‘পুলিশের চাপ’, মামলা করতে আদালতে পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার॥

রাজধানীর হাতিরঝিল থানার হাজত থেকে উদ্ধার হওয়া সুমন শেখের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মরদেহ সরাসরি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে পুলিশ চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুমনের পরিবার মরদেহ গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছে। তারা এ বিষয়ে মামলা করতে আদালতে গেছেন।

আজ রোববার দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়া মরদেহটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। আর নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে ঢাকার আদালতে গেছেন বলে জানা গেছে।

মরদেহ সরাসরি বাড়ি নিয়ে যেতে চাপ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ। তিনি  কাছে দাবি করেন, মরদেহ নিয়ে যেতে পুলিশের পক্ষ থেকে সুমন শেখের পরিবারকে একাধিকবার বলা হয়েছে।’

পুলিশ বলছে, স্বজনরা মরদেহ না নিলে সরকারি নিয়ম মোতাবেক আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের (বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারী বেসরকারি সেবাধর্মী সংস্থা) মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

নিহত সুমন শেখের বাবা পেয়ার আলীর সাথে তার কর্মস্থল রামপুরা ওয়াপদা রোডের মক্কা ডেকোরেটরে এ প্রতিবেদকের কথা হয় আজ‌। পুলিশের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত পেয়ার আলী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, পুলিশের সাথে পারব? ছেলেটাকে ধরে নিয়ে এভাবে মেরে ফেলল, আল্লাহ বিচার করবে।’

পেয়ার আলী বলেন, ‘পুলিশ মর্গ থেকে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। আমরা বলেছিলাম রামপুরায় আনবো, ঢাকায় দাফন করব। রামপুরায় আনলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করতে পারে তাই পুলিশ আনতে দিচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুত্রবধূ (নিহতের স্ত্রী) স্থানীয় কয়েকজন লোককে নিয়ে কোর্টে গেছেন মামলা করতে। তারা ফিরলে লাশ আনার বিষয়ে করণীয় ঠিক হবে।’

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করেনি।’
স্বজনদের প্রশ্ন, পুলিশ তো বাসা থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পেটাতে পেটাতে থানায় নিয়ে যায় সুমনকে। থানায়ও নির্যাতন করা হয় ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পেটানোর সেই দাগগুলো কোথায় গেল।

নিহত সুমন মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতনে রামপুরায় ইউনিলিভারের পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র ‘পিউরইট’ বিপণন অফিসে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের দাবি, ওই অফিসের পক্ষ থেকে দায়ের করা ৫৩ লাখ টাকা চুরির মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন থানার হাজতখানায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে সুমনের পরিবার বলছে, সুমন ভোররাতে ‘আত্মহত্যা’ করলেও পুলিশ শনিবার বিকালে তাদের খবর দেয়।

সুমন রাজধানীর পূর্ব রামপুরায় ৬ বছর বয়সী সন্তান রাকিব ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার দক্ষিণকান্দি গ্রামে।

মাদকের স্বর্গরাজ্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর

স্টাফ রিপোর্টার: 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর যেন মাদকের স্বর্গরাজ্য। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় নানা ধরনের মাদক। ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে আসছে মাদকদ্রব্য। কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসা এসব মাদক ছড়িয়েও পড়ছে দেশের নানা প্রান্তে। দু-একজন পাচারকারী ধরা পড়লেও নেপথ্যের গডফাদাররা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুর। ৪৬ কিলোমিটার জুড়েই ভারত সীমান্ত। তার ১৮ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া, বাকি ২৮ কিলোমিটার উন্মুক্ত। সেই পথে আসছে কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। হাত বদল হয়ে যা দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।

ভারত থেকে পাচার হয়ে প্রতিদিন দেশে ঢুকছে প্রচুর ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ও মদ।

উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ বলছেন, পুলিশ প্রাশাসনের তদারকি কমে যাওয়ায় বেড়েছে মাদক পাচার ও ব্যবসা। প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ধ্বংস হয়ে যাবে দেশের যুব সমাজ।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, মাদক পাচাররোধে অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে মাদকসহ কারবারীদের আটকও করা হচ্ছে।

 

সবা:স:জু-২৩৪/৩৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি