রাজউক কর্মকর্তা আমীর খশরুর শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা আমীর খশরুর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে তার স্ত্রীর নামেও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অসংখ্য ফ্ল্যাট।

জানা গেছে, খশরু নব্বই দশকে রাজউকে উপ-ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন। তখন তার বেতন স্কেল ছিল মাত্র ১ হাজার ৪৮০ টাকা, মাসে মূল বেতন ছিল চার হাজার টাকার আশপাশে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগে এক যুগেরও বেশি সময় তিনি সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন।

বর্তমানে খসরুর বেতন ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে রাজধানীতে তার এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩৬টি ফ্ল্যাট। উত্তরায় রয়েছে ৩০ কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লট। সব মিলিয়ে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি।

বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১০ নম্বর রোডের ৭৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ছয়তলা বাড়িটির মালিক আমীর খশরু। বাড়ির নিচতলায় পার্কিং, গার্ডরুম, একটি ফ্ল্যাট ছাড়াও বাড়িটিতে ১১টি ফ্ল্যাট রয়েছে। পাশের বাড়ির বাসিন্দারা জানান, এই বাড়ির মালিক আমীর খশরু; রাজউকে বড় পদে চাকরি করেন। এ এলাকায় তার একাধিক বাড়ি রয়েছে বলেও জানান তারা।

একই প্রকল্পের ১১ নম্বর রোডের ৬৯ ও ৭১ নম্বর হোল্ডিংয়ে দুটি প্লটেরও মালিকও এই আমীর খশরু। তিন কাঠা আয়তনের দুটি প্লটকে একত্র করে সেখানে ছয়তলা আরেকটি বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি।

ভবনের এক নিরাপত্তাকর্মী ও একাধিক বাসিন্দা জানান, এ বাড়ির তিনটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন আমীর খশরু। তারা বলেন, একেকটি ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। নিচতলায় পার্কিং, গার্ডরুম ও একটি ফ্ল্যাট ছাড়াও ভবনটিতে মোট ১১টি ফ্ল্যাট রয়েছে।

এই রাজউক কর্মকর্তা বলেন,

এই দুটি প্লটের মালিক আমার স্ত্রী। যখন বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তখন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আমি কয়েকটি অ্যাওয়ার্ড (মালিকানাস্বত্ব) কিনে নিই। তখন একেকটি অ্যাওয়ার্ড ৪০-৫০ হাজার টাকায় কেনা যেত। পরে ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি করি এবং অর্ধেক ফ্ল্যাট পাই।

বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১২ নম্বর রোডের ৬৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে তিন কাঠার ওপর আরেকটি ছয়তলা বাড়ির সঙ্গে এই রাজউক কর্মকর্তার নাম জড়িয়ে আছে। এ বাড়িতে ১২টি ফ্ল্যাট আছে। তবে এই বাড়ির মালিকের নাম আসলাম বলে জানিয়েছেন বাড়ির এক নিরাপত্তাকর্মী। আমীর খশরুর এক ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জানান, খশরুর ভাগনে হয় এই আসলাম। বাড়িটির মূল মালিক খশরু নিজেই। বোন ও ভাগনের নামে বাড়িটি করেছেন তিনি।

এ বাড়ির বিষয়ে আমীর খশরু বলেন,

“আমার আত্মীয়স্বজনের কার কী সম্পত্তি আছে, তা আমি জানি না।”

আমীর খশরুর প্রথম করা বাড়িটি পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৭৪১ নম্বর হোল্ডিংয়ে। ছয়তলা এ বাড়িতে রয়েছে ১৭টি ফ্ল্যাট। একসময় এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

বাড়িটির এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, বাড়ির মালিক খশরু তেমন একটা আসেন না। তবে একটি ফ্ল্যাটে তার একজন আত্মীয় থাকেন। সেই আত্মীয়ই ভাড়া তুলে মালিকের কাছে পাঠিয়ে দেন।

এ বাড়ির বিষয়ে আমীর খশরু জানান, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার এই বাড়িটিই কেবল তার নামে। তার মা পৈতৃক সূত্রে সেখানে এক কাঠা জমি পেয়েছিলেন। পরে আরও কয়েক কাঠা জমি কিনে তিনি পারিবারিকভাবে বাড়িটি করেছিলেন।

উত্তরার দুই প্লট

উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে ৭ নম্বর রোডে ২২/এ নম্বর হোল্ডিংয়ে পাঁচ কাঠার একটি প্লট রয়েছে এই রাজউক কর্মকর্তার। এই প্লটটির বাজারমূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা।

এ ছাড়া উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর প্লটের মালিকও তিনি। এ প্লটটিরও আনুমানিক বাজারমূল্য ১৫ কোটি টাকা।

প্লটের বিষয়ে আমীর খশরু বলেন, ‘একটি প্লট আমার মায়ের নামে।’

ভাড়াটিয়ারা বলছেন, অন্য প্লটটিও আপনার। আপনি ভাড়া তোলেন। এমন প্রশ্নের জবাবে কিছু বলেননি তিনি।

রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারী কোটায় পূর্বাচলে আরেকটি প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বরখাস্ত থাকার কারণে রাজউক থেকে তাকে প্লটের আইডি দেওয়া হয়নি।

বিভিন্ন প্লটের ফাইল আটকে রেখে বাণিজ্য করার অভিযোগে ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন আমীর খশরু। সে সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার নামে একটি মামলা করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই মামলা থেকে দায়মুক্তি পান তিনি। তখন তার আইনজীবী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আমীর খশরু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে খশরুর বিরুদ্ধে দুদক আবার মামলা করে। সে মামলায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজউক। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে।

১৯৯৩ সালে রাজউকে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে রাজউকের বিএনপিপন্থি শ্রমিক ইউনিয়নে সক্রিয় ছিলেন আমীর খশরু। একসময় ইউনিয়নের সভাপতিও হয়েছিলেন। ওই সময় রাজউকে একচেটিয়া প্রভাব ছিল তার।

গত ৬ আগস্ট দলবল নিয়ে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমানকে চাপ দিয়ে ইন্সপেক্টর পদ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে রাজউক এখনো তাকে কোনো সুনির্দিষ্ট জায়গায় পদায়ন করেনি।

পরে রাজউকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে গত অক্টোবরে তাকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করা হয়। তিন মাস পর আমীর খশরু আবার রাজউকে বদলি হয়ে আসেন।

বদলির বিষয়ে তিনি জানান, তাকে অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝতে পেরে তাকে ফিরিয়ে এনেছে।

ফুটফুটে সুন্দর চেহারাটাই রোহানের ব্লাকমেইলিং ব্যবসার হাতিয়া

 

বিশেষ প্রতিবেদন

: ইনোসেন্ট চেহারাটি ইস্তেমাল করে সরল মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে, ফাঁদে ফেলে একপর্যায়ে ব্লাকমেলিং শুরু করে, এমন অভিযোগ মিলেছে একাধিক ভুক্তভোগী মেয়েদের কাছ থেকে। তাদের মতে, এই যুবক মূলত ইন্টারনেটের বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। তারা আরও জানায়, তার ভাগ্নি মোনেনার সহায়তার এভাবে সংগ্রহ করা মেয়েদের নিয়ে ঢাকা বরিশাল লাইনের লঞ্চে লঞ্চে আমোদ ফুর্তির কাজে লাগায়। অবলা নারী দিয়ে চালায় গোপন দেহব্যবসা।

রোহান খান (৩১), স্থায়ী ঠিকানা: বরিশাল ঝালকাঠি, বর্তমান ঠিকানা: গাবতলী দিয়াবাড়ি চাড়াবাগ, পেশায় একজন গার্মেন্ট শ্রমিক। ফুটফুটে সুন্দর রোহান খান দেখতে যেমন সুন্দর তথ্য মতে তার চরিত্রটি ঠিক তার উল্টো! সে তার সুন্দর চেহারাটির বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফেইজবুক, টিকটক, ইমো ব্যবহার করে প্রথমে প্রচার করে যা দেখে তার প্রেমের ফাঁদে পা দেয় অবুঝ উঠতি বয়সের কিশোরী ও যুবতীরা। পরে সে তাদের সাথে একপর্যায়ে শুরু করে অডিও ও ভিডিও সেক্স। সরল মেয়েরা বুঝতে না পেরে এক সময় ফেঁসে যায়, তখন মুক্তিপণ হিসেবে সে তাদের দিয়ে শুরু করে রমরমা দেহব্যবসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মেয়েরা একজন রিপোর্টারের মাধ্যমে জানায় যে মেয়েদের পটিয়ে তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের ভিডিও তৈরি করে একপর্যায়ে তা দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে জোর করে ফেইজবুক লাইভ করিয়ে, ইমুতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন লোকের সাথে ভিডিও সেক্স করিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই রোহানের কাজ।

এভাবেই রোহানের ব্লাকমেইলের শিকার অপর এক ভুক্তভোগীর নাম আয়েশা খন্দকার(২৪)। আয়শা জানায়, ৫ বছর আগে তাকে আটকে রেখে ফেইজবুকে লাইভ করানো হয়, একসময় সেই ফাঁদ থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। আয়শা নিজের স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালো থাকার আসায় নতুন জীবন গড়ে তুললে পরে সেই জীবনেও ঘটে রোহানের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নানান ভাবে তাকে ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে একপর্যায়ে নিজের সংসার থেকে চলে যেতে হয়।

আয়শা জানায়, তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে পুনরায় তার পুরোনো ভিডিও গণমাধ্যম ছড়িয়ে দিয়ে তাকে সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। আয়শা এছাড়াও খন্দকার জানান যে এমতাবস্থায় সে ঘটনার বিবরণ দিয়ে কদমতলী থানায় একটি জিডি করেন (জিডি নং ৯৭ তারিখ ২/৫/২৩)। এবিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহোদয় যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে আয়শা জানান।

ওদিকে ভুক্তভোগীকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকি এখনও চলমান রয়েছে, এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিসি মহোদয়কে জানানো হলে পরে তারা তাকে বলেন যে এখনো তদন্ত শেষ হয় নি, ‘আপনি সাইবারে যোগাযোগ করুন’ কিন্তু আয়েশা খন্দকার ভীষণ বিপাকে সে বাঁচতে চায়।

আয়শা খন্দকার প্রতিবেদকের সাথে অনেক কান্নাকাটি করে বলেন, “একোন দেশে আমরা বসবাস করি! আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কি জানেন যে আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের নামে আসলে কি গাফেলতি চলে!?”

আয়শা জানে না সাইবার কি, কোথায় গিয়ে তাকে অভিযোগ দিতে হবে, তার ভয় যাবার পথে যদি তাকে আবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়!? যদি তারা তাকে খুন করে ফেলে!?

আয়শার আবেদন, “আমি ভীষণ বিপদে আছি, যেকোনো মুহূর্তে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে, ওদিকে পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের শেষ হয় না। ওই চক্রের হাতে আমি যদি গুম হয়ে তাই বা তারা যদি আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে দেহব্যবসায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয় বা খুন করে ফেলে এবং তারপর আমার লাশ উদ্ধার করার পরেও কি তাদের সেই তদন্ত চলমান থাকবে? একজন মেয়েকে ব্লাকমেইল করে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ওদিকে পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের শেষ হয় না, আমাকে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে যেতে বলে, আসলে আমার কি করা উচিত? আমার এই বাঙ্গালী ও নারী জীবনের মানে কি!?”

অসহায় আয়শা খন্দকার এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য আকুল আবেদন জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের