সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী শহীদ সন্তান জোবায়দা হক

স্টাফ রিপোর্টার:

সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আবেদন ফরম আজ জমা দিয়েছেন ১৯৭৩ সালে আততায়ীর গুলিতে শহীদ সংসদ সদস্য নূরুল হকের মেয়ে জোবায়দা হক অজন্তা। নূরুল হক ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের তৎকালীন ফরিদপুর-১৭ (বর্তমান শরীয়তপুর- ২) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ওই বছরের ৩০ মে নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় আততায়ীর গুলিতে তিনি খুন হন।
নূরুল হক কন্যা জোবায়দা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে তৃণমূলে দলের জন্য কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য।
এ প্রসঙ্গে জোবায়দা বলেন, আমার বাবার পিচ্ছিল রক্ত পেরিয়ে আজ আমাকে এই অবস্থানে আসতে হয়েছে। একজন সাবেক এমপির মেয়ে হয়েও আমি টিউশনি করে লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজনীতি করেছি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা সরকারের আমলে বৈরী পরিবেশে রাজনীতি করতে গিয়ে আমার পরিবারকে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এরপরও বাবার দর্শন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে লালন করেছি।
তিনি বলেন, জননেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখে আমি হৃদয়ে শক্তি সঞ্চয় করেছি। কারণ স্বজন হারানোর ব্যথা তার চেয়ে আর কেউ বুঝবেন না। তিনি এক রাতে বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের সদস্যদের হারিয়েও শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাকে যদি সুযোগ দেয়া হয় আমিও বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।

জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞার মামলা প্রত্যাহার

জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞার মামলা প্রত্যাহার

ডেস্ক রিপোর্ট:

মামলার পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং দলটির দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই মামলাটি বাদীপক্ষ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে মাহমুদ আলম নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ৩১ জুলাই নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ওই মামলার শুনানির তারিখ ধার্য্য ছিল। সেখানে বাদীপক্ষ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থীভাবে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। বছরের ২৮ ডিসেম্বর জিএম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিল করে অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সাতজনকে, পরে আরও তিনজনকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়।

ওই ঘটনায় গত ১০ জুলাই ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১৩ জন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। ১২ আগস্ট বাদীদের পক্ষ থেকে এমএ রাজ্জাক খান মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন