যাত্রাবাড়ীতে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামী হুমায়ূন ঢালী শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

যাত্রাবাড়ীতে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি মো.হুমায়ুন ঢালী(৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ১৯ডিসেম্বর রাতে র‍্যাবের সূত্রে জানানো হয়েছে।

র‍্যাব জানিয়েছে, ঘটনার পর হুমায়ূন ঢালী ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে গিয়ে আত্মগোপন করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর যাত্রাবাড়ীর গোবিন্দপুর রূপসী গার্মেন্ট সংলগ্ন ২৬/এ বাড়ীর ৫ তলার সাথী নামে এক নারীর ৫/১ নং ভবনের কক্ষে ৭ জন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে ডেমরার বাঁশেরপুল বার্জার পেইন্ট সংলগ্ন ডেমরা যাত্রাবাড়ী রাস্তার পাশে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায় আসামীরা।

যাত্রাবাড়ী থানায় ভুক্তভোগী লিজা আক্তার নামে ঐ নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় হুমায়ূন ঢালীসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলায় লিজা আক্তার নামে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

র‌্যাব-৮ এর মাদারীপুর জেলার কোম্পানী কমান্ডার ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গনধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি হুমায়ূন ঢালী কে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তি ওই গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে। হুমায়ূন ঢালী শরীয়তপুর জেলা জাজিরা উপজেলার বিকে নগর এলাকার আব্দুল ঢালীর ছেলে।

গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।

বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশল শাখায় সাইদুরের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর ড্রেজিং শাখায় দীর্ঘ ১৫ বছরের দুর্নীতির মূলে উঠে এসেছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তা ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পে নদী খননের নামে ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গড়েছেন অঢেল সম্পদ।

সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে ভোগাই ও কংস নদ খননের নামে ভয়াবহ অর্থ লোপাট, জাল সনদ ব্যবহার, একাধিক গাড়ি ও বেনামী সম্পদের মালিক হওয়া, এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখার অভিযোগ। জানা গেছে, তার নেতৃত্বে ড্রেজিং শাখায় তৈরি হয়েছে একটি দুর্নীতিবাজ চক্র, যারা দরপত্র, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করলেও মামলা কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতায় ঝুলে আছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু দুর্নীতিপরায়ণ দুদক কর্মকর্তার সহায়তায় তার মামলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ পর্যন্ত সাইদুর ও তার স্ত্রীসহ অন্যদের সম্পদ বিবরণী নিলেও তিন বছরেও যাচাই সম্পন্ন হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএর অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে নামে-মাত্র খননের কাগজপত্র তৈরি করে ভুয়া বিল-ভাউচারে তোলা হয় প্রকল্পের টাকা। প্রকল্পের কাজে অংশ নেওয়া ঠিকাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে সাইদুর রহমান ও তার সহযোগীরা ওই অর্থ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

এদিকে, দীর্ঘদিন একটানা একই পদে বহাল থেকে সাইদুর রহমান সরকারি চাকরি বিধিমালার চরম লঙ্ঘন করেছেন। আবার এলজিইডি থেকে চাকরি বরখাস্তের পর তথ্য গোপন করে ২০০৩ সালে বিআইডব্লিউটিএতে চাকরি নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই দুর্নীতির সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি চান এবং দুর্নীতিবাজ সাইদুরের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

সরকার ঘোষিত দুর্নীতিবিরোধী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়নে সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সচেতন মহল।

বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের নাম এখন দুর্নীতির প্রতীক। সেখানে প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের সিন্ডিকেট সরকারের বদনাম ডেকে আনছে। এখন দেখার বিষয়—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং দুদক সত্যিকার অর্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কি না।

চলবে…..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান