ফ্যাসিবাদী সরকারের মদদপুষ্ট ৪ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটটি গণপূর্তে এখনও বহাল তবিয়ত

স্টাফ রিপোর্টার:

৫ আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও পতিত সরকারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত গণপূর্ত অধিদফতর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার মদদপুষ্ট ৪ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট মুক্ত হয়নি গণপূর্ত অধিদপ্তর । এই সিন্ডিকেটটি এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করে না। গোপালগঞ্জ অধ্যাসিত নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা পূর্বে ও বর্তমানে ফায়দা হাসিল করে চলছে । গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি সরকারকে নিজ দেশের জনগনের সুবিধার্তে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হয়।

এক্ষেত্রে অধিকাংশ উন্নয়নকাজই গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে সরকার। সরকারের গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম একটি কর্মসূচী হলো টেকসই উন্নয়ন। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে অবকাঠামো ও নির্মান খাত। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নে মূখ্য ভূমিকা পালন করে গনপূর্ত অধিদপ্তর।
গনপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা হচ্ছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার।

নিয়ম অনুযায়ী ও প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। তাই যখন যা ইচ্ছা তাই তিনি করতে পারেন। তাকে যে কোন সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের ক্ষেত্রে রয়েছে তার একান্ত অনুগত কয়েকজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং কথিত বিএনপি-জামাতের অনুসারী কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

কাগজে কলমে ও বাহ্যিক দৃষ্টিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার। সরাসরি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা চোখে না পড়লেও একটি বিশেষ সুবিধাবাদী কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।

সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের শেষ মেয়াদে এসে এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা নারে চালিয়েছে বেশুমার দুর্নীতি । সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও সচিব পদমর্যাদার নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা ফায়দা হাসিল করছে।

সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সমার্থিত অবৈধ সুবিধাবাদী চার কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে আজ সাজানো হয়েছে আজকের প্রতিবেদন।

সম্পদের পাহাড়ে প্রকৌশলী আলমগীর খান : গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গণপূর্ত ডিভিশন-৬ এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও বর্তমানে ই/এম শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে পদায়ন করা হয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ঢাকা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলমগীর খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করলেই উক্ত সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। কথিত রয়েছে যে, গনপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রোকন উদ্দিনের মত আলমগীর খানও যেকোনো সময়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।

প্রকৌশলী কাম ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ : প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতিতে মহা চ্যাম্পিয়ন। শ্যালককে দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান তিনি। তার ওস্তাদ প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। শ্যালকের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ঠিকাদারীতে ব্যবসা করে হয়েছেন কোটিপতি। শুধু হাতেগোনা দু’চারজন প্রকৌশলী নন এরকম আরও শত শত রাঘব বোয়াল রয়েছে গনপূর্ত অধিদপ্তরে যারা দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারী ব্যবসায় নামে বেনামে সম্পৃক্ত।

ক্ষমতার শীর্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম :
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে। দীর্ঘদিন যাবৎ মতিঝিল গনপূর্ত বিভাগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সাইট সিলেকশনের অজুহাত দেখিয়ে শামীম আখতারের অত্যন্ত ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত গনপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র আতিকুল ইসলামকে একটি কমিটি বানিয়ে কাজটি হস্তান্তর করেন। উক্ত কাজ মতিঝিল গণপূর্ত বিভাগ থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ হস্তান্তরের মূল উদ্দেশ্য কয়েক কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া। এজন্যই মূলত কমিটি করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর ডাটাবেজ তৈরির কাজে সহযোগিতা করছেন আতিকুল ইসলাম। গণপূর্ত অধিদপ্তরের রক্ষনাবেক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট হতে অধিক পরিমান উৎকোচ গ্রহন করে অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা হতে ৩ বছরে তিনি প্রায় ৬০ কোটি টাকার অতিরিক্ত দরপত্র আহবান করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ বদলী হয়ে চলে যান। এই অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করে সুকৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এছাড়াও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বদলীর বিষয়ে ভেলকিবাজি দেখিয়ে পুরো অধিদপ্তরে বাজিমাত করেছেন ক্ষমতাধর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম। কারণ স্বরুপ বলা যায় সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী জানা গেছে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ডিভিশনে বদলি–সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি হয়েছে। সেখানেও পাঁচ প্রভাবশালী প্রকৌশলীই চেয়ার পেয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘ সময় ঢাকার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের স্বাক্ষর করা পৃথক দুটি অফিস আদেশে দেখা যায়, শেরবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–৩–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–৪; ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলামকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–৩, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–৪–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–১ এবং পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলে ও তিনি পুনরায় ঢাকার ফিরে আসতে জোর তদবির চালাচ্ছেন। এছাড়াও মহাখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমান উল্লাহ সরকারকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–২ এবং পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। এবং শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসানকে মহাখালী গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছে। তবে আতিকুল ইসলাম যথারীতি শেরে-বাংল নগর গনপূর্ত বিভাগ -৩ এ কর্মরত থেকে তার সকল প্রকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

মিস্টার ৫০% তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক : গণপূর্তের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি। একাধিক সূত্র এবং ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের একটি বড় অংশ তার বিরুদ্ধে থাকা সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমান বিভিন্ন গনমাধ্যমকে হস্তান্তর করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ায় অধিদপ্তর জুড়ে কাউকে তিনি পরোয়া করেন না। সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বর্তমানে তার সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত কুকর্মের ছায়াসঙ্গী। পুরো অধিদপ্তর জুড়ে এমন অসংখ্য দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী রয়েছেন যাদের রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এরা সবাই গনপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের অত্যন্ত আস্থাভাজন।

বসুন্ধরা কিংস-আবাহনীর মর্যাদার লড়াই

খেলা ডেস্ক: 

লিগ লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১০ দেখায় আবাহনী কোনো ম্যাচ জেতেনি। একে নজিরবিহীন বলা যায়। আর প্রতিপক্ষ দলটির নাম হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস।

২০১৮-১৯ মৌসুমে অভিষেকের পর পেশাদার ফুটবল লিগে তারা ১০ বার ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছে।
এর মধ্যে আট জয় পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৯৭৩ সালে লিগ শুরুর পর আর কোনো দলের বিপক্ষে এমন করুণ অবস্থা হয়নি আবাহনীর। আজ কুমিল্লা শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে কিংস ও আবাহনী মুখোমুখি হবে।

বেলা আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে। টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হলেও লিগে অপরাজিত থাকতে পারেনি কিংস। তবে আবাহনীর বিপক্ষে হার না মানা রেকর্ডটি ধরে রেখেছে।

আজও কি বসুন্ধরা কিংস জয়ের ধারা ধরে রাখবে? নাকি ১১তম সাক্ষাতে আবাহনী প্রথম জয়ের দেখা পাবে? ড্রতেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি কি শেষ হবে? সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর।

দুই দলের লড়াইটি অন্যরকমও বলা যায়। আবাহনী বিদেশি ছাড়াই খেলবে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে দুই দলের ম্যাচই এখন মর্যাদার লড়াই। মোহামেডান-কিংস কিংবা মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের গুরুত্ব এখনো রয়েছে। তার পরও আজ দুটি দলের লড়াইয়ের মর্যাদা আলাদা।ঢাকা আবাহনী পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়ন;

অন্যদিকে আগমনের পর থেকে টানা পাঁচবার শিরোপা জিতেছে কিংস। পেশাদার লিগই হচ্ছে দেশের ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর। আর সেই লড়াইয়ে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার আবেদনই আলাদা।

এবারের লিগে দুই দলের এটি চতুর্থ ম্যাচ। অথচ শিরোপা রেসের জন্য এখনই একে গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়। এ কুমিল্লাতেই বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী হেরে যায় ঢাকা মোহামেডানের কাছে। আজ যারা হারবে ৬ পয়েন্ট নষ্ট করবে। ড্র হলেও ৫ পয়েন্ট হারাবে।

অন্যদিকে মোহামেডান আজ পুলিশকে হারাতে পারলেই ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকবে। লিগের হিসাবনিকাশ আরও পরে হবে। তার পরও দুই দলের কাছে পুরো ৩ পয়েন্ট হবে খুবই মূল্যবান। কে জিতবে আজকের ম্যাচে-কিংস না আবাহনী? এটি আবাহনীর হোম ম্যাচ। তার পরও শক্তির পার্থক্যে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদেরই ফেবারিট বলা যায়। তবে কিংস যে কিংরূপ ধারণ করে, তা এবার শুরুতে অনেকটা ম্লান। লিগে মোহামেডান ছাড়ও ফেডারেশন কাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফর্টিসের কাছে ০-২ গোলে হেরে গেছে চ্যাম্পিয়নরা।

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ধরলে নয় ম্যাচে কিংসের হারের সংখ্যা ৫; যা দলটির নামের সঙ্গে বড্ড বেমানান। চ্যালেঞ্জ লিগে টানা তিন ম্যাচ হেরেছে। ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম আসরে মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও লিগে ও ফেডারেশন কাপে একটি করে ম্যাচ হেরেছে। চ্যালেঞ্জ কাপে পিছিয়ে থেকে ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমর্থকদের আশা ছিল ঘরোয়া আসরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে কিংস। অথচ সেই কিংসকে ম্লান মনে হচ্ছে। সেরা একাদশে চার বিদেশি থাকলেও দুই ব্রাজিলিয়ান মিগেল ফিগেইরা ও জনাথন ফার্নান্দেজই ভরসার প্রতীক। লোকালদের মধ্যে রাকিব, সোহেল রানা, তপু বর্মণরা কেমন জানি ছন্দহীন। কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক, রবসনের অনুপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে। কোচ ভালেরিউ তিতাও দলকে সেভাবে গোছাতে পারেননি।

তবে আজ জিতে গেলে হয়তো সামনে কিংস গতিময় হয়ে উঠবে। অন্যদিকে আবাহনীও জয় পেলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। দেখা যাক কী হয়।

 

সবা:স:জু- ৪৩৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান