ডিপিডিসি কর্মকর্তার সাব স্টেশন বাণিজ্য!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি চাকরিবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোম্পানি খুলে দেদার ব্যবসা করছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি- ডিপিডিসি’র এক উপ-সহকারি প্রকৌশলী। কেবল ব্যবসা বললে ভুল হবে; ওই কর্মকর্তা ডিপিডিসি’র গ্রাহকদের রীতিমত জিম্মি করে তার প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল কিনতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বহুরূপী, বহুনামের অধিকারি এই প্রকৌশলীর কেতাবি নাম ইমরোজ আলী। এছাড়াও তিনি প্রকৌশলী এস এম সাগর মাহমুদ নামেও নিজেকে পরিচয় দেন। এই কর্মকর্তা ডিপিডিসির গ্রীডে (সাউথ-১) কর্মরত আছেন।
চাকরি আচরণবিধি ভঙ্গ করে ২০১৬ সাল থেকে তিনি এই ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। এভাবে ‘বিপুল’ সম্পদের মালিক হয়েছেন এই প্রকৌশলী।
ডিপিডিসির কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব আছেন। অভিযোগ আছে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই নিয়মবিহর্ভূতভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন ওই কর্মকর্তা। এ রকম ব্যবসা করা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ও ডিপিডিসি’র নিজস্ব চাকরি প্রবিধানমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জানা যায়, এই কর্মকর্তা সংস্থাটির ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের কোষাধ্যক্ষ এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদেরও কার্যনির্বাহী সদস্য। যে কারনে তার বিষয়ে সবাই সবকিছু জানার পরেও রয়েছেন চুপচাপ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিজিটাল পাওয়ার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস নামে ইমরোজ আলীর ওই প্রতিষ্ঠান মূলত সাব স্টেশনের বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ করে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকার মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়া কলেজ রোডের হাজী টাওয়ারে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। যেখানে ব্যবস্থাপণা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন প্রকৌশলী এস এম সাগর মাহমুদ ওরফে ইমরোজ আলী। আর এই প্রতিষ্ঠানের কারখানা রাজধানীর ডেমরা বাজারের পাশে ঐতিহ্যবাহী আহমেদ বাওয়ানি টেক্সটাইলস মিলসের একটি কক্ষের মধ্যে। প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর ১৫৪ মতিঝিলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়।
রাজধানীর বড় একাংশে বিদ্যুত সংযোগ সরবরাহ করে ডিপিডিসি। যে সমস্ত গ্রাহকরা বিদ্যুতের উচ্চচাপ সংযোগ নিতে এই দপ্তরে আসেন; তাদের টার্গেট করেন ইমরোজ আলীর প্রতিষ্ঠান।
সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ইমরোজ আলী বিভিন্ন শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের চাপ প্রয়োগ করে গ্রাহকদের ফাইল আটকে রাখতেন। তার কোম্পানি থেকে মালামাল সরবরাহ করবে; এমন চুক্তির পরেই মিলে উচ্চচাপের সংযোগ। তিনি যেহেতু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের নেতা; তাই ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান না। তবে বিষয়টি গোটা দপ্তরের সবাই জানেন।
অভিযোগ রয়েছে, তার প্রতিষ্ঠানের মালামালের দাম বাজারের অনান্য কোম্পানির চেয়ে তুলনামূলক বেশি। আবার মানেও ভালো না। এসব বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টো তার হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন অনেকেই।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, তারা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার, কমপ্লিট সাব-স্টেশন, হাই সুইচগিয়ার, এলটি সুইজার, এমডিবি বক্স, ডিবি বক্স, এসডিবি বক্স, জেনারেটর সাপ্লাই, সাব-স্টেশন মেইটেন্যান্স, ট্রান্সফরমার ওয়েল সেন্ট্রিফিউজিং, কমপ্লিট সোলার সিস্টেম সরবরাহ করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী ইমরোজ আলীর সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সংস্থাটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ নোমান জানান, চাকরি অবস্থায় তার এই ধরনের ব্যবসা করার সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলেও জানান। এবিষয়ে ইমরোজ আলীর সাথে মন্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেলুনে আছেন বলে ফোন কেটে দেন পরে কথা বলবেন বলে আর ফোন রিসিভ করেননি।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

স্বাস্থ্য খাতের নানা অভিযোগের মধ্যে এবার যুক্ত হল  পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) মোঃ তসলিম উদ্দীন খানের নাম। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্ণীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

অফিসের আসবাবপত্র ও অন্যান্য উপকরণ ক্রয়ে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করাসহ নানা অনিয়নের অভিযোগ রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তসলিম উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে। গত ১২ই জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে তাকে বিভাগীয় পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা বরিশালে বদলী করা হলেও মাত্র ২ দিনের মধ্যেই বিশাল অংকের ঘুষের বিনিময়ে ১৪ই জানুয়ারি অধিদপ্তরে পরিচালক (আইইএম) পদে যোগদান করেন।

দুদকের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, এই কর্মকর্তা সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া গত জুলাইযের ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) মোঃ তসলিম উদ্দিন খান সক্রিয় ছিলেন এমনকি ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিজের দুর্নীতির টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তসলিম উদ্দিন খান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট মিলে নিয়োগ বানিজ্যের একটি বড় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে এমন কথাও উল্লেখ আছে অভিযোগে।

অভিযোগ পত্রে আরো বলা হয়, বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মালামাল বুঝে না নিয়েই পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে চুক্তির পুরো টাকা তুলে নিজেদের পকেটে ভরেছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) মোঃ তসলিম উদ্দিন খান এবং প্রাক্তন পরিচালক (এমআইএস) মো. শাহাদাত হোসাইন। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিমুল্য ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৯১০ টাকা পরিশোধ করা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো মালামাল বুঝে নেয়নি মোঃ তসলিম উদ্দীন খান। পরিচালক মোঃ তসলিম উদ্দীন খানের কারনে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটিরও বেশি অর্থে সম্পূর্ণ মালামালও এখনও বুঝে পায়নি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পরিবার কল্যাণ সহকারী রেজিস্টার (৯ম সংস্করণ), সাপ্লিমেন্টারি রেজিস্টার ও বিভিন্ন ধরনের এমআইএস ফরম সরবরাহের জন্য নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের। ২০১৮ সালের ৬ জুন এ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার মাত্র ছয় দিনের মাথায় অর্থাৎ ৩০ জুন পুরো টাকা পরিশোধ করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে। চুক্তি অনুযায়ী, আট সপ্তাহের মধ্যে পুরো মালামাল সরবরাহ করার কথা থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার পরই পুরো অর্থ পরিশোধের কথা। কিন্তু তা না করেই মোঃ তসলিম উদ্দীন খানের কারনে বিলের সব টাকা পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমন অভিযোগ রয়েছে দুদকে দায়ের করা অভিযোগে।

নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে কাজটি পেতে সহযোগিজ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিটের তৎকালীন উপপরিচালক (বৈদেশিক সংগ্রহ) মোঃ শাহাদাত হোসাইন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (সংযুক্ত-উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিট) মোঃ রফিকুল ইসলাম। তখন শাহাদাত হোসাইন দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও রফিকুল ইসলাম দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার পরও ইন্টার-গ্রাফিক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৮ সালের ৬ জুন চুক্তি করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। চুক্তির শর্তমতে, পরিবার কল্যাণ সহকারী রেজিস্টার (১ম সংস্করণ) ৩০ লাখ ১০ হাজার কপি সাপ্লিমেন্টারি রেজিস্টার এবং ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৭২ কপি বিভিন্ন ধরনের এসআইএস ফরম সরবরাহ করার কথা ছিল। চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে এসব মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আট সপ্তাহের সময়সীমা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর চুক্তির ছয় দিনের মাথায় সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করা হয় নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে। কিন্তু বছরের বেশি সময় পার হলেও চুক্তিভুক্ত মালামালগুলো এখনো বুঝে পায়নি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের সমুদয় অর্থ বুঝে পেতে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন মোঃ তসলিম উদ্দিন খান।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এখনও ৪ হাজার ৫০০ কপি পরিবার কল্যাণ সহকারী রেজিস্টার (৯ম সংস্করণ), ২ হাজার ৫০০ কপি সাপ্লিমেন্টারি রেজিস্টার এবং ৩৯ লাখ বিভিন্ন ধরনের এমআইএস ফরম পাওনা রয়েছে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রারসহ এসব প্রয়োজনীয় মালামাল না পাওয়ায় তখন মাঠ পর্যায়ের কাজে চরমভাবে সংকটে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে আরেকটি প্রত্যয়ন প্রদান করেছেন এই অসাধু কর্মকর্তা। এসএইড সার্জিক্যাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব অটোফ্রেন্ড মেশিন কিনতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খরচ হয় ২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাত্র ৭০টি মেশিন পাওয়ার পরই প্রতিষ্ঠানটিকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এতেও সহায়তা করেন মোঃ তসলিম উদ্দিন খান। ফলে টাকা পরিশোধ করা হলেও অদ্যাবধি বাকি মেশিনগুলো বুঝে পায়নি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।

মোঃ তসলিম উদ্দীন খানের সম্পদের যে তথ্য এসেছে তা থেকেই তার দুর্নীতি চিত্র পরিষ্কার হয়ে যায়। মোঃ তসলিম উদ্দীন খান বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীতে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। শনিরআখরায় আধুনিক ফিটিংস সহ বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার ঠিকানা বাড়ী নং-৪৫, রোড নং-০৩, পলাশপুর পূর্ব দনিয়া, ঢাকা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও গুলশান নিকেতনে ৩ হাজার বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাটট, আফতাব নগরে ৫ কাঠার ৩টি প্লট, বনশ্রীতে ৫ হাজার বর্গফুটের আলিশান ফ্ল্যাট, এলিয়ন ব্রান্ডের নতুন গাড়ি ও বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স। তার স্ত্রীর নামে গুলিস্থান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের নীচ তলায় দোকান নং-সি-১২২ এবং দোকান নং-সি-৭৯ এই ২টি দোকান ক্রয় করেছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এছাড়া দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা দেশের টাকা কানাডায় পাচার করে গড়ে তুলেছেন আলীশান বাড়ি। যা তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে। তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা যা তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে।

মোঃ তসলিম উদ্দীন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি নিজেকে একজন সৎ কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন। তসলিম উদ্দীন খান কয়েকজন সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে বলেন তারা আমার আত্নীয় হয়। তিনি আরো বলেন, আমার এখান থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আপনি যোগাযোগ রাখবেন তা হলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তিনি বার বার তার বিরুদ্ধে সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া