গবেষণা সংক্রান্ত কোর্স চালু সহ ইবি রিসার্চ সোসাইটির ১০ দফা দাবি

 

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:

গবেষণা সংক্রান্ত কোর্স চালু, গবেষণার ক্ষেত্রে ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা, বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ জার্নালে শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকাশের সুযোগ সহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিসার্চ সোসাইটি। রবিবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সাথে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান সংগঠনটি। এসময় উপাচার্য বরাবর ১০ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- অতি দ্রুত একটি কেন্দ্রীয়
গবেষণাগার এবং বিভিন্ন অনুষদভিত্তিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা, ছুটির দিন ব্যতীত সার্বক্ষণিক লাইব্রেরি খোলা রাখা এবং গবেষণার জন্য ডিজিটালাইজ লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান করাআন্তর্জাতিক জার্নাল, ই-বুক এবং ই-রিসোর্স ট্রেনিং এর ব্যবস্থা), প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিকে বাৎসরিক ২-৩টা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা বাধ্যতামূলক করতে হবে অন্যথায় জবাবদিহিতার আওয়াত আনা ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর) এর অধীনে গবেষণার কলাকৌশল নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কোর্স চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ জার্নালে শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকাশের সুযোগ, স্নাতক ও স্নতকোত্তর এর সকল শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠানিক ই-মেইল উন্মুক্ত করা এবং স্টোরেজ বৃদ্ধি করা, গবেষণায় বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংযোগ স্থাপন করা, আন্তর্জাতিক ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, দেশি ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ গবেষণা প্রকল্প ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ এর জন্য সুযোগ তৈরী ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ভার্চুয়াল মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু করা।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের মডারেটর অধ্যাপক ড. খালিদ হোসেন জুয়েল, যুগ্ম-আহ্বায়ক জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা, সংগঠনটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ইজাজ মাহমুদ অনিক ও বায়েজিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতহার মাসুম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম মুরশেদ, প্রকল্প পরিচলন সম্পাদক কিরন হোসেন, সহ-দপ্তর ও নথি বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম ফয়সাল, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিষয়বস্তু উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব শাহরিয়ার, অর্থ সম্পাদক ইলমু কবির রাফা ও ফ্যাকাল্টি অ্যাম্বাসেডর সোহরাব।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ক্ষেত্রে উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণসহ নানা বিষয়ে সংস্কারমূলক আলোচনা করেন উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বিষয়ক এমন একটি সংগঠন আছে তা দেখে আমি আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের গবেষণার দিকে আগ্রহী করে তুলতে হবে৷

স্বামীর সহিংসতার শিকার বাংলাদেশর ৭৬% নারী

ডেস্ক রির্পোট :

দেশের ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার স্বামীর হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সে হিসাবে প্রতি চার নারীর মধ্যে তিনজনকে এ সহিংসতা সইতে হয়েছে। সহিংসতার ধরনের মধ্যে আছে– শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ। সহিংসতার শিকার হলেও ৯৩ শতাংশ নারীই প্রতিকারমূলক কোনো আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটেননি। ৬২ শতাংশ নারী সহিংসতার কথা কখনও প্রকাশই করেননি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ প্রতিবেদনে নারীর সামাজিক বিপন্নতার এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে জরিপের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’ শিরোনামে এটি পরিচালনায় সহায়তা দিয়েছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপিএ। অনুষ্ঠানে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মিনাক্ষী বিশ্বাস।

জাতিসংঘের স্বীকৃত পদ্ধতিতে দেশের খানাভিত্তিক শহর, গ্রাম, দুর্যোগপ্রবণ, বস্তি এলাকাসহ ২৭ হাজার ৪৭৬ নারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে।

গর্ভাবস্থায়ও সহিংসতা থেমে থাকেনি 
জরিপে জাতিসংঘের নির্ধারিত সহিংসতার ধরন ছাড়াও বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক আচরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে জরিপের সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। জরিপে আরও দেখা যায়, ৫৪ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশিসংখ্যক নারী জীবদ্দশায় স্বামীর হাতে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। গর্ভাবস্থাতেও এ সহিংসতা থেমে থাকেনি। গর্ভ অবস্থায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী শারীরিক ও ৫ দশমিক ৩ শতাংশ যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তির সহিংসতাও 
নারীর প্রতি শারীরিক সহিংসতার বাইরে প্রযুক্তির সহিংসতাও যুক্ত হয়েছে। ৮ দশমিক ৩ শতাংশ নারী প্রযুক্তির মাধ্যমে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে যৌন ব্ল্যাকমেইল, ছবি অপব্যবহার এবং ডিজিটাল নজরদারি। সহিংসতার শিকার নারীরা অর্থ ব্যয় এবং সামাজিক ভয়ে চিকিৎসা নেন না। জরিপ থেকে দেখা যায়, ৫২ শতাংশ নারী জানেন না কোথায় অভিযোগ জানাতে হয়।

প্রধান কারণ যৌতুক 
নারীর প্রতি সহিংসতার মূল কারণ যৌতুক প্রথা। এ ছাড়া স্বামীর মাদকাসক্তি, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ও শহুরে বস্তিতে বসবাস নারীদের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্বামীর উচ্চতর শিক্ষা সহিংসতার আশঙ্কা কমায়।

সহিংসতা আগের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমেছে 
জরিপে নারীর প্রতি সহিংসতা এখনও উচ্চ মাত্রায় রয়ে গেলেও আগের তুলনায় তা কিছুটা কমেছে। স্বামীর হাতে সহিংসতার শিকার নারীর হার ২০১৫ সালের জরিপে ছিল ৬৬ শতাংশ। সেখান থেকে কমে বর্তমানে ৪৯ শতাংশ হয়েছে।

আলোচনায় সব পক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ 
সহিংসতা রোধে সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. কাইয়ুম আরা বেগম বলেন, সামাজিক দায়িত্বহীনতা থেকেই অস্থিরতা ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্র ও পরিবারকে সহিংসতা বন্ধে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, পরিসংখ্যানগুলো বাংলাদেশে নারীর বাস্তব চিত্র তুলে এনেছে। এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের মর্যাদার প্রশ্ন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের