1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
রমজানে লেবুর বাজারে আগুন! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:১২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন গুলফাম বকাউলের গনজোয়ারের নেপথ্যের রহস্য ! গুলশানে স্পা অন্তরালে অপরাধ জগতের ডন বাহার ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য নারী দিয়ে ফাঁদ তীব্র গরমের অতিষ্ঠ জনজীবনে একটি প্রশান্তিময় ও দৃষ্টি নন্দিত উদ্যোগ বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের উপর  কাউন্সিলর রাসনা বেগমের মামলা:  মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু– মিছিল, উত্তেজনা তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড়ের উৎস কোথায় ? গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক বাণিজ্য জগতে বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ পেলেন হোটেল রয়্যাল প্যালেসের কর্তা আশরাফুল সেখ
রমজানে লেবুর বাজারে আগুন!

রমজানে লেবুর বাজারে আগুন!

মোঃ হাসানুজ্জামান:

বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় পবিত্র রমজানে দেশের বাজার হয়ে যায় অগ্নিশর্মা। বিশেষ করে খেজুর, চিনি, ছোলা, লেবু, কলা, শসা সহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম হয় আকাশ ছোঁয়া। কারণ একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভালো করেই জানে, রমজানে সবাইকে ইফতার সামগ্রী কিনতেই হবে।

অন্যান্য পণ্য দ্রব্যের তুলনায় এবার আগ্রহ হয় লেবুর বাজার সম্পর্কে জানতে। বিশেষ করে রাজধানীর বাজার পরিস্থিতি জানতে ও জানাতে “দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ” টিম হাজির হয় বাজার গুলোতে। ঘুরে দেখা হয় রাজধানীর বিভিন্ন লেবুর বাজার।

সাভার নামা বাজারে লেবু কিনতে ক্রেতাদের দর কষাকষির মধ্যে দিয়ে যে বিষয়টি নজর কেড়েছে তা হলো- প্রত্যেক দোকানদার গেন্ডা মোকাম থেকে লেবু কিনেছে শতকরা হিসাবে। তারা কেউ কেউ বলেছে আমরা শতকরা ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে লেবু ক্রয় করেছি। কেউ কেউ বলেছে আমরা ওজনে ১১০ টাকা কেজি কিনেছি।

কিন্তু কেউ কোন রশিদ কিংবা ফর্দি দেখাতে পারেনি। অথচ তারা বাজারে বিক্রি করছে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা হালি। কেউ কেউ ১২০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছে। এই অবস্থায় ক্রেতা সাধারণ কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদারকির এর মাধ্যমে এর একটা সু-ব্যবস্থা চান।

বাড্ডা, কারওয়ান বাজারেও একই পরিস্থিতি। মধ্য বাড্ডা কাঁচা বাজারে রাশেদ রাইহান নামে একজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক আগেই লেবু কিনে স্টক করে রেখেছে। অথচ আমাদের থেকে প্রতি পিচ লেবু ১৫-২০ টাকা করে নিচ্ছে। এরা এখন অযথাই বেশি দামে লেবু বিক্রি করছে। কে শুনে কার কথা ভাই ?

মিরপুর ১,২ ৬,১১,১২, ১৪, কালশী, বউবাজারের অবস্থা ভিন্ন নয়। সেখানেও চলছে বেশি দামে লেবু বিক্রি। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। মিরপুরের কাঁচা বাজারে ইমন মোল্লা সহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে একটু শরবত লাগে। এজন্যই লেবু প্রয়োজন। কিন্তু এই সুযোগে এইসব ব্যবসায়ীরা আমাদের পকেট কাটছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই।

এছাড়া ইসিবি, মানিকদি, ক্যান্টনমেন্ট, ভাষানটেক, মহাখালী, গাবতলী, কাফরুল, রুপনগর সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সে সকল বাজারেও প্রায়ই একই অবস্থা। নিরীহ ক্রেতারা দামাদামি করতে গেলেই বিক্রেতারা চড়াও হচ্ছে।

পৃথিবীর সকল দেশেই পবিত্র রমজান মাসে সকল পণ্যের দাম কমানো হয়। অথচ আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ী চক্র এই সুযোগে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকার বিভিন্ন জিনিসের দাম নির্ধারণ করে দিলেও কার্যক্ষেত্রে তা ভিন্ন। যেখানে সামান্য লেবুর বাজার পরিস্থিতি এমন বেজায় গরম। সেখানে অন্যান্য জিনিসের দাম কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »