গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হলেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হলেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার॥

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী। তিনি এই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাসনিম ফারহানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এদেশে জারি করা হয়েছে । মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। একইসঙ্গে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তারকে রিজার্ভে পাঠানো হয়েছে।

২০২০ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ শামীম আখতার। এ পদে দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, শামীম আক্তার আগামী ডিসেম্বর মাসে তার চাকরি মেয়াদ শেষ হবে এবং অবসরে যাবেন। কিন্তু তার মাত্র দুই মাসে দূর্নীতির কারনে তাকে রিজার্ভে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ আছে, প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে শামীম আক্তার দায়িত্ব পালনকালে তার নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে উন্নয়ন ও মেরামত কাজে বিভিন্ন সময় অনিয়ম প্রমাণিত হলেও সেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। যার কারণে বিভিন্ন সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। একই সাথে যেসব প্রকৌশলীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি হয়ে বিভিন্ন ভাবে চাপে রয়েছেন তাদের জন্য তিনি কোনো ভূমিকা রাখেনি। তাই দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। জনবল, অস্ত্র ও যানবাহনের ঘাটতি থাকলেও সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টায়। রাজধানীর বেশীরভাগ থানায় নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ায় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগে-পরে জনরোষের শিকার হয় পুলিশ। ৪০০-এর বেশী স্থাপনায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। যানবাহন পুড়েছে এক হাজারেরও বেশি। প্রাণ হারান অন্তত ৪৪ পুলিশ সদস্য।

রাজধানীর ভাটারা থানার মূল ফটকের পাশে এখনও পোড়া গাড়ির স্তুপ। ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় অবশিষ্ট ছিল না কিছুই। পাঁচ মাসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে থানাটি। যদিও লুট হওয়া ৫২টি অস্ত্রের এখনও খোঁজ নেই।

ক্ষোভের আগুনে পুড়ে যাত্রাবাড়ি, মোহম্মদপুর, শাহবাগ, মিরপুরসহ রাজধানীর বেশীর ভাগ থানা। আলামত ও পুলিশের গাড়িসহ যাত্রাবাড়িতেই পোড়ানো হয় প্রায় অর্ধশত যানবাহন। যে ক্ষত এখন পুরণ হয়নি।

স্থানীয়রা সেবা নিতে থানায় আসছেন তবে পুলিশ সদস্যদের অস্বস্তি পুরোপুরি কাটেনি। অপরাধ দমনে শুরু হয়েছে নিয়মিত টহল। এখন প্রয়োজন জনগণের আস্থা অর্জন।

পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, আমাদের যেই ইউনিটগুলো রয়েছে সেখানে পুলিশকে দ্রুততার
সঙ্গে অপারেশনার করার কাজটি খুবই দ্রুততার সঙ্গে করেছি। এ ছাড়া গাড়ির যে সংকট ছিল এবং ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো প্রায়োরিটি অনুযায়ী সমাধান করা হয়েছে।

যত চাপই আসুক পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে অতীতের মতো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করার পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষক জগলুল আহসানের।

তিনি বলেন, জনতা এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে পুলিশ বিচ্যুত হয়ে গেছে। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হলে যে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট সেটা ৫ আগস্টের ঘটনায় সব পুলিশ সদ্যদের বুঝা উচিত।

 

সবা:স:জু- ৬৫৫/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম