ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুর্নীতির আখড়া তবুও ১১ তম স্থানে

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রবাদ আছে চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী, ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তবুও ১১ তম স্থানে কি করে হলো এ যেন দেখার কেউ নেই। ডাক্তার বাবুরা কি করে এসব করে থাকে। উকিল বাবুদের মত আসামি ধরেছে পুলিশ উকিল বাবু জামিনের কাগজ নিয়ে হাজির, কি করে এসব করে বাবুরা। বর্তমানে একটি কথা প্রচলিত আছে যদি করেন দুর্নীতি হতে পারেন পদোন্নতি। দুর্নীতি যদি না করেন বদলি খাতায় নাম লেখাতে পারেন । কিছু অসাধু ডাক্তারদের কারণে পুরো ডাক্তার জাতির কলঙ্ক।

ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর দুর্নীতির বিষয় কয়েকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করলে । নাম না বলা সত্বে তারা জানিয়েছে এই পুরো হাসপাতালটি প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে.তারা আরো জানিয়েছে এত দুর্নীতি হওয়ার পর কি করে ১১ তম স্থান হতে পারে। রোগীরা বারবার অভিযোগ করার পরেও কোন নিয়মে আসেনি বলে রোগীরা জানিয়েছে।

এই উপজিলা এ ১৫০ টা নরমাল ডেলিভারি হয় না , সর্বোচ্চ ৩০_৪০ টা হচ্ছে সেখানে প্রতিদিন ৫ টি করে ভূয়া ডেলিভারী রোগী ভর্তি দেখানাে হচ্ছে। ১ মাসে প্রায় ১৫০টি নরমাল ডেলিভারীর ভুয়া রুগী দেখানো হচ্ছে যাদের কোনো অস্তিত্ব নেই,।
এই বাজেট এর টাকাগুলো সব ( UH&FPO, ) ডাক্তার জয় সরকার, ডাক্তার মাসুদ পারভেজ এবং সিস্টার, সুপারভাইজার এই ৪ জন ব্যক্তি ভাগাভাগি করে নেয়। এই ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোন কোন বিষয় দুর্নীতি করে ১১ তম স্থানে এসেছে সে বিষয়ে জানা খুব জরুরী।

# ল্যাবে প্রতিদিন ২০০ শত টেস্ট এর রোগী হয়, কিন্তু সেই পরিমাণ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।
# আলট্রাসনােগ্রাফী প্রতিদিন ৪০ টার উপরে হয়, কিন্তু সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হয় না। যারা
আলটাসনোেগ্রাফী করতো (মেডিকেল অফিসার), তাদের টাকা দেওয়া হয় না । USG এ ফিল্ম দেওয়া হয় না।
# Xray প্রতিদিন ৭০/৮০ টি হয়, এতেও সরকারি কোষাগারে টাকা কম জমা হয়। প্রতি ফিল্ম থেকে UHFPO ১৫ টাকা বেশি নেয়.।
ডাঃ জয় সরকার আল্ট্রা করে থাকে, কিম্তু তার কোন প্রশিক্ষণ ও অনুমতি নেই।
বিধান না থাকলেও নার্সরা টাকার বিনিময়ে MR, D and C করে থাকে।
# হাসপাতালের বহিরবিভাগের ডাক্তারা বাহিরের ওযুধ বেশি লিখে থাকে। সরকারি বরাদ্দের টাকা সঠিক খ্যাতে খরচ না করেই ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নেয় Uhfpo।
# অন্তঃ বিভাগে রােগীদের সকল ওষুধ পাওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না।
ডাক্তার জয় সরকার এবং ডাক্তার মাসুদ পারভেজ এর প্ররোচনায় হাসপাতাল অনিয়ম ও দুর্নীতি করে জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত।
# বহিঃবিভাগে সময় মত কিছু ডাক্তার উপস্থিত থাকে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিদিন আসার কথা
বিভিন্ন ধরনের বেনিফিট নিয়ে হাসপাতালের সাপ্লাইকৃত ওষুধ শর্ট দেখিয়ে তাদের বেনিফিট নেয়।
থাকলেও সপ্তাহে ০৩ দিনের বেশি কেউই উপস্থিত থাকে না।
# বহির্বিভাগে শিশু বিভাগে নার্স দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়,। এই UH&FPO আসার পর থেকে ডাঃ জয় সরকার এর প্ররোচনায।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
ইউনিয়ন পর্যায় মেডিকেল অফিসার পদায়ন থাকলেও সেখানে কোনো মেডিকেল অফিসার কাজ করেন না।

# সব ফার্মেসীকে টাকা কালেকশন এ বসানো হয়েছে, যার ফলে রোেগীদের ওষুধ ঠিক মত দেওয়ার লোক পাওয়া যায় না। সর্বপুরি হাসপাতালের গ্রুপিং করে সেবার মান নেই বললেই চলে । ইমারজেন্সী ভর্তির টিকেট নেই, ইমারজেন্সী বহি টিকিট দরিদ্র তহবিল থেকে করা হয়।

# জনৈক নার্স এর সাথে UH&FPO এর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই নার্স হাসপাতালে যা
বলে, তাই হয়। ডিউটিতে ঠিক মত থাকে না, রােগীদের সাথে চরম দূরব্যবহার করে।
( রাজ্জাক সাহেবের ) চাকুরী ০২ নভেম্বর/ ২০২২ইং এ শেষ, হয়ে কিন্তু তারপরও তিনি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে।
uhfpo সকল দুর্নীতি এর ডান অ্যান্ড বাম হাত ডাক্তার জয় সরকার অ্যান্ড ডাক্তার মাসুদ পারভেজ।

# ডাঃ জয় সরকার ট্রমা সেন্টারের ডিউটি টাইমে তার নিজ ল্যাবর প্যাড়ে নির্দেশকা দেয় এবং রোগীদের বিভন্ন হাসপাতালর তার নিজস্ব চেম্বারে যাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকে। সব ডাক্তারদের ডিউটি রাষ্টার পরিবর্তন হলেও ডাঃ জয় এবং ডাঃ মাসুদ এর ডিউটি (রাষ্টার) পরিবর্তন হয় না এভাবে অন্যান্য ডাক্তার দের কুক্ষিগত করা হয়েছে l
# ১ ঘন্টার উপরে বহিঃ বিভাগ বন্ধ রাখা হয়
মাঝে মাঝে আউট ডোর বন্ধ রেখে রোগীদের ভােগান্তিতে রেখে কেক কাটা অনুষ্ঠান করা হয়।
# অনেক ডাক্তারদের রোগের সাথে ওষুধের কোন মিল থাকে না। সঠিক ডাোজ এ ওষুধ দেওযা হয় না
এ ব্যাপারে রোগীদের অনেক অভিযােগ রয়েছে। ডাঃ জয় সরকার RMO হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসপাতালে এত অবাবস্থাপনা ছিল না।
রোগী ভরতি হওয়ার পর সব ওযুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাইতো, । আর এখন ওষুধ তো দূরের কথা সেলাইন সেট ও হাপাতাল এ
পাওয়া যায় না। সব বাহিরের ফার্মিসী থেকে রোগীদের ক্রয় করতে হচ্ছে। রাত ১২ টায় সকল ফার্মেসি বন্ধ হয়ে যায়, তখন রোেগীদের ভােগান্তির কোন শেষ থাকে না । ওষুধের জন্য রোগীদের ময়মনসিংহ যেতে হয়। অনেক সময় রোগী মারাও যায়।

ডা: জয় সরকার এবং ডা: মাসুদ পারভেজ এর বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ফাঁস হবার পর তারা নামমাত্র RMO অ্যান্ড modc পোস্ট হতে পদত্যাগ এর কথা বলেন এবং তাদের মনোনীত প্রার্থী Dr Taslima কে নাচের পুতুল বানিয়ে RMO পদ দেওয়া হলেও পরোক্ষভাবে ডা: জয় সরকার এবং ডা: মাসুদ পারভেজ তাদের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

# ইমারজেন্সী ডিউটি ডাক্তারের সকাল ও রাতের খাবার ওমুধ কোম্পানী দিয়ে থাকে। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন। এক এক কোম্পানীর সিটি গার্ড়েনে নিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ায়। এসব ব্যবস্থা করে RMO ( ডাক্তার জয় সরকার R MODC (ডাক্তার মাসুদ পারভেজ। রোগীরা অভিযোগ করলে উপরের লেভেলের কর্মকর্তারা এসে ভোট মিটিং এ বসে সমাধান না করে বড় অংকের খাম নিয়ে চলে যায়। যে কারণে এই হাসপাতালটি সাধারণ রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাহলে ভাবা যেতে পারে এতকিছু করেও কি করে ১১ তম স্থানে আসতে পারে। এই ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায়।

লাগামহীন মূল্য ও অসাধু মজুদদারদের জন্য বিপাকে জামালপুরের সাধারণ জনগণ

স্টাফ রিপোর্টার:

আজ ১১ই আগস্ট রবিবার দুপুর ২ ঘটিকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারে দ্রব্যমূল্যের মনিটরিং করা হয়। এই বাজারটি রাজবাড়ী জেলার অনেক পুরাতন এবং একটি বৃহৎ পাইকারী ও খুচরা বাজার।

বাজার মনিটরিং শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী শারাফাত ইসলাম অনিক জানান,
নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও এই বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। যে কারণে ক্রেতাদের অনেক ভোগান্তি এবং অনেক রকম অভিযোগ রয়েছে।
ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায় দোকানে কোনো মূল্য তালিকা নাই। বিক্রেতাদের মনগড়া মূল্যে চলছে খুচরা বিক্রি। বিক্রেতারা আমদানী চালান না দেখিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

তিনি আরো জানান,
মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তা চাউলের দাম এই বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে দুইশত টাকা অথচ বিভিন্ন দোকান মনিটরিং করে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাউলের মজুদ রয়েছে।

অন্য শিক্ষার্থীরা জানান, চাউল সহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে দোকানিদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা আমদানি খরচের দোহাই দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান।
কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখা যায় তাঁরা আমদানি চালান দেখাতে অনিহা প্রকাশ করেন কারণ তাদের আমদানি খরচ খুচরা মূল্যের থেকে অনেক কম। বিভিন্ন দোকান ও বাজার ঘুরে মাছ বাজারও একই রকম চিত্র দেখা যায়।

দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বাজারে দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা ও দোকানে নির্ধারিত মূল্য তালিকা রাখা সহ অসাধু মজুদদারদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সাধারণ শিক্ষার্থীগণ।
এই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন,
আল আমিন মোল্লা,রাকিবুল মিয়া,নাইমুল হাসান অটল,নাবিল দেওয়ান,শাওন মৃধা, মৌও আক্তার,উরমি আক্তার,ইভা আক্তার, রিমু আক্তার প্রমূখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম