বাইডেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়াকে কারচুপি বললেন ট্রাম্প, চান তদন্ত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর নির্বাচিত হওয়াকে কারচুপি উল্লেখ করে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনের তদন্ত চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি- বাইডেনকে কারচুপির মাধ্যমেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিলো।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মার্কিন বিচার বিভাগকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  তার দাবি, নির্বাচনটি ‘কারচুপি করে চুরি করা হয়েছিল’। পাঁচ বছর আগের সেই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হয়েছিলেন।

গত রোববার ২৬ অক্টোবর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কারচুপি করে তাস খেলা এনবিএ খেলোয়াড়দের চেয়েও খারাপ হচ্ছে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের কারচুপি! ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছিল কারচুপিপূর্ণ ও চুরি করা, এটাই সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের দেশকে দেখুন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বোকা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কী অবস্থা হয়েছে! এখন সবই পরিষ্কার।’

এরপরই ট্রাম্প ‘আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই কেলেঙ্কারি’ নিয়ে সর্বোচ্চ উৎসাহে তদন্তে নামতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি তদন্ত না হয়, তাহলে এমন ঘটনা ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে আবারও ঘটবে।’

ট্রাম্প আবারও আগাম ভোটের বিরোধিতা এবং ভোটার পরিচয়পত্র আইনের প্রতি সমর্থন জানান। ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যালট নীতির সমালোচনা করে তিনি দাবি করেন, ‘লাখ লাখ ব্যালট পাঠানো হচ্ছে।’

পোস্টের শেষে তিনি রিপাবলিকানদের উদ্দেশে লেখেন, ‘বুদ্ধি খাটাও রিপাবলিকানরা, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই।’

ভারতের পেট্রাপোলে শুল্ক দপ্তরের সার্ভার বিকল, বন্ধ রপ্তানি

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারতের শুল্ক দপ্তরের সার্ভার বিকল হয়ে পড়ায় গত সাত দিন ধরে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এই সংকটের দ্রুত সমাধানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের হস্তক্ষেপ চেয়ে ই-মেইল পাঠিয়েছে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

শুল্ক দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ২৮ এপ্রিল থেকে দপ্তরের নির্দিষ্ট সার্ভার বিকল হয়ে পড়ে।

ফলে বন্দরসংলগ্ন শুল্ক দপ্তরের যাবতীয় ইন্টারনেটনির্ভর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সেই সংযোগ ফেরানো সম্ভব হয়নি। কী কারণে এই সমস্যা, তা-ও স্পষ্ট নয় বলে জানানো হয়েছে।

বর্তমানে শুধু পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রেই সীমিতভাবে রপ্তানি চালানো হচ্ছে, তা-ও বিকল্প পদ্ধতিতে ট্যাব ব্যবহার করে। তবে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি কার্যত স্তব্ধ।

অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘সার্ভার কেন নষ্ট হয়েছে, তার কোনো স্পষ্ট উত্তর দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এই সমস্যা চলতে থাকলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।’

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলে পণ্যের মান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ডিটেনশন চার্জ দিতে হয়। বাংলাদেশে ঠিক সময়ে পণ্য না পৌঁছালে আর্থিক লেনদেনেও সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিনের বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম