ঢেঁকি শাকের ৫ উপকারিতা

স্টাফ রিপোর্টার:

এই শাক অনেকের কাছেই অচেনা। কারণ স্বাদ ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হলেও দেশি এই শাক বেশ অবহেলিত। তবে যারা গ্রামে বড় হয়েছেন, তাদের কাছে এর স্বাদ বেশ পরিচিত। গ্রামের বনে-বাদারে পাওয়া যায় সুস্বাদু ঢেঁকি শাক। শহরের বিভিন্ন বাজারেও দেখা মেলে ঢেঁকি শাকের, তবে তা খুব বেশি নয়। তবে আপনি যদি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন, তাহলে আর অবহেলা করবেন না, বরং খুঁজে এনে খাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঢেঁকি শাকের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

হৃদরোগ দূরে রাখে

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে খাবারের প্রতি সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ এ ধরনের সমস্যা এখন বেশ পরিচিত। আপনাকে হৃদরোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে ঢেঁকি শাক। এই শাকে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ত্বক ভালো রাখে

আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে ঢেঁকি শাক। এই শাকে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের নিচে রক্ত সংবহন বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে বেড়ে যায় কোলাজেন প্রোটিনের উৎপাদন। এই প্রোটিনই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আমাদের সুস্থতার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা উপকারী সেকথা প্রায় সবারই জানা। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বিভিন্ন খাবার। ঢেঁকি শাক তার মধ্যে অন্যতম। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায় সবাই ফাস্টফুড জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, সেসব খাবার খেলে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এ ধরনের প্রদাহও দূর করে ঢেঁকি শাক।

৪ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

সব ধরনের শাকেই ফাইবার থাকে, ঢেঁকি শাকও এর ব্যতিক্রম নয়। এই উপাদানের কারণে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। কারণ এটি রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে দেয় না। যে কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা নিয়মিত এই শাক খেলে সুফল পাবেন।

হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

আমাদের হজম ভালো রাখতে কাজ করে ঢেঁকি শাক। এই শাক নিয়মিত খেলে হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যায়। এই শাকে থাকা ফাইবার খাবার হজমের জন্য জরুরি এনজাইম ক্ষরণে সাহায্য করে। যে কারণে হজম অনেক সহজ হয়ে যায়।

উচ্চতায় বিশ্বের দীর্ঘতম ও ক্ষুদ্রতম নারীর আড্ডা

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

মনোরম শীতের বিকেলে লন্ডনের একটি হোটেলে বসে চা খাচ্ছেন দুই নারী। দু’জনেই স্বনামধন্য। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে দু’জনেরই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস উদযাপন উপলক্ষে তারা দেখা করেছেন একে অপরের সঙ্গে।

একজন তুর্কী ওয়েব ডিজাইনার ২৭ বছর বয়সী রুমেইসা গেলগি। উচ্চতা ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। আর অন্যজন ভারতীয় অভিনেত্রী ৩১ বছর বয়সী জ্যোতি আমগের। উচ্চতা মাত্র ২ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী একজন বিশ্বের দীর্ঘতম নারী। অন্যজন উচ্চতায় ক্ষুদ্রতম। দুইজনের উচ্চতার পার্থক্য প্রায় ৫ ফুট।

সম্প্রতি লন্ডনের স্যাভয় হোটেলে তারা দেখা করে দুজনে চা পান করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। গেলগি বলেন, তাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তারা দুইজনই মেকআপ করতে, নিজের যত্ন নিতে, অলংকার পরতে ও নখে নেইল পলিশ লাগাতে ভালবাসেন। উচ্চতার পার্থক্যের জন্য একে অপরের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে একটু সমস্যা হলেও, সব মিলিয়ে এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।

অন্যদিকে, আমগে তার অনুভূতি জানাতে বলেন, তিনি এই অনন্য রেকর্ডধারী গেলগির সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছেন।

তুরস্কের ওয়েব ডিজাইনার গেলগিকে ২০২১ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘লম্বা জীবিত নারী’ হিসাবে নিশ্চিত করে গিনেস। উইভার সিনড্রোম নামে এক বিরল রোগ গেলগির এই উচ্চতার কারণ। তার আগে মাত্র ২৬ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

আমগে ভারতে জন্ম নেওয়া অভিনেতা ও গণমাধ্যম তারকা। আকারে ছোটখাটো হলে, সামাজিক মাধ্যমে একজন বড় তারকা আমগে। তিনি ফ্রিক শো নামের মার্কিন টিভি সিরিজে মা পেতিত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে খাটো অভিনেত্রী হিসেবেও তালিকাভুক্ত করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।

তিনি অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া নামের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হন। যার ফলে তার হাড়ের বৃদ্ধি থেমে যায়। এই রোগ সাধারণ হাতে ও পায়ে সংক্রমিত হয়। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ থাকা অবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। শিশুদের হাত ও পা গঠনে ব্যবহৃত কার্টিলেজ টিস্যু এতে প্রভাবিত হয়।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ২০২৫ সালের ছাপানো সংস্করণে গেলগি ও আমগে উভয়কেই জিডব্লিউআর আইকন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

 

সবা:স:সু-২২২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম