1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
বিশ্বনাথের পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের পাহাড়সম অভিযোগ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:২২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা সুপ্রীম কোর্টে কজলিস্টে অভিনব জালিয়াতি : নেপথ্যে তাসাদ্দুক-আগষ্টিন-ডেভিড চক্র কিশোর গ্যাংয়ের মদতদাতাদের তালিকা করা হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন গুলফাম বকাউলের গনজোয়ারের নেপথ্যের রহস্য ! গুলশানে স্পা অন্তরালে অপরাধ জগতের ডন বাহার ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য নারী দিয়ে ফাঁদ তীব্র গরমের অতিষ্ঠ জনজীবনে একটি প্রশান্তিময় ও দৃষ্টি নন্দিত উদ্যোগ বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের উপর  কাউন্সিলর রাসনা বেগমের মামলা:  মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু– মিছিল, উত্তেজনা তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড়ের উৎস কোথায় ?
বিশ্বনাথের পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের পাহাড়সম অভিযোগ

বিশ্বনাথের পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের পাহাড়সম অভিযোগ

বিশ্বনাথ (সিলেট)প্রতিনিধি: আরকুম আলী

পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ তুলেছেন সাত কাউন্সিলর। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তারা অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া।

বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মেয়র মুহিবুর রহমান নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ইচ্ছে মত যা খুশি, তা করে যাচ্ছেন। যার ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পৌর এলাকার উন্নয়ন। তার অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে কাউন্সিলরেরা গত ৯ এপ্রিল দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ের কাউন্সিলর হলরুমে প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক বিশেষ জরুরী সভা করে মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। পরে গত ১৫ এপ্রিল সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে ও ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব প্রদান করা হয়েছে। দুর্নীতির সুবিধার্থে মেয়র মুহিবুর রহমান পৌরসভার কার্যালয় থেকে সকল অফিসিয়াল কাগজপত্র এমনকি পৌরসভার ফার্ণিচার-ল্যাপটপ তার নিজ বাসভবনে নিয়ে গিয়ে অফিসের স্টাফ দিয়ে পৌর কার্যালয়ের পরিবর্তে বাসভবনেই অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। পৌরসভার প্রত্যেক মাসের সাধারণ সভা পৌর কার্যালয়ে না করে তার বাসভবনে করে আসছেন। এতে জনগণ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পৌর মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি ও টিএলসিসি কমিটির কোন সভা করেননি। এমনকি পৌরসভার অডিটও হয়েছে তার বাসভবনেই।
মেয়র পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া একক ক্ষমতা বলে মাস্টাররোলে নিজের আত্মীয়-স্বজনকে পৌরসভায় নিয়োগ দিয়ে জনপ্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তিনি সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বাজেট অনুসরণ না করে বিভিন্ন নামে-বেনামে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরী করে ডেঙ্গু মশক নিধন ও কোভিড-১৯ নামে সরকারি টাকা এবং বিশ্বনাথ পুরান বাজারের গরু-হাটের উন্নয়ন কাজ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। রাজস্বের টাকা দিয়ে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে মেয়র তার নিজের বাসার উঠোন ঢালাইসহ বাসার বিভিন্ন কাজ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, মেয়র মুহিবুর রহমান রাজস্ব খাত থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করার ব্যয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি পৌরসভার টাকা অন্য ইউনিয়নে ও অন্য উপজেলায় স্বদর্পে বিতরণ করেছেন। অথচ, পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড ফিল্ড) স্থাপন না করেই পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত প্রবাসী চত্বর, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও মাদানিয়া মাদ্রাসার পাশে জনগূরুত্বপূর্ণ জায়গায় এমনকি বাসিয়া নদীতে ডাম্পিং করছেন। তিনি পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় দরপত্র আহবান ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিষদের অগোচরে নিজের পছন্দের লোক দ্বারা পরিচালনা করে কাউন্সিলরদের প্রত্যয়ন ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকার বিল পরিশোদের ব্যবস্থা করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি বিশ্বনাথ পৌরসভার নামে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্যাংক এশিয়ায় পরিষদের অগোচরে অনেক একাউন্ট রয়েছে। ওই একাউন্টগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা ছিল। তিনি একক ক্ষমতা বলে এসব একাউন্ট থেকে কিছু পৌর কর্মচারী (জগন্নাথ সাহা, সাজেদুল হক, মোতালেব হোসেন, নাজির হোসেনদের মাধ্যমে সেই টাকাগুলো উত্তোলন করে ভূয়া চালানের মাধ্যমে কোন প্রকল্প না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মেয়র মুহিব পৌরসভার মাসিক সভায় সাদা কাগজে কাউন্সিলরদের সাক্ষর করিয়ে এবং মাসিক রেজুলেশনের কপি না দিয়ে নিজের ইচ্ছেমাফিক কার্যবিবরণী লিখে সেটাকে কৌশলে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌর পরিষদ পৌরসভার বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করার জন্য তাকে অনুরোধ করলেও আজ পর্যন্ত তিনি তা করেননি। এতে প্রমাণ হয়, মেয়র মুহিবুর রহমান একজন দূর্নীতি পরায়ন ও স্বজনপ্রীতিতে আসক্ত ব্যক্তি। জনশ্রুতি রয়েছে, তিনি পৌরসভার সকল কার্যাদেশের বিলের জন্য গড়ে ৫% করে ঘুষ গ্রহণ করেন। এমনকি পৌর পরিষদের সভায় সকলের সম্মুখে মেয়র সেটা নিজেও স্বীকার করেছেন। এরকম একটি অডিও ক্লিপ ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে। তিনি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার নকশাকার আশরাফুজ্জামান চয়নকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সহকারী প্রকৌশলী পদে এবং আয়কর কর্মকর্তা সাজেদুল হককে একাউন্টন্টেস পদে পদায়ন করে নিজের বাসায় বসিয়ে নামে-বেনামে ভূয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে রাজস্ব খাত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন। এছাড়া, মেয়র মুহিবুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করে সরকারি আইন উপেক্ষা করে রাজস্ব থেকে গাড়ির তেল ক্রয়, গাড়ির ড্রাইভারের বেতন পরিশোধ, গাড়ির মেরামত ব্যয় দেখিয়ে পরোক্ষভাবে জনগণের প্রদত্ত ট্যাক্সের টাকাও আত্মসাৎ করছেন। বিচার সালিশের ভিডিও করে তার ফেসবুক আইডিতে ভাইরাল করে জনগণের মানহানীও করে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা বেগম, ২ নাম্বার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসনা বেগম, ৩ নাম্বার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লাকী বেগম, ৭ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুর আলী ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম আহমদ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »