তারাকান্দায় ইকবাল হত্যা মামলার  বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

মাসুদ মিয়া,তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শাহীনুর আলম ইকবাল হত্যা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে জামিনপ্রাপ্ত আসামি ও তার আত্মীয়রা।

জানা গেছে, উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা (টানপাড়া) গ্রামের শাহীনুর আলম ওরফে ইকবাল (১৯) হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে আসার পর মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম মিয়া (৩৫)কে প্রকাশ্যে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

গত ২৮শে জানুয়ারি পৌনে ১টায় বাদী সেলিম আাসামি আব্দুল হেলিমের বাড়ির সামনে দিয়ে মসজিদে আসার পথে আসামি আব্দুল হেলিম ও তার মেয়ের জামাতা আব্দুল কাইয়ুমসহ ময়মনসিংহ শহর হতে আসা অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন বাদীর পথরোধ করে মারপিট করতে উদ্যত হয়। তখন আসামি আব্দুল হেলিম প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে বাঁচতে চাইলে মামলা তুলে আন। মামলা তুলে না আনলে, ছোট ভাই ইকবালের মতো তোকেও শেষ করা হবে।

এ ব্যাপারে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় গত (২৮শে জানুয়ারি)২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

উল্লেখ্য,শাহীনুর আলম ইকবাল(১৯)ময়মনসিংহের রুমডো পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল ও তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া পলাশকান্দা টানপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুর রউফ এর পূত্র।সে তার নিজ বাড়ী হইতে রাতের খাবার খেয়ে চা খাওয়ার কথা বলে পাশের দোকানে গিয়ে নিখোঁজ হয় এবং খোঁজাখোঁজির পর তার বাবা তারাকান্দা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।

সেই ডায়েরী করার ৫ দিন পর একটি হাউজি খেলার মাঠের পার্শ্ববর্তী বাড়ীর বাঁশ ঝাড়ের জঙ্গলের ভিতর দুর্গন্ধের সূত্র ধরে বাড়ীর একজন মহিলা পরিবারকে খবর বলে তখন পরিবারের লোকজন পাড়া প্রতিবেশী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পরিত্যাক্ত লেট্রিনের চাকের ভিতর থেকে ময়লাযুক্ত ইকবালের ঘুম করা লাশ উদ্ধার করেন।

উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টসহ লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে পৌছে দেয় এবং ইকবালের জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখনও পলাতক রয়েছে একাধিক আসামী।

এ নরকীয় নৃশংস ইকবাল হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছেন তার পরিবারসহ এলাকাবাসী।

ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে ফাঁসালেন সাবেক যুবলীগ কর্মী

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ 

৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদা না দেওয়ায় কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরাজুল ইসলাম ফরহাদকে ঊৎখাত ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে শহীদুল্লাহ নামের তেজগাঁও থানার সাবেক যুবলীগ কর্মী। শুধু হুমকি দিয়ে খ্যান্ত হননি, যুবলীগের পরিচয় গোপন করে নিজেকে জামায়াত কর্মী দাবি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানা ওই ব্যবসায়ীকে চাঁদাবাজ সাজিয়ে মামলাও করে শহীদুল্লাহ।

মামলায় তেজগাঁও থানা যুবদল নেতা শাকিল আহমেদ মিন্টু ও ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবদল নেতা ইউসুফ হোসেন মিন্টু ও ফারুকসহ মোট ৫ জনকেও আসামি করে শহিদুল্লাহ।

ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে আমার স্বামী কারওয়ান বাজারের শিশুপার্ক আড়ৎ মার্কেট সংলগ্ন পূর্ব পাশে ফুটপাতের ২নং পজিশনে ব্যবসা করে আসছে। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যুবলীগ কর্মী শহীদুল্লাহ ওই পজিশনটি দখলে নেয়। এরপর থেকে আমার স্বামীকে প্রতি মাসে ২৮ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে বাধ্য করে। একইসঙ্গে ২ লাখ টাকা অগ্রীমও নেয় আমার স্বামীর কাছ থেকে।

এরপর থেকেই আমার স্বামী জীবন-জীবিকার তাগিদে তাকে প্রতি মাসে ২৮ হাজার টাকা হারে চাঁদা পরিশোধ করে ব্যবসা চালিয়ে যান। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর নির্দেশক্রমে আমার স্বামী চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এর দুই মাস পর গত ১৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মুঠোফোনে আমাকে ও আমার স্বামীকে আবারও চাঁদা দেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার স্বামীকে মেরে কারওয়ান বাজার থেকে উৎখাত ও মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।

এরপরই শহীদুল্লাহ নিজের পরিচয় গোপন করে জামায়াত কর্মী পরিচয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এই বিষয়ে ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, ইতোমধ্যে আদালত থেকে জামিনে আছেন তিনি ও যুবদল নেতাসহ মামলার অপর ৪ জন। বর্তমানে যুবলীগ কর্মী শহীদুল্লাহ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে চাঁদা আদায়ের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানান ফরাজুল ইসলাম ফরহাদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, যেকেউ মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নিতে বাধ্য। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। একই সাথে চাঁদাবাজি বন্ধে নিজেদের তৎপরতার কথাও জানান মোবারক হোসেন।

এ ঘটনায় সম্প্রতি তেজগাঁও থানায় শহীদুল্লাহ ও তার ছেলে আবু রায়হানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও করেছেন ব্যবসায়ী ফরাজুল ইসলাম ফরহাদের স্ত্রী খাদিজা খাতুন।

মামলার এজহারে আসামিদের শাস্তির পাশাপাশি গত ১৪ বছরে দেয়া চাঁদার আনুমানিক ৪৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেন ভুক্তভোগী।

 

সবা:স:জু- ৫৭৫/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম