সাংবাদ সংগ্রহে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত! সকলতথ্য ৩মোবাইল ফরমেট!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম: সাংবাদ সংগ্রহে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত! ঘাতক অপরাধীদের হাতে হয় জিম্মি! সকলতথ্য সহ ৩টি মোবাইল ফরমেট করে পুলিশ নিজেই। পুলিশের উস্কানিমূলক আচরণে দুর্বৃত্তরা আরো বেপোয়ারা আচরন ভয়ংকর হয়ে ওঠে। হুমকি দামকি নিরাপত্তাহীনতার শিকার প্রতিবেদক। শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাও নিরাপদ আশ্রয় পুলিশ ফাঁড়ির রুম কক্ষের ভিতরে।

২১আগষ্ট রাত ৮টায় দৈনিক “দেশের কথা”র নিজস্ব প্রতিবেদক কোতোয়ালি থানাধীন সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পের ভিতর দুর্বৃত্তদের ভিডিও ধারণ কালে এসআই মো: শামসুল ও তার সঙ্গী আরেক এসআই কর্তৃক গৃহীত এমন বেআইনি চরম নিষ্ঠুরতার অঘটনের এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাক্রমে, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে থেকে বিশেষ ফোনে প্রতিবেদকে জানানো হয় যে, কিছু দুর্বিত্তরা তাদের পরিবারের সদস্যকে তার প্রায়ভেট কার জব্দ করে চাবি নিয়ে নেয়। সাথে থাকা টাকা মানি ব্যাগ মোবাইল নিয়ে নেয়। পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাতের জেরে প্রতিহিংসা প্রতিশোধ নিতেই দুর্বিত্তরা পূর্ব পরিকল্পিত এ আক্রমণ চালায় বলে জানা যায়।

শারিরীক একাধিক জখমে আহত ভুক্তভোগী মারাত্মক ভাবে চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় আহত ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

ঘটনার সত্যতায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রতিবেদকেও অমানবিক নিষ্ঠুর কায়দায় তথ্য সংগ্রহের বাধা ও হামলার শিকার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক মহল।

ঘাতকের হাত থেকে মোবাইল বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা কৌশল করেও ব্যর্থ হলেন ওই প্রতিবেদক। প্রতিবেদক বলেন, “আমি সাংবাদিক। আমাকে সহযোগিতা সহায়তা করুন। প্লিজ। আমাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করবেন না। প্লিজ প্লিজ, অনুগ্রহ করে ভিডিও ধারণ হয়নি ভিন্ন ২টি মোবাইলের (যা ব্যাগে ছিল) অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ও পেশাগত কাজে তথ্যের পরিপূর্ণ ছিল। যাহাতে ভিডিও ধারণ হয়নি। সেইসব মোবাইলের সবতথ্য সমূহ ডিলিট করবেন না। আমি মুসলমান হয়ে আল্লাহর নামে শপথ/কসম করছি ! আমার মোবাইল ফরমেট দিবেন না। আপনাদের ধারণকৃত ভিডিও বা আলোচনার বিষয় গোপন থাকবে শতভাগ নিশ্চিত করছি। আমি কোনভাবে কোনদিন কোনরকম কাউকেই বলবো না প্রকাশও করবো না। প্লিজ।”
————

তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিক তিনি সবরকম নত হয়েও পুলিশের হাত থেকে শেষ রক্ষা পাইনি কোনভাবেই।এসআই এর কুকৌশলী ছক থেকে। পুলিশ কৌশলে দুর্বৃত্তদের উস্কানি দিয়ে আরো উত্তেজিত করার অপচেষ্টা চালায়। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোলাটে করে তোলে।

ঘটনার শিকারর সাংবাদিক আরো বলেন, প্লিজ প্লিজ ডিলিট করবেন না। এটা শুধু মোবাইল নয়। তিনটা মোবাইলে শতশত মানুষের জীবন রয়েছে। এখন এইমাত্র নিউজ পাবলিস্ট হবে এমন নিউজও রয়েছে। যার সমস্ত তথ্যউপাত্ত বিশেষ অতি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রয়েছে।

যাতে অনেক মানুষের জীবন সংগতিপূর্ণ তথ্য চিত্র ছিল। অসংখ্য দুর্নীতি অনিয়ম অপরাধীদের তথ্যচিত্র পূর্ণ ছিল। যেসব তথ্যসমূহ বৃহৎ জনস্বার্থে অনেক এলাকার জনপদ প্রতিষ্ঠান সমাজ দেশের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ছিল। এমন অতি বিশেষ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহে সেট ও মেমোরীতে পরিপূর্ণ ছিল। যা পেশাগত ও অফিসিয়াল ডুকুমেন্স তথ্যসমূহে পরিপূর্ণ ছিল। মুহূর্তের মধ্যেই সব ডিলিট করে দেয়। মোবাইল ফরমেট করে দেয় মোবাইল।

অন্য ভিডিও ডিলিট করলে, আমার পক্ষে কোনভাবেই স্বাভাবিকভাবে বাঁচা সম্ভব নয়। যা বর্তমান ভবিষ্যৎ জীবনে অপূরণীয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শিকার হইবো। যা কোনদিন কোনভাবেই পুসানো সম্ভব নয়। আর যাদের ডকুমেন্টস রয়েছে অনেকের আশা আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘশ্বাস রয়েছে।

তবে, ব্যাগে সংরক্ষিত মোবাইল ভিডিও হয়নি এগুলো আমার কাছ থেকে নিবেন না। ভিন্ন মোবাইলের ডকুমেন্ট তথ্যসমূহ ডিলিট করা আর আমাকে মেরে ফেলায় একই সমান। আমাকে জীবিত মারবেন না। প্রয়োজনে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলেন। তারপরও আমার মোবাইলের অন্য সব ভিডিও ডিলিট করবেন না।

তারপরেও আপনি যদি নিরাপদ মনে করেন, প্রয়োজনে শুধুমাত্র আপনাদের ঘটনাস্থল ধারণকৃত ভিডিওগুলো শুধু ডিলিট করেন। অন্য ভিডিও ডিলিট করবেন না। প্লিজ।

তথ্যসংগ্রহে পুলিশের বাধা ও লাঞ্ছনা শিকার সাংবাদিক। দুর্বৃত্তদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলে আহত ভুক্তভোগীকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে রফাদফা করে মূলঘটনা ধামাচাপাঁ দেওয়ার সবরকমের অপ্রচেষ্টা।

পরিস্থিতি ভয়াবহতায় সংবাদিক পরিচয় সত্ত্বেও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা শেষ পাইনি তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিবেদক। ভুক্তভোগীকে আক্রমণকারীরা ঘটনাস্থল পুলিশের সাথেই পুলিশের ফাঁড়িতে অবস্থান করছে। এমত অবস্থায় অভিযুক্তদের ভিডিও ধারণ করলে গেলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অঘটনের শিকার হয় তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিক।

প্রতিবেদক বলেন, পুলিশের কাছে শত আকুতি মিনতি অনুরোধ করেও মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ অতি প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ ডিলিট করতে মানা করি। তাদের সাথে যতই কথা বলি পরিস্থিতি হয় আরো ভয়ংকর। সব রকমের নত হয়েও প্রয়োজনে আল্লাহর কসম /শপথ করেও তাদের থামাতে পারেনি। ডিলিট না করে প্রয়োজনে আমাকে মেরে ফেলার জন্য তাদেরকে আকুতি মিনতি জানাই।

পুলিশ নিজ হাতে মোবাইল জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। মোবাইল পাসওয়ার্ড পিন নাম্বার না দিলে ভুক্তভোগীর পরিস্থিতির অঘটনে প্রতিবেদকেও শিকার হতে হবে। বাস্তব ঘটনা সত্যতা ধামাচাপা দিয়ে ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা পুলিশের। দুর্বিত্তদের ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতা জীবনঝুঁকিতে।

সিআরবি বিট ইনচার্জ এসআই রনিকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করে বলেন,বছর আগের মামলা ও পূর্বশত্রুতা জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। আইনি জটিলতার বিষয় তাই থানা থেকে পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত করেছে। বিষয়টি বিস্তারিত কি হয়েছে কি ঘটনা তারাই ভালো বলতে পারবেন।

অভিযুক্ত এসআই শামসুলকে ফোন দিলে বলেন, তিনি তার বেআইনি অপকর্মের কথা অস্বীকার করেন। নিজ হাতে কেড়ে নেওয়া মোবাইলে কথা অস্বীকার করেন। মূলঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টায় বাস্তবতা গোপন করেন। মূলঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিন্নদিকে প্রভাবিত করে।

কর্তব্যরত কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম ওবায়দুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনগতগত সুব্যবস্থা নিব।

নোবিপ্রবির এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদানের দাবি

মো. আরিফুল ইসলাম নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বিভাগের অ্যালামনাইদের সংগঠন নোবিপ্রবি এসিসিই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সংগঠনের সভাপতি তানজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমির হামজা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসিসিই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছে যে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য সমমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদানের জন্য তাদের পক্ষ থেকে দাখিলকৃত স্মারকলিপি বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। এ লক্ষ্যে এসিসিই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের নিকট যথাযথ দালিলিক প্রমাণাদিসহ শিক্ষার্থীদের এই দাবি তুলে ধরা হয়েছে।এসিসিই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনটির দাবি, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এই দাবি ন্যায়সঙ্গত ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

গত ২৬ অক্টোবর রাতে একটি ওয়েবিনারের মাধ্যমে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা (১ম থেকে ১৮তম ব্যাচ) একত্রিত হয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। আলোচনায় তারা সমমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের প্রয়োজনীয়তা এবং এই দাবি আদায়ে যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। এ আলোচনা সকল অংশগ্রহণকারীর একাত্মতার প্রকাশ এবং এই যৌক্তিক দাবির প্রতি একাগ্রতার প্রতিফলন ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মদক্ষতায় অন্যান্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ডিগ্রির পার্থক্যের কারণে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি, প্রারম্ভিক বেতন, পদোন্নতি, পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এই বৈষম্যের কারণে তারা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পিছিয়ে পড়ছেন। এসিসিই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অনার্স সমমান ডিগ্রি প্রদানই এই বৈষম্য দূর করার একমাত্র উপায়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের প্রতি এই বৈষম্যের অবসানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা আশা করি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অনার্স সমমান ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে এসিসিই শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে আরও প্রতিযোগিতামূলকভাবে নিজেদের স্থান করে নিতে সক্ষম হবেন এবং এই অমূলক বৈষম্যের অবসান ঘটবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন