কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়েছে তুষার কান্তি মন্ডল

আক্কাস আলী খান বালিয়াকান্দি রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গ্রাহকদের টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে আত্নগোপনে চলে গেছেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড এ্যাসিটেন্ড তুষার কান্তি মন্ডল। প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে এলাকার লোকজন ধারণা করছেন। এলাকা বাসি জানিয়েছেন গ্রাহকদের টাকা বিভিন্ন সরকারি – বেসরকারি ব্যাংক থেকে নামে – বেনামে ঋন গ্রহণ করেছেন তুষার কান্তি মন্ডল। হঠাৎ করেই বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে তিনি পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকর শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন গত ৩০ অক্টোবর ফিল্ড অ্যাসিডেন্ট তুষার কান্তি মন্ডল তার ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে যায়। এরপর থেকে তুষার কান্তি মন্ডল কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি বলেন অডিট করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট দাখিল না হওয়ায় কত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলা যাচ্ছে না। তার স্ত্রী ও বাবার খোঁজ মিলছে না, উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন ফিল্ড এ্যাসিডেন্ট তুষার কান্তি মন্ডল এনআরবিসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋন নিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছে। আগে কেউ কিছু অবগত না করলেও আত্নগোপনে থাকার খবরে এখন অনেকেই বলতে শুরু করেছে, তাকে টাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে তুষার কান্তি মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদরাসার সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে সুপার লাঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদরাসার সভাপতি পদ নিয়ে গত রবিবার মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মিটিং থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কিছুসংখ্যক সভাপতি প্রার্থী অনুপস্থিত থেকে স্থানীয় কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে উক্ত মাদ্রাসার সুপারের উপর মাদ্রাসার চলমান দ্বন্দ্বের জেরে মাদরাসার সুপার মো. হাদিউল ইসলামকে শারীরিকভাবে আঘাত করে কঠোর বাসায় লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- ১। সরদার আছমত আলী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ
২। মনোহরদী সরকারি কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান এবং ৩। মনোহরদী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. লুতফুর রহমান।
তাদের সাথে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন সদস্যদেরকে নিয়ে উক্ত মাদ্রাসার সুপারের ওপর বেধড়ক মারধর করে এবং রুমে আটক রাখে।

ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদী উপজেলার ইউএনও কার্যালয়ে। জানা গেছে, সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে সুপার ইউএনও অফিসে গেলে সেখানে ওই তিনজন সাথে আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে বেধড়কভাবে আঘাত করে অকথ্য ভাষায় লাঞ্ছিত করে।

এ বিষয়ে ইউএনও এম এ মুহাইমিন আল জিহান-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এইজন্য ৫০ কোর গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ তথা অত্র মাদ্রাসার সকল ছাত্রছাত্রী মিলে মানববন্ধন ও উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তারা অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর উপরোক্ত আসামীরা বারবার সুপার মহোদয়কে বিভিন্নভাবে ফোন করে হুমকি এবং প্রাণনাশের হুমকি এবং বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে বিভিন্ন কথা বলে হয়রানি করতেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাই মহামান্য সুপার মহোদয় ভয়ে । প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হয়ে মাদ্রাসায় চলমান রাখবে সেই ভয়ে আছেন। অত্র এলাকাবাসীদের কে নিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে মনোহরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করিয়েছেন।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার কেন হল না এই মর্মে মাননীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম