ব্যক্তিগত আক্রোশে সাংবাদিক কে মামলা দিয়ে হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আদালতের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন গাজীপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মামুন হোসেন। গত ২ নভেম্বর উভয়পক্ষের বক্তব্য, দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শুনানি ও ফরেনসিক রিপোর্ট পর্যালোচনার শ্রবণান্তে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল (৭৫৮/২১) এর বিজ্ঞ বিচারক এ.এম জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন।

সূত্রেমতে জানা যায়, মামুন হোসেন এম.এ. ২০২০ সালের ৩০ জুন অনলাইন “সাপ্তাহিক সামাল” পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদ “গাজীপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বাদীরমান-সন্মান ক্ষুন্ন করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ করেছে।

পরে ব্যক্তিগত আক্রোশে ওই সালের ১৮ জুলাই, সাংবাদিক মামুন এম.এ. কে একমাত্র আসামী করে শ্রীপুর থানায় মামলা (৫৩) করে রাজেন্দ্রপুর বাজারে আর.এন.আর এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারী এবং রাজাবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে গাজীপুর জেলা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সিনিঃসহ সভাপতি নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আ: করিম এর ছেলে আবু সাঈদ কামাল ওরফে এস এ কামাল।

তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দিলে মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য ২০২১ সালের ১২ অক্টোবরে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট আমলী আদালত থেকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। ২০২২ সালের ২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের ধার্য্য তারিখে উভয় পক্ষের দীর্ঘ যুক্তিতর্ক ও শুনানি পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত সাংবাদিক কে বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে মামুনের আইনজীবী মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।

সাংবাদিক মামুন এর আইনজীবী বলেন- আবারও বিজ্ঞ আদালতে প্রমাণ হয়ে গেলো- “সাংবাদিকের কলম-ক্যামেরা কারো কাছে মাথা নত করেনা”

এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ হলেই গণতন্ত্র রুদ্ধ হয় – ডক্টর ইমরান আনসারী

 

মুহা.শরীফ সুমন।।

“গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ হলেই গণতন্ত্র রুদ্ধ হয়”—এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. ইমরান আনসারী।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কুমিল্লার বুড়িচং প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. আনসারী বলেন, “গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটি অবাধ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা মুখ থুবড়ে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে যখন বিশ্বজুড়ে গুজব, অপপ্রচার এবং মিথ্যা তথ্যের বিস্তার ঘটছে, তখন সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো একটি স্বাধীন গণমাধ্যমই হতে পারে একমাত্র শক্তিশালী অস্ত্র। কিন্তু সরকার বা ক্ষমতাসীন মহল যদি সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে, তাহলে গণতন্ত্র ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং একসময় তা বিলুপ্তির পথে যায়।”

উল্লেখ্য, ড. ইমরান আনসারী দীর্ঘ ১৩ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছেন এবং সেখানে ফ্যাসিবাদ ও দমনমূলক সরকারের চরিত্র নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আবারও সরব হচ্ছেন গণতন্ত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে কাজ করছে।

বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোঃ কামাল হোসেন  বুড়িচং প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু মুসা, সাবেক সভাপতি মো. মোসলেহ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মারুফ আহমেদ কল্প, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সাফি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ, আপ্যায়ন ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ফয়েজ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ রকিবুল হাসান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাচ্চু মোল্লা, সদস্য জামাল উদ্দিন দুলাল, হাসিবুল ইসলাম সবুজ, মোঃ তাজুল ইসলাম ও আশিক ইরান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম