ডিবির হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার॥

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই আবেদন করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে আদালত মামলা গ্রহণের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরমান হোসেন  তথ্য জানান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা, কক্ষে কক্ষে তাণ্ডবের অভিযোগ
৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তারপর আজ শনিবার প্রথম কার্যালয়ে যান দলটির নেতাকর্মীরা

নাজিম উদ্দিনের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার  বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালত মামলা গ্রহণের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি ছিল। তার আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী। সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানের পর ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৩০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও ককটেল পাওয়া গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ৫০ সদস্য আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন চারটি মামলা হয়। পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পুলিশের করা পৃথক চার মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। প্রতিটি মামলায়ই আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়।

১৮ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করা হয়, ৭ ডিসেম্বর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলা হয়। সেদিন পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকেন। তাঁরা বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালান। মালামাল লুট করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রায় ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ।

 

তদন্ত চেয়ে মহাপরিচালককে চিঠি: নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ!

বিশেষ প্রতিবেদক:
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের নৌযান ড্রাইভার ও মাষ্টার পরীক্ষার অনিয়ম,দুর্নীতি,প্রশ্নপত্র ফাঁস , প্যাকেজ পাশ, কোচিং বাণিজ্য কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। দালালদের পাশাপাশি অধিদপ্তরের বড় বড় কর্মকর্তারাই জড়িয়ে পড়ছেন এই অনৈতিক কর্মকান্ডে। তারা কেবলমাত্র এই পরীক্ষা খাত থেকেই প্রতিবছর শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কথিত আছে শস্যে যতি ভুত থাকে তবে আর ভুত তাড়াবে কে? ঠিক একই অবস্থা চলছে এই অধিদপ্তরে।
অভিযোগ পাওয়াগেছে যে, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ৪/৫ জন কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তারা ঢাকাসহ দেশের নানা স্থানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। একজন প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার ও মাষ্টার প্যাকেজ চুক্তিতে পাশ করাতে তারা মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা আদায় করছেন । এভাবে সেকেন্ড ক্লাস এবং থার্ড ক্লাসে নিচ্ছেন ৭০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। প্যাকেজ চুক্তিতে প্রতিটি পরীক্ষায় ৭০/৮০ জন পাশ করিয়ে তারা ৪০/৫০ লাখ টাকা উপার্জন করছেন।
এ বিষয়ে গত দশ বছর ধরে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রতিবেদন ছাপা হলেও সেগুলো আমলে নেয়নি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ফলে সেটি এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছে। এখন ড্রাইভারশীপ ও মাষ্টারশীপ পরীক্ষা মানেই টাকা যার পাশ তার। আর এই বাণিজ্যকে নিরাপদ করতে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিদশালী একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সাথে কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদেরও দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে।
সম্প্রতি এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মহাপরিচালক বরাবরে প্রেরিত উক্ত অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চীফ নটিক্যাল অফিসার ও মাষ্টারশীপ পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক ক্যাপ্টেন মো: গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ তার অধিনস্থ সহকারী পরিচালক ( প্রশাসন) মো: শাহাদত হোসেন সরকার , সহকারী মো: নজরুল ইসলাম, বহিরাগত দালাল সাগর ,মুন্না ও তুষারের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রার্থীদের পাশ করিয়ে প্রতি পরীক্ষার দিন ৪০/৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীদের আবাসিক হোটেলে রেখে সুরক্ষিত পরিবেশে কোচিং করাবার জন্য মতিঝিল এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলও তারা ক্রয় করেছেন। এই হোটেলের নাম হোটেল আল রাব্বী। হোটেলটির মালিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহাদাত হোসেন বলে শোনা যাচ্ছে।
অভিযোগের বর্ণনামতে, গত ১০ জুলাই প্রথম শ্রেণীর মাষ্টারশীপ পরীক্ষায় সহকারী পরিচালক শাহাদাতের ৭ জন- যার রোল নং ১৫২,১৫৩,১৫৬,১৬০,১৭০,১৭২,১৮৫ , সহকারী নজরুলের ৩ জন- যার রোল নং ১৪৯,১৫৫,১৭৯, দালাল সাগরের ১ জন- যার রোল নং ১৮৫,দালাল মুন্নার ১ জন- যার রোল নং ১৭৪ চুক্তির ভিত্তিতে লিখিত ও মৌখিক পাশ করানো হয়েছে। এসব প্রার্থীর কাছ থেকে মাথাপিছু ১ লাখ টাকা নিয়েছেন ক্যাপ্টেন মো: গিয়াস উদ্দিন।
বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন জানিয়েছে অভিযোগকারী সঞ্জয় কুমার বিশ^াস।
অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলে তিনি লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা চীফ নটিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন মো: গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছূ জানেন না। অপরদিকে সহকারী পরিচালক( প্রশাসন) মো: শাহাদাত হোসেন ফোন কলই রিসিভ করেন নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম