলো দেহের ছাঁকনি। এই অঙ্গটির মাধ্যমেই রেচন কার্য সম্পূর্ণ হয়। কিডনি ক্ষতিকারক সব পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়। এটাই এর মূল কাজ। এছাড়া এই অঙ্গটি বিভিন্ন হরমোন তৈরি করে। সেই হরমোন দেহের নানাবিধ কাজে অংশগ্রহণ করে।

আবার ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে কিডনি। তবে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারের মতো অসুখ এবং মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটি কিডনিকে সমস্যায় ফেলছে। হচ্ছে কঠিন কিছু অসুখ। এই তালিকায় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি রয়েছে।

তাই গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটিকে বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সস্তার খাবারগুলো পাতে রাখতেই হবে। চলুন তবে জেনে আসি সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।

পর্যাপ্ত পানি পান

আমরা গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বাস করি। তাই এপ্রিল পড়তেই ঘরের বাইরে পা দিলে গলদঘর্ম অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করেন, তাহলে গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি কিডনির ক্ষতি হয়। তাই এই সময় পানি পান বাড়ান।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলেই কিডনি নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে। এক্ষেত্রে দিনে অন্ততপক্ষে তিন লিটার পানি পান করুন। পানি জাতীয় ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

মিষ্টি আলু

আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু চাষ হয়। বাজারে দামেও সস্তা। সস্তা হলেও এই আলুর কিন্তু অনেক গুণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি আলু খেলে সুগার বাড়ে না। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও চাইলে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। তাই কিডনি সুস্থ থাকে। তবে ইতোমধ্যে যদি আপনি কিডনির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে মিষ্টি আলু কম পরিমাণে খান।

সবুজ শাক-পাতা

আমাদের শস্য শ্যামলা বাঙলা। এখানে শাকের কোনো অভাব নেই। গ্রামে তো এখনো বাড়ির পাশেই শাক পাওয়া যায়। শহরে সেই সুযোগ না থাকলেও এক পা বেরোলেই শাক কিনতে পারবেন। এই শাকপাতা শরীরের জন্য উপকারী।

বিশেষ করে পালং শাক, ডাটা শাক, কলমি শাকসহ যত ধরনের সবুজ শাক রয়েছে, সেগুলো কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এসব শাকে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা কিডনিকে সুস্থ রাখে। তাই নিয়মিত শাকপাতা থাকুক ডায়েটে।

প্রতিদিন একটা আপেল

প্রতিদিন আপেল খেতে পারেন । আপেল স্বাস্থ্যকর। এতে রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান কিডনি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। ব্লাড সুগার লেভেল এবং কোলেস্টেরলও কমায়। তাই প্রতিদিন একটা আপেল খেতেই পারেন।

আরও যা খেতে পারেন

এছাড়া খেতে পারেন ফ্যাটি ফিশ। সাধারণত বিদেশি সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি থাকে। এই ফ্যাট কিন্তু কিডনি সুস্থ রাখে। বাজারে নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে টুনা, সার্ডিন, স্যামলন খেতে পারেন।

এছাড়া বিদেশি বেরি জাতীয় ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির জন্য উপকারী। তাই এই ফলও খাওয়া যায়। তবে এ সব খাবারের দাম বড্ড বেশি। তাই পকেট সায় দিলে তবেই এদিকে হাত বাড়ান। নইলে সস্তার শাকপাতা, মিষ্টি আলু আর পানিতেই ভরসা রাখুন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের