ঢাকা ম্যাচ এলাকায় লাকি ডায়িং কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার ঢাকা ম্যাচ এলাকায় লাকি ডায়িং মিজান হাজির কারখানায় অবৈধ গ্যাস দিয়ে কারখানা পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে আর এই অভিযোগ উঠেছে কারখানা মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সেই সাথে দক্ষিণ সিটির মাননীয় মেয়র মহোদয় ও ৫৯নং ওয়ার্ডের কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ,,প্রশাসন থেকে গণমাধ্যম কর্মী পর্যন্ত সকলের সহযোগিতা কামনা করছে , জানাযায় এই সে জামান, যে কিনা ৮০টাকা পকেটে নিয়ে ঢাকায় এসেছিল,,আজ তার বাড়ী গাড়ী কিছুর অভাব নেই,,ও খুব গভীর জলের মাছ,,তাই ওর অনেক দূর্নীতিই ধরা ছোয়ার বাহিরে,,তবুও চোর নীরবে সাক্ষী রেখে যায় তার অপকর্মের,,তার পাশের এই ছবিটি একটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া কালীন ছবি,যার পরিচালক ছিলেন জামান, এই কারখানার মালিক হলো মিজান মোল্লা,, ম্যানেজার হলো রিয়াজ,,কারখানার নাম লাকী ডাইং,,আজ থেকে সাত আট মাস আগে রাতের অন্ধকারে সরকারি অনুমোদন ছারাই হাই স্পিডের এই গ্যাস সংযোগটি দেওয়া হয়, আর তা দেয় শফি মোল্লা, আর এই কাজ বাবদ এই জামান মালিকদের সভাপতি /সেক্রেটারির নাম ভাংগীয়ে হাতিয়ে নেয় আড়াই লক্ষ টাকা মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যাই তারা এই ব্যাপারে কিছুই জানেনা, গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান এই সুযোগটি অবৈধভাবে নেয়া, এলাকার একজন সচেতন নাগরিক বলেন এখনো কমিশনার সাহেব রাস্তা কাটার অনুমতি দিলে আমি প্রমান করতে সক্ষম হবো,,রাতের আধারেই ধামা চাপা দেওয়া হয়েছিলো এই নেক্কার জনক ঘটনার,,সরকারি সম্পদ চুরি করে কেউ কোটিপতি হবে,, আর কেউ বিল দিয়েও গ্যাস পাবোনা,,তা হবে না, তা হবে না,,অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাড়ান,,অন্যায় যে করে আর যে সহে উভয়েই সমান অপরাধী,,সবাই সঠিক পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করুন,,অন্যায় কারীর মুখোশ উম্মোচন করতে আমাকে সহযোগিতা করুন এবিষযে মন্তব্য জানার জন্য কারখানার মালিককে বার বার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। (চলবে)

খেলাপি ঋণ বাড়ল ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার॥
প্রভাবশালীদের চাপ ও নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় দেওয়া ঋণ ফেরত আসছে না। ফলে দিনকে দিন বাড়ছে মন্দ ঋণের বোঝা। বিপাকে পড়ছে ব্যাংকগুলো। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় বা বিশেষ সুযোগ আরও বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সবশেষ সুবিধার মধ্যে ছিল ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা জমা দিলেই খেলাপি হবে না। এতে শেষ প্রান্তিকে কিছুটা মন্দ ঋণ কমলেও বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত ডিসেম্বর-২০২২ প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারির সময় ব্যাংকঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ছাড় ও নানা সুবিধা। বছরের শুরুতে তা তুলে নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। গেল বছর খেলাপি কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি মুক্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতেও খেলাপি ঋণ না কমায় পরে তাদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সুবিধার ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যারা ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েছে তারা কেউ খেলাপি হননি। তারপরও বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। খেলাপির বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান দিচ্ছে এটি আসলে আন্তর্জাতিক মানের নয়। কারণ এখানে অনেক তথ্য থাকে না। আবার খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগ করা হয় না। ঋণ পুনতফসিল, পুনর্গঠন ও রাইট অফ করা তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয় শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য, যা কখনোই মান সম্পন্ন বলা যাবে না। বিশেষ কৌশলে নানা ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো কাম্য নয়। এতে কাগজে কলমে খেলাপি কমলেও ব্যাংকগুলো সুফল পাচ্ছে না। এতে আমানতকারীদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আন্তর্জাতিক মানে প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি যারা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি জানান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। কারণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ স্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয় এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

একই বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।

২০২১ সালের ডিসেম্বর খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ হিসাবে গেল বছর (২০২২ সাল) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

তবে ত্রৈমাসিকের তুলনা করলে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ১৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেকদিন ধরে কাজ করছি। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণেই খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম