যুবদল করেও হত্যা মামলার আসামী জাকির-হান্নান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিমানবন্দর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি রাজধানীর কাওলার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন ও হান্নান বিগত সরকারের সময় যথাক্রমে ১৩ ও ১১ টি রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েও ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামী হয়েছেন তারা। দলের একটি পক্ষ থেকে তাদের নাম হত্যা মামলায় ঢুকানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাকির হোসেন। তিনি আরো জানান, নতুন করে তাদেরকে আওয়ামী সেবকলীগের নেতা বানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে চরিত্র হননের মতো কাজ যেমন করে যাচ্ছে আবার একই সাথে বিএনপির নেতা ও নগর উত্তর কমিটির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপুকে জড়িয়ে নানা গল্প কাহিনী সাজাচ্ছে। বিগত সরকারের জেল জুলুম ও রোষালন শেষে নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে,তাতে তিনি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে জাকির হোসেন এসব কথা বলেন।
মত বিনিময়কালে তিনি আরো জানান, আমি স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। দীর্ঘদিন প্রায় ৭৫ দিন কারাগারে থেকেছি। বিমান বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে এ জেল জুলুম ও মামলার শিকার হই। রাজনীতি করতে গিয়ে এতো ত্যাগ-তিতিক্ষার পরেও সম্প্রতি একটি চক্র আমাকে এবং যুবদলের কর্মী আব্দুল হান্নানকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। আমাকে অনুপ্রবেশকারী বানাচ্ছে। আমি বলতে চাই আমার বাবা আব্দুল আউয়াল দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে বিএনপির একজন সক্রিয় সমর্থক। যা এলাকার ছোট-বড় সবাই জানে। সেই বাবার সন্তান হিসেবে আমি অনুপ্রবেশকারী হই কিভাবে। মূলত, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক কোন্দলের কারণে একটি কুচক্রি মহল আমার এবং আমার রাজনৈতিক কর্মী হান্নানের বিরুদ্ধে এই ধরণের কুৎসা রটিয়ে রাজনৈতিকভাবে আমাদের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
এ সময়ে কয়েকটি মামলার কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসন আমলে আমার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়েছে। বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, নাশকতাসহ বিভিন্ন ধারা এনে রাজধানীর দক্ষিণখান, উত্তরা পশ্চিম থানা, উত্তরা পূর্ব থানা ও বিমান বন্দর থানায় এসব মামলা হয়েছে। দিনের পর দিন এসব মামলায় জেল খাটতে হয়েছে। আবার গ্রেপ্তার আতঙ্কে পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। আমার বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানরা মাসের পর মাস আমাকে ছাড়া দুর্বিসহ জীবন-যাপন করেছেন। আওয়ামী লীগ আমলে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।
সেই সময় অর্থ্যাৎ ২০১৯ সালে কারাগার থেকে বের হবার পর পুলিশ ও তৎকালীন সরকারদলীয় লোকজন আমাকে নানান হয়রানী করেছে। পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে আমাকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। এই সময়গুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পরিবার সব কিছু থেকে দূরে থেকেছি। জেল থেকে বেরিয়ে কয়েকবছর প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ব্যবসায় মনোযোগী হই। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর আমাকে জিম্মি করে অনেক কিছুই করে যেগুলোতে আমার বিন্দুমাত্র সায় ছিল না।

কাফরুলে আ.লীগ নেত্রীর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলের সেনপাড়ায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে একটি বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বনানী থানা ২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেত্রী রাবেয়া, তার বোন জগেন ওরফে যোগী ও তার ছেলে আপন ও ভাগিনা অপূর্ব ও তাদের লোকজন। এর আগেও এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ এবং জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী ওই বাড়ির মালিক গোলাম কিবরিয়া।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সেনপাড়া হোল্ডিং নং-৩৭৯/১ প্লটটিতে এই ঘটনা ঘটায় রাবেয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।

ওই বাড়ির মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা বলে জানা গেছে, কাফরুলের সেনপাড়ায় ৩৭৯/১ নম্বর বাড়িটির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সূত্রে বাড়ির মালিক হন গোলাম কিবরিয়া।

বাড়ির মালিক ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাড়িটি কেনার পর থেকে দুই বোন রাবেয়া ও যোগীর যন্ত্রণায় সদা তটস্থ থাকতে হয়। এর আগেও তাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি তারা আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ ও জিডি করেছি। পরে থানা থেকে রাবেয়া ও যোগীকে আমার প্লটটির সামনে যেতে বারণ করা হয়। কিন্তু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রী রাবেয়া ও তার বোন, ছোলে-ভাগ্নে মিলে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে চাপ দিচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে আমি আমার বাড়ির সামনে গেলে রাবেয়া ও যোগীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আবার চাঁদা দাবী করে। শেষে নিরুপায় হয়ে তখনই কাফরুল থানায় গিয়ে ওসি সাহেবকে বিষয়টি জানাই। এর কিছুক্ষণ পরই রাবেয়া-যোগীরা আমার ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে বাড়িতে তালা দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম বলেন,
আমি শুনেছিলাম আজ (সোমবার) সকালে বাড়ির মালিকসহ কয়েকজন সেখানে গিয়েছিল। রাবেয়া-যোগীরা তাদের বাধা দেয় ও গন্ডগোল করে। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘর থেকে বের করে তালা দেওয়ার কথা আমি জানতাম না।
আমি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ওখানে টিম পাঠাচ্ছি।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি কাফরুল থানায় একই বিষয়ে একটি অভিযোগ ও সাধারণ ডাইরি করেন জমির মালিক গোলাম কিবরিয়া।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাবেয়া আক্তারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, রাবেয়া আমার থানার ২০ নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। বনানী থেকে এত দূরে গিয়ে তার চাঁদাবাজির বিষয়টি দুঃখজনকই নয়, এটা রীতিমতো ধৃষ্টতা। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম