প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় টঙ্গী স্টেশন রোড চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা

হাফসা আক্তারঃ

“হোটেল বিক্রমপুর” নামক অবাসিক হোটেলেটিতে চলছে স্কর্ট সার্ভিস ও ব্ল্যাক-মেইল বাণিজ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশ প্রসাশনের অভি যানের ভূমিকা থাকলেও পকেট ভাড়ি করে সুযোগ করে দিচ্ছে আসামাজিক বাণিজ্য। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিতে রুমে তালা লাগিয়ে উঠতি বয়সের মেয়েদের আটকিয়ে রাখার দৃশ্য চোখে পরে অনুসন্ধানকালে। প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা দালাল চক্ররা কাট ও অনলাইনের মাদ্যামে ভিবিন্ন উঠতি বয়সি ছেলে মেয়েকে নানাভাবে অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে কথার ছলে জরীয়ে নেন এবং বলেন মামা রুম ভাড়া নিবেন নাকি, রুম ভাড়া নিলে সব ব্যবস্থা আছে।সম্প্রত্তি, দালাল চক্র কিংবা প্রভাবশালীদের পাহারায় চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিনব কায়দায় হোটেলটি পরিচালনা করে আসছেন হোটেল মালিক কাওসার গং। পরিচালনা করে জালাল ও কাজল, যা বোঝার কোন উপায় নেই যে হোটেলটির ভিতরে কি হচ্ছে। এছাড়া খদ্দের ও রুম বর্ডারাও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীও এসব হোটেলে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অসামাজিক কর্মকান্ডে।প্রতিটি হোটেলে ঘণ্টা প্রতি রুম ভাড়া ১০০০-৩০০০ হাজার টাকা নিয়ে রুম স্বমী-স্ত্রী কিংবা গার্লফ্রেন্ড পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ-অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। যদি নিয়মে রয়েছে কোন বর্ডারকে ভাড়া দিতে হলে নির্ধারিত ফর্মে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিদিন নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও কোনটাই মানছে না মালিক কর্তৃপক্ষ। এমনকি হোটেলের নির্দিষ্ট ভলিয়মে লেখা হচ্ছে না বর্ডারদের পরিচয়। এভাবেই ধর্ষনের শিকার হয় অনেক তরুনী। এমনকি সন্ধ্যার পর পরই বসে জুয়ার আসর এবং খদ্দেরদের সমগম।এলাকাবাসি আরো অভিযোগ করে বলেন,তবে জনগনকে লোক দেখানোর জণ্য পুলিশ প্রসাশনের মাঝে মধ্যে দুই একটি অভিযান চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু পরে আবারও হোটেলটিতে শচোঁখে একই দৃশ্য। আর আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে আসে মালিকসহ দালাল চক্র। অনেকদিনল ধরেই চলছে হোটেলটিতে এধরনের তরুন-তরুনীদের লীলা খেলা। বিষয়ে হোটেল মালিক কাওসা গং বলেন, আমরা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা করি। তা নাহলে কি ব্যবসা করা যায়। এমনকি থানা পুলিশ কিংবা মহল্লার সবাই জানেন।

আওয়ামী মাদক সম্রাটের চাঁদাবাজি রুখতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে ছাত্রদল নেতা জোবায়ের

স্টাফ রিপোর্টার

আওয়ামিলীগের দীর্ঘ শাসনামলে দেশব্যাপী ভয়ানক হারে তৈরি হয়েছে কিশোর গ্যাং এবং মাদক চোরাকারবারি। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে কিশোর গ্যাং ও মাদক চোরাকারবারির উৎপাত সবারই জানা। আওয়ামী সরকারের পতনের পরও থামেনি এই মাদক সম্রাটদের দৌরাত্ম্য। মিরপুরের ডুইপ প্লটে মাদক সম্রাটদের চাঁদাবাজি রুখতে গিয়ে এবার মারাত্মক জখম হয়েছে ছাত্রদল নেতা জোবায়ের সহ অনেকে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যার পর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের আল মাহমুদকে।

বাবা মোস্তাক ও ছেলে সুমন গং এলাকায় নিয়মিত মাদকের রমরমা ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তাই আওয়ামী সরকারের পতনের পরও কেনো মাদক বিক্রি চলছে, সে খবর নিতেই ডুইপ প্লটে যান স্থানীয় জনগণ সহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের নেতারা বলেন, ‘গত ২৬ তারিখে স্থানীয় বট দোকানি থেকে চাঁদা দাবি করেন কিশোরগ্যাংয়ের আমান ও জিসান। তারও কিছু দিন আগে কিশোরগ্যাং নেতা ইমনের শশুর মদ্যপ ফজল চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে ২৫ হাজার টাকা চান স্থানীয় এক মুদি দোকানির কাছে। এদিন খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করেন ছাত্রদল নেতা জোবায়ের সহ স্থানীয়রা। মূলত ওইদিন থেকেই জোবায়ের ও স্থানীয়দের ওপর ক্ষিপ্ত হয় তারা। আর আজ সেখানে গেলে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সুমন-সাইমুনের গ্রুপ সহ ওদের কিশোর গ্যাং। বিশেষ করে সাইমন, মামুন, জিসান, রানা, আমান, আকাশ, আরমান, আকিব, শিথিল সহ নাম না জানা অনেকেই আওয়ামী সুবিধা ভোগী, মাদক সম্রাট সুমনের নির্দেশে আমাদের কুপিয়ে জখম করে।’

এদিকে গত ২৫ আগস্ট দিবাগত রাত ৩ টার সময় ছাত্রদল ও বিএনপির পক্ষ থেকে ট্রাক ভর্তি ত্রাণ নিয়ে মানবিক কাজে লক্ষ্মীপুরে যান কামরুল, জোবায়ের সহ ৩০ জনের একটি দল। এই সুযোগে ২৬ আগস্ট রাতে আওয়ামিলীগের সুবিধাভোগী, মাদক কারবারি সুমনের ইন্ধনে সাইমন, ইমন সহ বেশ কয়েকজন মিলে কিশোরগ্যাংকে সাথে নিয়ে স্থানীয় কামরুলের বাসায় গিয়ে উৎপাত শুরু করে।

ত্রাণ বিতরণ শেষে ঢাকায় এসে মাদক, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে মহল্লায় বের হয় তারা। ব্যস, এখানেই ঘটনার আকস্মিকতা শুরু। বাইরের লোক কেনো মহল্লায় ঢুকলো, কেনো ধমক দিলে, এই নিয়ে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। একপর্যায়ে ডুইপের সাইমন, ইমনের পুরো গ্যাং অস্ত্র সহ হামলা শুরু করে। স্থানীয় ক্লাব ও কিছু চায়ের দোকানে আগে থেকেই রাখা ছিলো অস্ত্র।

নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয়রা জানান, ‘মিরপুর ১১’র বি ব্লকের ডুইপ প্লট রীতিমতো যেনো মাদকের গোডাউন। অসংখ্য মাদক চোরাকারবারির মধ্যে বাপ-বেটা মোস্তাক-সুমন গ্রুপ সবার শীর্ষে। ডুইপ প্লটের মোস্তাককে সবাই হেরোইন মোস্তাক নামেই সবাই বেশি চিনে। পরবর্তীতে তার ছেলে সুমন বাবার মাদকের ব্যবসায়ের হাল ধরে। পালের গোদা সুমনকে অনুসরণ করে ছোট ভায়েরা মামুন, সাইমন, ইমন, আদিল গ্যাং। তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় অনেক যুবক। এভাবেই মাদক চোরাকারবারি ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন সুমন-সাইমন গ্যাং। এই মাদক ব্যবসা করেই তারা ডুইপে অন্তত ৮-১০ টা বাড়ি করেছে। ভয়ে এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না।’

মুখ ঢেকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন মহিলা জানান, ‘সুমন মাদকের ব্যবসা করে অনেক দিন থেকে। তার মেয়েলি দোষ আছে, এটা সবাই জানে। সুমনের বাবা মোস্তাক মিয়া হেরোইনের ব্যবসা করে অঢেল সম্পদ করেছে। যা দিয়ে তারা থানা পুলিশ ম্যানেজ করে। ওর ভাই সাইমন আর মামুন সহ সবাই টাকার গরমে কাউকে মানেই না।’

স্থানীয় লোকজন বলেন, ‘আমরা স্থানীয় ছাত্র, ব্যবসায়ী ও ছাত্রদলের জোবায়েরকে সাথে নিয়ে ডুইপ প্লটে যায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জনসংযোগ করতে। যেহেতু জোবায়ের আশেপাশেই থাকে, তাই জোবায়েরকে সাথে নিয়েই আমরা যায়। কিন্তু ওরা ডুইপ প্লটের ক্লাবে আগে থেকেই অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিলো। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। যার সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে আপনারা বুঝবেন।’

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছে অনেকেই। বিশেষ করে গুরুতর জখম হয় ছাত্রদল নেতা জোবায়ের। এর বাইরে কামরুল, ইমন, সাদ্দাম, নাজিম উদ্দীন সহ বেশ কয়েকজন জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে অনেকের নাম জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় কিছু মুরুব্বি বলেন, ‘এই মহল্লার সুমন একেবারেই বেআড়া। তার বাবা মোস্তাক দীর্ঘদিন ধরে থানায় টাকা দিয়ে মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে। পরে তার ছেলেরা মাদক, চাঁদাবাজির অভয়ারণ্য গড়ে তোলে। বিশেষ করে সুমন, সাইমন, শিথিল, আকাশ, জিসান, লিপন, আকিব, আমান, আরমান সহ অনেকেই নিয়মিত চাঁদাবাজি ও মাদকের সাথে একনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কিন্তু এগুলো পুলিশ দেখেও কিছু করেনি। অথচ এরাই বিএনপির বিভিন্ন স্থানীয় নেতাদের ঘাড়ে ভর করতে চাচ্ছে।’

একটি সূত্র বলছে, সুমন, সাইমনদের গ্রুপ অস্ত্র নিয়ে হামলা করে উল্টো স্থানীয় কামরুল সহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা করছে। তবে হামলায় আহত ছাত্রদল নেতা ও অন্যান্য সকলে জানান, ‘আমরা অবশ্যই মামলা করবো। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিষেধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হবো, এটা কখনো চিন্তাও করিনি। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ইনশাআল্লাহ আমরা মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন