বহিরাগতদের প্রতিহিংসার শিকার উত্তরা প্রেসক্লাবের নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
উত্তরায় বসবাসরত গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন উত্তরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় নেতারা
বহিরাগতদের দ্বারা প্রতিহিংসার শিকার। গতকাল সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বিবৃতির মাধ্যমে এমনটাই দাবি করা হয়।
উত্তরায় বসবাসরত গণমাধ্যম কর্মী ও সুধী সমাজের উর্দেশ্য দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তরার চন্ডালভোগ মৌজায় খালপারে অবস্থিত উত্তরা প্রেসক্লাবের স্থায়ী ভবনের নির্মান কাজ চলমান। সমাজের বিত্তবানদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং নির্বাহী কমিটির অক্লান্ত চেষ্টায় চলছে নির্মাণ কাজ। কিন্তু বহিরাগত চক্রটি চলমান কাজটি বন্ধ করা সহ ক্লাব ঘরটি উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দেয়াসহ স্থাপনাটি যাতে না হয় এজন্য সব চেষ্টাই করে যাচ্ছে। ঘর উচ্ছেদের সব চেষ্ঠা ব্যর্থ হয়ে চক্রটি এখন ক্লাবের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাবসত নানা কাল্পনিক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
সদস্য হিসেবে থাকার নূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা(এইচএসসি) না থাকলেও কার্ড ধারি সাংবাদিকের একটি বড় অংশ ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য নানা রকম চাপ সৃষ্টি করে আসছে দীর্ঘ দিন থেকেই। নির্মান কমিটি বা ক্লাবের নির্বাহী কমিটির কেউ নয়, এমন একজনের কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ভুয়ারা সামাজিক যোগাযোগ ও ভুঁইফোঁড় সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার বলেন, উত্তরায় বসবাসরত সাংবাদিকদের প্রিয় সংগঠন উত্তরা প্রেসক্লাব।প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণ কাজ আমি গত বছরের আগষ্ট মাসে শুরু করি। সেই থেকে একটি চক্র প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে ঘরটির নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য হেন কোন চেষ্টা নাই যা তারা করেনি। সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ নির্বাহী কমিটি ও নির্মান কমিটি নেতাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক রড চুরির ফলাও প্রচারে ব্যস্ত রয়েছে। অথচ এরা উত্তরা প্রেসক্লাবের কেউ না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের বাইরে মনগড়া কিছু করার ক্ষমতা কেউ রাখে না। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচের এ উন্নয়ন করছি আমিসহ আমাদের কয়েকজন, আর আমাদেরকেই চোর বানিয়ে বেড়ায় ভুঁইফোঁড় কিছু ব্যাক্তি, এটা হাস্যকর। যা উত্তরার সিনিয়র সিটিজেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভালোভাবেই অবগত আছে।
উত্তরা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, উত্তরা প্রেসক্লাবের নির্মাণকাজ চলমান, কিন্তু রাজউকে আপত্তির কারণে আমরা ক্লাবের ছাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকি।পরবর্তীতে নির্বাহী কমিটির নব্বই শতাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে ছাদের জন্য আনা রড এক কোম্পানিকে দিয়ে,
তার কাছ থেকে ক্লাব উন্নয়নের জন্য অন্যান্য সামগ্রী আনা হয়।
যারা এ ক্লাবের সদস্যই না, তারা ক্লাব নিয়ে খুব চিন্তিত, যা হাস্যকর, অনেকটা মা’র চেয়ে মাসির দরদ বেশি’র মতন।
রড চুরির বিষয়টি যারা বিভিন্ন ভুঁইফুর গণমাধ্যমে প্রচার করছে, আমার মনেহয় এরা মস্তিষ্ক বিকৃত।
তবে অচিরেই এদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতিপূর্বে, নির্মাণাধীন ক্লাব ঘরের দরজা জানালা ভেঙ্গে, ক্লাব ঘরে প্রবেশ করে ক্লাবের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করায়,রাসেল খান,মাসুদ পারভেজ, শাহজালাল জুয়েল, রানা গং দের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ ও মামালা রয়েছে।

মেঘনায় পল্লী চিকিৎসকদের প্রতারণা বেড়েই চলছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মানুষকে ধোঁকা দিতে শিক্ষা লাগে না, তবে সামান্য বুদ্ধি আর চালাক-ই যথেষ্ট। এই বুদ্ধি আর চালাকিকে পুঁজি করেই কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার মানিকারচর বাজার সহ আশেপাশের বাজার গুলোতে পল্লি চিকিৎসকের ধোঁকাবাজি যেন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এলএমএএফ, আরএমপি, ডিএমএস ডিগ্রী দিয়েই চিকিৎসা চালাচ্ছে অনেকেই। না বুঝে ফার্মাকোলজি, না বুঝে গাইনেকোলজি, না বুঝে এনাটমি ও ফিজিওলজি। রোগীদের রোগ নির্ণয় করার মতো তাদের কোনো জ্ঞান না থাকলেও এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড মেডিসিনই তাদের মূল জ্ঞান। এই কয়েক প্রকার ঔষধ দিয়েই রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে নামি-দামি ডাক্তার বনে গেছে অনেকেই। কেউবা হয়ে উঠেছে কোটিপতিও।

নামের আগে ডাক্তার লিখতে না পারলেও সামান্য জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে রোগীদের মৌখিকভাবে এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ঔষধ কৌশলে চালিয়ে দিচ্ছে হাতুড়ে ডাক্তাররা। লিখিত কোনো প্রমাণ না থাকায় তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহল। স্টেরয়েড ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেই অল্প সময়ে রোগীর রোগ নিরাময় সহ চিকিৎসকের পরিচিতি লাভ করা একেবারেই সহজ।

উপজেলার সহজ সরল মানুষ গুলোকে যখন তারা চিকিৎসা দিয়ে থাকে, তখন এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সাথে সাথে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। তখন রোগী ও স্বজনরা মনে করে ওনারা অনেক বড় ডাক্তার। আসলে ওনারা যে কতো বড় ডাক্তার এটা সাধারণ জনগণ না বুঝলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঠিকই বোঝেন। তবে কিছুই করার থাকেনা চিকিৎসকদের!

কথিত মেঘনা উপজেলার মানিকারচর বাজারের নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু ডাক্তারের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পল্লি চিকিৎসক বলেন, নুরু ডাক্তার রোগীদের অনেক ইঞ্জেকশন ও স্টেরয়েড ড্রাগ ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে রোগীরা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার দোকানে নারকোটিক ঔষধ, ফিজিশিয়ান সেমপল ও বাহিরের কিছু ঔষধ অহরহ বিক্রি করছে। তার প্রেসক্রিপশন করার বৈধতা না থাকলেও সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছে রোগীদের ঔষধ। এই অনিয়ম চিকিৎসা ব্যাবস্থা চালিয়ে তিনিও হয়ে গেছেন নামি-দামি ডাক্তার।

এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ সায়মা রহমান দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, নুরু ডাক্তারের ব্যাপারে যদি কোন প্রমাণ থাকে তাহলে আমাকে দিন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

তিনি আরও বলেন, পল্লী চিকিৎসক লাইসেন্স ব্যতীত নারকোটিক জাতীয় ঔষধ বিক্রি করতে পারবেন না। এমনকি রোগীকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া স্টেরয়েড ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে খুব শীগ্রই আমি এসমস্ত পল্লী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে সাংবাদিক ও শিক্ষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে কেন বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে ওসাকা এক্সপো–২০২৫: কৃত্রিম দ্বীপে এ যেন এক টুকরা ফিলিস্তিন জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বশির মোল্লার হাতে নাশকতার নীলনকশা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আসিফ নজরুল রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়িতে জয়া আহসান